সংক্ষিপ্ত
- ধাপে ধাপে ভ্যাকসিন ঢুকেছে শহরে
- ফের কলকাতায় চালু হতে চলেছে টিকাকরণ
- চলতি সপ্তাহেই শুরু হবে টিকাকরণ
- তথ্য দিল কলকাতা পুরসভা
ভ্যাকসিন মজুত না থাকায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল টিকাকরণ কর্মসূচি। তবে পরিস্থিতি বদলেছে। এখন শহরে ধাপে ধাপে ভ্যাকসিনের একাধিক ডোজ এসে পৌঁছেছে। ফলে ফের টিকাকরণ কর্মসূচি শুরু করা যাবে বলে জানাচ্ছে কলকাতা পুরসভা। উল্লেখ্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দিয়ে ভ্যাকসিনের অপ্রতুলতার কথা জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে লাভ হয়নি বলে রাজ্যের অভিযোগ ছিল।
তবে কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর টিকাকরণের জন্য প্রথমে স্লট বুক করতে হবে। স্লট বুক করার জন্য পুরসভার ৮৩৩৫৯৯০০০ নম্বরে ফোন করতে হবে। তারপরই টিকা নিতে যাওয়া যাবে। এবার ভ্যাকসিনের বেশ কিছু ডোজ কলকাতায় এসে পৌঁছেছে। ফলে আবার শুরু করা যাবে ভ্যাকসিনেশন প্রক্রিয়া। কিন্তু প্রশ্ন হল কারা পাবেন এই ভ্যাকসিন। পুরসভা বলছে, না সবাই পাবেন না। সূত্রের খবর, খুব বেশি টিকা হাতে নেই পুরসভার। তাই প্রতিটি ভ্যাকসিনেশন কেন্দ্রে প্রতিদিন প্রথম ৫০ জনকে টিকা দেওয়া হবে। দু ঘন্টার মধ্যে ৫০ জন টিকা নেবেন বলে জানানো হয়েছে।
শুধুমাত্র ৪৫ উর্ধ্বদের জন্য এই ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তবে এখনই ১৮ বছরের উর্ধ্বের কেউ ভ্যাকসিন পাবেন না। যদিও পুরসভার আশ্বাস, কয়েকদিনের মধ্যে তার ব্যবস্থাও করা হবে। এই টিকাকরণ কর্মসূচিতে কোভিশিল্ড দেওয়া হবে। শনিবার থেকে কলকাতা পুরসভা এলাকার ১২০টি টিকাকরণ কেন্দ্রে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পুর প্রশাসক অতীন ঘোষ।
এদিকে, একদিকে যেমন টিকা মিলছে না, অন্যদিকে টিকা অপচয়ের অভিযোগ উঠেছে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে টিকা কর্মসূচিকে হাতিয়ার করেছে ভারত সরকার। কিন্তু দেশে চাহিদার তুলনায় যোগান অনেক কম বলে একাধিক অভিযোগ উঠেছে। ভ্যাকসিনের অভাবে একাধিক রাজ্য টিকা কর্মসূচি বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছে। তারই মধ্যে সামনে এসেছে এক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য- একাধিক রাজ্যে উপযুক্ত সংরক্ষণের অভাবে নষ্ট হয়েছে প্রচুর টিকা।
কেন্দ্রীয় সরকারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ৩৭ শতাংশেরও বেশি টিকার ডোজ নষ্ট হয়েছে। শীর্ষ স্থানে রয়েছে ঝাড়খণ্ড। এই রাজ্যে টিকা নষ্ট হয়েছে ৩৭.৩ শতাংশ টিকা। দ্বিতীয় স্থানে ছত্তিশগড় (৩০.২ শতাংশ)। আর তৃতীয় স্থানে রয়েছে তামিলনাড়ু। টিকা নষ্ট হয়েছে ১৫.৫ শতাংশ। একইভাবে কেন্দ্রীয় সরকারে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী জম্মু ও কাশ্মীরে নষ্ট হয়েছে ১০.৮ শতাংশ টিকা। মধ্যপ্রদেশে ১০.৭ শতাংশ টিকা নষ্ট হয়েছে।
দেশে টিকা নষ্ট হওয়ার জাতীয় গড় ৬.৩ শতাংশ। সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলি জাতীয় গড়ের তুলনায় অনেক বেশি টিকা নষ্ট করেছে বলেই দাবি করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। কেন্দ্রীয় সরকার বারবার একাধিক রাজ্যকে টিকা সংরক্ষণের বিষয়ে সচেতন হওয়ার কথা বলেছিল। কেন্দ্রীয় সরকার। টিক অপচয়ের জাতীয় গড় এক শতাংশের নিচে নামিয়ে আনতে বারবার অনুরোধও করা হয়েছিল। কিন্তু কাজের কাজ যে কিছুই হয়নি তা এই পরিসংখ্যানই বলে দিচ্ছে।