সংক্ষিপ্ত
- ধোনি কিপিং গ্লাভস বিতর্কের আসরে বিসিসিআই
- চিঠি দেওয়া হল আইসিসিকে
- বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে ধোনির গ্লাভসে সেনার বলিদান ব্যাজের প্রতীক ছিল
- এতে আইসিসির বিধিভঙ্গ হয়েছে বলে জানানো হয়েছে
বিশ্বকাপে ধোনির উইকেটকিপিং দস্তানা নিয়ে বড় সড় বিতর্ক তৈরি হল। আগেই আইসিসি ভারতীয় বোর্ডকে অনুরোধ করেছিল যাতে পরের ম্যাচ থেকে ধোনি গ্লাভসে আর সেনাবাহিনীর বলিদান ব্যাজের প্রতীক দেখা না যায়। কিন্তু এত সহজে বিষয়টি ছেড়ে দিচ্ছে না বিসিসিআই। শুক্রবার বিসিসিআই-এর সিইও প্রধান বিনোদ রাই জানিয়েছেন, তাঁরা ইতিমধ্য়েই ধোনিকে যাতে ওই অনুমতি দেওয়া হয়, তার জন্য আবেদন করে চিঠি দিয়েছেন আইসিসি-তে। সিওএ মিটিং-এর পরে এই বিষয়ে আরও বিশদে জানানো হবে।
ভারতের বিশ্বকাপ অভিযানের প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ধোনিকে তাঁণর উইকেটকিপিং গ্লাভসে সেনার বলিদান ব্য়াজের প্রতীক ছিল। যার জন্য ভারতীয় ক্রিকেট ভক্তরা ধন্য ধন্য করেছিলেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ককে। কিন্তু আপত্তি তুলেছে আইসিসি। ভারতীয় সেনাবাহিনীর একটি বিশেষ রেজিমেন্টের ব্যাজ বিশ্বকাপে পোশাকে ব্যবহার করে ধোনি আইসিসির বিধিভঙ্গ করেছএন বলেও জানিয়েছিল আইসিসি। দ্বিতীয়বার ওই অপরাধের জন্য শাস্তির পেতে হতে পারে ধোনিকে, এমন কথাও বলা হয়।
তবে বিসিসিআই-এর অনুরোধ আইসিসি মেনেও নিতে পারে। কারণ আইসিসির একটি সূত্রের দাবি, এমন কোনও প্রতীক যা কোনও রাজনৈতিক, ধর্মীয় বা বর্ণবিদ্বেষমূলক বার্তা দিতে পারে - তা ব্যবহারের ক্ষেত্রে আইসিসির নিষেধাজ্ঞা আছে। ধোনি ও ভারতীয় বোর্ড যদি আইসিসি-কে বোধঝাতে পারে যে সেনাবাহিনীর বলিদান ব্যাজ ওই ধরণের কোনও বার্তা দেয় না, তাহলেই ধোনি বিশ্বকাপে কিপিং গ্লাভসে ওই প্রতীক ব্যবহার করতে পারবেন।
চাইলেই কিন্তু যে কেউ ওই ছুরির ছবি সম্বলিত সেনাবাহিনীর প্রতীক ব্যবহার করতে পারেন না। এই অনুমতি রয়েছে কেবল মাত্র প্যারামিলিটারির কমান্ডোদের। ২০১১ সালে ধোনি-কে প্যারাসুট রেজিমেন্চের সাম্মানিক লেফট্যানেন্ট কর্নেলের পদ দেওয়া হয়েছিল। ২০১৫ সালে প্যারা ব্রিগেডের সঙ্গে ট্রেনিং-ও করেছিলেন। তাই তিনি ওই প্রতীক ব্যবহার করার বিষয়টি অর্জন করেছেন।
এখন বোর্ডের আবেদনের পর ঘটনার জয় কতদূর গড়ায় সেদিকেই চোখ থাকবে ভারতীয় ক্রিকেট মহলের। আগামী রবিবার ভারতের ম্য়াচ অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে।