সংক্ষিপ্ত
রবিবার ধোনির গ্লাভসে দেখা গেল না বলিদান প্রতীক। তবে দ্য ওভালের গ্যালারিতে দেখা গেল সেই প্রতীক। এক ধোনিভক্ত তুলে ধরলেন প্রতীক সম্বলিত হোর্ডিং। ধোনি এদিন ওই প্রতীক ব্যবহার করলে ২৫ শতাংশ জরিমানা হত।
আইসিসির কড়া নিষেধাজ্ঞা, তাই অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ভারতের বিশ্বকাপ ২০১৯-এর দ্বিতীয় ম্যাচে 'বলিদান'-এর প্রতীক ছাড়া গ্লাভস পরেই উইকেটকিপিং করতে নামলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। জানা গিয়েছে দলের সতীর্থরাও না কি ধোনিকে ওই গ্লাভস পরে নামার কথাই বলেছিলেন। কিন্তু ভারতীয় বোর্ড ও দোনি নিজেও এই নিয়ে অযথা আর বিতর্কটা বাড়তে দিতে চাননি। কিন্তু তাই বলে কি বলিদান ব্যাজ-এর প্রবেশ আটকানো গেল দ্য ওভাল ক্রিকেট গ্রাউন্ডে? না, আইসিসি তা করতে পারল না।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে বিশ্বকাপ ২০১৯-এর প্রথম ম্যাচে মহেন্দ্র সিং ধোনি, তাঁর কিপিং গ্লাভসে ভারতীয় আধা সামরিক বাহিনীর বিশেষ বলিদান চিহ্ন পরে নেমেছিলেন। এই ভাবে সেনাকর্মীদের ধোনি শ্রদ্ধা জানানোয় তাঁর ভক্তকূলের ধোনর প্রতি শ্রদ্ধা-ভালবাসা উপচে পড়েছিল। সেই ধোনিভক্তরাই এদিন ধোনির হয়ে ওভালের মাঠে তুলে ধরলেন বলিদান প্রতীক।
এদিন দ্য ওভালের গ্যালারিতে দেখা যায় তেরঙ্গা পোশাকে সজ্জিত এক ভারতীয় ক্রিকেট ভক্ত কালোর উপরে হবাদামী দিয়ে বলিদান প্রতীক আঁকা একটি হোর্ডিং তুলে ধরতে। কাজেই আইসিসি ধোনির গ্লাভস থেকে এই প্রতীক সরাতে সফল হলেও ওভালের মাঠ থেকে বলিদান প্রতীককে পুরোপুরি মুছে ফেলতে পারল না।
আইসিসি জানিয়েছিল, তাদের পরিচালিত টুর্নামেন্টে ব্যক্তিগত, বানিজ্যিক, ধর্মীয় বা সামরিক কোনও বার্তা দেওয়া নিষিদ্ধ। ধোনি প্রথম ম্যাচে ওই সামরিক বাহিনীর প্রতীক ব্যবহার করে তা লঙ্ঘন করেছএন। প্রথম অপরাধ লে তাঁকে অনুরোধ করা হয়েছে মাত্র। রবিবার একই কাজ করলে ধোনিকে তিরস্কার করা হত। সেই সঙ্গে ম্য়াচের হবেতনের ২৫ শতাংশ জরিমানা হত। ১২ মাসের মধ্যে তৃতীয়বার আইন ভাঙলে বেতনের ৫০ শতাংশ ও চতুর্থবার ৭৫ শতাংশ ম্য়াচ বেতন জরিমানা করা হবে।