সংক্ষিপ্ত
- বিশ্বকাপ ২০১৯-এর ফাইনালে মুখোমুখি ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ড
- অথচ বেশিরভাগ টিকিটই কিনেছেন ভারতীয় সমর্থকরা
- এখন তাঁরা সেই টিকিট চড়া দামে বিক্রি করছেন
- বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত আইসিসি-ও
বিশ্বকাপ ২০১৯-এর ফাইনালের টিকিট নিয়ে চলছে বিশাল মাপের কালোবাজারি। ভারতীয় সমর্থকরা প্রায় সব টিকিট কিনে রাখায়, ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ড দুই ফাইনালিস্ট দেশের সমর্থকরাই পড়েছেন মহা ফাঁপড়ে। টিকিটের জন্য রীতিমতো হাহাকার শুরু হয়েছে। এই অবস্থায় বিভিন্ন বেসরকারি রিসেল ওয়েবসাইটে প্রায় ৫০ গুণ বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে ফাইনালের টিকিট। দাম উঠেছএ ভারতীয় মুদ্রায় ১৪ লক্ষ টাকা পর্যন্ত!
ভারত বিশ্বকাপ ২০১৯-এর ফাইনালে উঠবেই, এমনটা ধরে নিয়ে মাসখানেক আগে থেকেই লর্ডস-এ ফাইনালের টিকিট কেটেছিলেন হাজার হাজার ভারতীয় সমর্থক। সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে হেরে ভারত ছিটকে যাওয়ায়, এখন আর ফাইনাল দেখতে যাওয়ার ইচ্ছে নেই তাঁদের। কিন্তু এই সুযোগে কিছু উপরি কামিয়ে নেওয়ার সুযোগ হাতছাড়া করতে চান না তাঁরা।
আইসিসির সরকারি ওয়েসাইট মারফত ক্রয়মূল্য়েই আগে থেকে কেনা টিকিট বিক্রি করা যায়। কিন্তু, অধিকাংশ ভারতীয় সমর্থকই, যাঁরা ম্যাচ দেখতে য়েতে চান না, তাঁরা টিকিটগুলি বিক্রি করছেন অন্যান্য বেসরকারি টিকিট রিসেল ওয়েবসাইটের মাধ্যমে। মওকা বুঝে ইচ্ছেমতো চড়া দাম হাঁকছেন।
লর্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ডে ৩০০০০ দর্শকাসন রয়েছে। আইসিসি বিশ্বকাপ ফাইনালের তিনটি ভিন্ন মূল্যের টিকিট রয়েছে - প্ল্যাটিনাম টিকিটে মূল্য ভারতীয় মুদ্রায় ৩৪০০০ টাকা, গোল্ট টিকিট ২৪০০০ টাকা, ও সিলভার টিকিট ৭৫০০ টাকা। কিন্তু বিশ্বকাপের দৌড় থেকে ভারত ছিটকে যাওয়ার পর বিভিন্ন বেসরকারি রিসেল সাইটে সেই টিকিটেরই দাম দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১০.৫ লক্ষ টাকা, ৬.৮ লক্ষ টাকা, ৫.৫ লক্ষ টাকায়।
অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে আইসিসিও নড়ে চড়ে বসতে বাধ্য হয়েছে। রিসেল সাইটগুলির সঙ্গে আলোচনা করে এই কালোবাজারি বন্ধ করা হবে বলে বিবৃতি দিয়েছে তারা। সেইসঙ্গে দুই ফাইনালিস্ট দলের সমর্থকদের জন্য রবিবার মাঠের বাইরে আরও ২০০-২৫০ টিকিট বিক্রি করা হবে বলে আশ্বস্ত করেছে।