সংক্ষিপ্ত

  • শুরু হয়ে গিয়েছে ক্রিকেট বিশ্বকাপ
  • প্রথম দিনই ধারাভাষ্যকারদের বক্সে অভিষেক ঘটেছে সচিন তেন্ডুলকরের
  • বিশ্বকাপে তিন ক্রিকেটারের খেলা নিয়ে তাঁর আগ্রহ রয়েছএ বলে জানালেন সচিন
  • তাঁদের কেউ ভারতীয় নয়

১৯৮৯ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তাঁর অভিষেক ঘটেছিল। তার ৩০ বছর পর আরও একবার অভিষেক ঘটল সচিন তেন্ডুলকরের। বিশ্বকাপের প্রথম ম্য়াচে জীবনে প্রথমবার ধারভাষ্যকারদের বক্সে পা রাখলেন লিটল মাস্টার। আর আহবির্ভাবেই হাঁকালেন স্ট্রেট ড্রাইভ। বিশ্বকাপে কোন কোন ক্রিকেটারে খেলার উপর নজর রয়েছে তাঁর? টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রানের মালিক সচিন বেছে নিলেন তিনটি নাম। তার মধ্যে কিন্তু বিরাট কোহলি, জসপ্রিত বুমরা বা অন্য কোনও ভারতীয় ক্রিকেটারের নাম নেই।

ইংল্যান্ড-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচের দুই ইনিংসের মাঝের বিরতিতে সচিন জানালেন এই বিশ্বকাপে তাঁর প্রচন্ড আগ্র রয়েছে আফগান স্পিনার রশিদ খানকে নিয়ে। অসম্ভব প্রতিভাধর এই স্পিনার একাই তাঁর দেশকে অনেকদূর টেনে নিয়ে যাওয়ার ক্ষমতা রাখেন বলে মনে করছেন ক্রিকেট কিংবদন্তি। সেই সঙ্গে তরুণ আফগান ক্রিকেটারকে তাঁর পরামর্শ, প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানদের চ্যালেঞ্জ করতে হবে। মার খেলে গুটিয়ে গেলে হবে না। আক্রমণ করতে হবে। আর তাহলেই দেশের সমর্থকদের হতাশ করবেন না রশিদ - এই কথাও জানিয়েছেন সচিন।

ব্যাটসম্যান হিসেবে এই বিশ্বকাপে সবচেয়ে সফল হওয়ার সম্ভাবনা সচিনের মতে অজি ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নারের। সচিন জানিয়েছেন, তিনি এইবারের আইপিএল-এও ওয়ার্নারের খেলা দেখেছেন। তিনি ওই টুর্নামেন্টেই কিন্তু প্রতিপক্ষদের জন্য বিরাট বিবৃতি দিয়ে রেখেছেন। সচিন জানিয়েছেন নির্বাসন কাটিয়ে ফেরার পর ওয়ার্নারকে তাঁর আরো বেশি ক্ষুদার্ত, আরও বেশি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ, আরও বেশি 'ফোকস্ড' মনে হয়েছে। এমনকী যেভাবে প্রতিটা রান নেওয়ার জন্য ছুটছেন এই অস্ট্রেলিয় ব্যাটসম্যান, তাতে ফিটনেসেরও অনেক উন্নতি হয়েছে বলে মনে হয়েছে লিটল মাস্টারের। এবার বিশ্বকাপে ওয়ার্নার কী করেন তা দেখতে মুখিয়ে আছেন তিনি।

এর সঙ্গে সচিন যোগ করেন ইংল্যান্ড দলের এক্স ফ্যাক্টর হিসেবে যাঁকে ধরা হচ্ছে সেই জোফ্রা আর্চারের নাম। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের অভিজ্ঞতা প্রায় শূন্য হলেও তাঁকে বিশ্বকাপে দলে নিয়েছে ইসিবি। শুধু তাই নয়, প্রথম ম্যাচ থেকেই প্রথম একাদশেও স্থান পেয়েছেন। সচিন মনে করছেন আর্চার ইংরেজ অধিনায়কের রক্ষাকর্তা হয়ে উঠতে পারেন। চাপের মুখে রান আটকানোর এমনকী উইকেট তোলার জন্যও তার উপর অনেকটা নির্ভর করবে ইংল্যান্ড এমনটাই জানিয়েছেন সচিন।

ম্যাচের পরবর্তী অংশে জোফ্রা আর্চার সচিনের কথা ঠিক প্রমাণ করেও দিয়েছেন। ৭ ওবার হাত ঘুরিয়ে মাত্র ২৭ রান দিয়ে তিনি ৩টি উইকেট শিকার করেছেন প্রথম ম্যাচেই।

ধারাভাষ্যে অভিষেক হওয়া নিয়ে সচিন জানিয়েছএন, ৩০ বছর আগে মাঠে যেমন স্নায়ুর চাপে ভুগেছিলেন, এই ক্ষেত্রেও একইরকম অনুভূতি হচ্ছে। কারণ গত ৩০ বছর ব্য়াট হাতে আরও অসংখ্যবার মাঠে নামলেও, মাইক হাতে ধারাভাষ্যরকারদের বক্সে তিনি এই প্রথম।