সংক্ষিপ্ত
- এদিন বিশ্বকাপে মুখোমুখি হয়েছিল পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা
- কিন্তু সকাল থেকেই ব্রিস্টলে অঝোরে বৃষ্টি হয়
- অনেকক্ষণ অপেক্ষা করে ম্যাচটি বাতিল করা হল
- খেলা হল না একটি বলও। যা উসকে দিচ্ছে ১৯৯২ সালের বিশ্বকাপের স্মৃতি
বেশ কয়েকবার বৃষ্টি থামল, আম্পায়াররা মাঠে নামলেন। মাঠ পরিদর্শন করতে করতেই ফের ঝেঁপে এল বৃষ্টি। শেষ পর্যন্ত ভারীয় সময় সোয়া আটটা নাগাদ শেষবার মাঠ ও পিচ পরিদর্শনের পর ম্যাচটি বাতিলই করা হল। দুটি দলই ১টি করে পয়েন্ট পেল। ফলে ২০১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপে পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কা ম্যাচই হল প্রথম বৃষ্টিতে পণ্ড হওয়া ম্যাচ। আগামী কয়েকদিনে, এইভাবে আরও বেশ কিছু আকর্ষণীয় লড়াই ভেস্তে যেতে পারে, এইরকমই আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ব্রিস্টল শহরের আবহাওয়া এদিন সকাল থেকেই বেশ খারাপ ছিল। সকাল থেকেই আকাশ ছিল কালো। কখনও বৃষ্টির বেগ বেড়েছে, কখনও কমেছ। অবস্থা এতটাই গুরুতর যে শহরে হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়। ম্যাচ শুরু হতে যে দেরী হবে তা শুরুতেই বোঝা গিয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত যে একটিও বল খেলা যাবে না, এমনকী টস অবধি হবে না - তা ভাবতে পারেননি কেউই।
দুই দলের সমর্থকরাই, বিশেষ করে প্রচুর পরিমাণে পাকিস্তানি সমর্থক এদিন দেশের পতাকার রঙে রঙিন হয়ে এসেছিলেন মাঠে। অনেকে বৃষ্টি থেকে বাঁচতে পাকিস্তানের সাদা সবুজ রঙের ছাতা দিয়েও গ্যালারিতে ভিড় জমান। আগের ম্যাচেই বিশ্বকাপ জেতার প্রধান দাবিদার ইংল্যাকে পরাজিত করায় প্রচুর আশা নিয়ে মাঠে আসেন সমর্থকরা। অপরদিকে শ্রীলঙ্কার বোলিং বিভাগও আগের তাদের শেষ ম্যাচে খুব ভাল বল করেছিল। সব মিলিয়ে একটা দারুণ জমজমাট ম্যাচ দেখার আশায় ছিলেন প্রত্যেকেই। অনেকেই ভেবেছি অন্তত একটি টি২০ ম্যাচের উত্তেজনার স্বাদ নেওয়া যাবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাঁদের হতাশই হতে হল।
তবে এরপরও পাক সমর্থকরা একটি পরিসংখ্যান তুলে ধরছেন। ১৯৯২ সালের বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচে ওয়েস্টইন্ডিজের বিরুদ্ধে প্রায় উড়ে গিয়েছিল ইমরান খানের দল। তার পরের ম্যাচেই পেয়েছিল। আর তার পরের ম্যাচ? বৃষ্টির জন্য হয়েছিল বাতিল। সেইবারও রাউন্ড রবিন লিগ ফর্ম্যাটেই খেলা হয়েছিল। আর শেষে কী হয়েছিল তা সবার জানা।
তবে গ্রুপ ম্যাচগুলির জন্য আইসিসি একটিও রিজার্ভ দিন না রাখা নিয়েও ক্ষোভ রয়েছে। টুর্নামেন্ট আরও এগোলে কোনও গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ যদি এইভাবে বৃষ্টিতে ভেস্তে যায়, তাহলে তা প্রতিযোগিতায় বড় প্রভাব ফেলতে পারে। সেই ক্ষেত্রে কি হবে তাই নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তবে এদিন মাঠে যাঁরা এসেছিলেন, তাঁদের প্রাপ্তি, বিশ্বকাপের লোগো দেওয়া ফ্রি-তে পাওয়া লাল টুকটুকে আপেল। যা এদিন মাঠে ঢোকার সময় সবাইকে দেওয়া হয়। আর বাকি সময় বৃষ্টিস্নাত ব্রিস্টলের মাঠে সমানে একের পর এক গান বাজিয়ে গেলেন ডিজে।