সংক্ষিপ্ত
- আজ দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি ভারত
- বিরাটকে অপরিণত বলেছিলেন রাবাডা
- উল্টে রাবাডার প্রশংসা করলেন বিরাট
মুখে নয়, কাগিসো রাবাডাকে হয়তো মাঠেই জবাবটা দিতে চান ভারচ অধিনায়ক। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করার আগে, সেটাই বুঝিয়ে দিলেন বিরাট কোহলি।
কয়েকদিন আগে বিরাট কোহলিকে কটাক্ষ করে দক্ষিণ আফ্রিকার এই তারকা পেসার দাবি করেছিলেন, ক্রিকেট মাঠে এখনও অপরিণত বিরাট। ব্যাটসম্যান কোহলির প্রশংসা করলেও বিরাটের খেলোয়াড়সুলভ মানসিকতা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন তুলেছিলেন রাবাডা। তাঁর অভিযোগ, বিরাট নিজে মাঠে বিপক্ষ দলের ক্রিকেটারদের গালিগালাজ করেন, মনসংযোগে ব্যাঘাত ঘটাতে চান, কিন্তু পাল্টা তার জবাব দিলে হজম করতে পারেন না। আইপিএলে বিরাটের বিরুদ্ধে খেলার অভিজ্ঞতা থেকেই তাঁর ভারত অধিনায়ক সম্পর্কে এমন ধারণা তৈরি হয়েছে বলে দাবি করেন রাবাডা।
বুধবারের ম্যাচের আগে মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে এসে অবশ্য রাবাডার এই অভিযোগের জবাব দিতে চাননি বিরাট। তিনি বলেন, কোনও খেলোয়াড়েই প্রতিপক্ষকে সাংবাদিক বৈঠক থেকে জবাব দিতে চান না। বরং রাবাডাকে সম্মান দিয়েই তাঁর দলের ব্যাটসম্যানদের সতর্ক করে দিয়েছেন বিরাট। রাবাডার মতো বোলারের ক্ষমতার কথা মাথায় রেখে দলকে তৈরি থাকার পরামর্শ দিয়েছেন বিরাট।
তাঁর কথায়, "রাবাডার বিরুদ্ধে আমি অনেক বারই খেলেছি। আমার মনে হয় যেটা নিয়ে পরস্পরের মধ্যে কথা বলা প্রয়োজন, সেটা আমরা বলতেই পারি। কিন্তু রাবাডা কী বলেছে, তার জবাব আমি সাংবাদিক বৈঠক থেকে দেব না। রাবাডা একজন বিশ্বমানের বোলার। নিজের সেরা দিনে ও যে কোনও ব্যাটিং অর্ডারকে একা শেষ করে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে।"
এবারের বিশ্বকাপে অবশ্য ভারতের বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে অবশ্য রাবাডা এবং তাঁর দলই ব্যাকফুটে। ভারতের বিরুদ্ধে ম্যাচটি তাঁদের কাছে মরণবাঁচন লড়াই। কারণ বিশ্বকাপের প্রথম দুই ম্যাচেই হারের মুখ দেখতে হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকাকে। তার মধ্যে বাংলাদেশের বিরুদ্ধেও দক্ষিণ আফ্রিকা হারায় দেশে কড়া সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে রাবাডার বোলিংও ছিল একেবারে সাদামাটা। এ দিকে ডেল স্টেনও চোটের কারণে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গিয়েছেন। চোটের কবলে পড়ে ভারত ম্যাচে নেই দলের পেস বোলিংয়ের অন্যতম ভরসা এনগিডিও। ফলে, ভারতের শক্তিশালী ব্যাটিং অর্ডারকে থামাতে রাবাডার উপরেই অনেকটা নির্ভর করতে হবে দক্ষিণ আফ্রিকাকে।
দক্ষিণ আফ্রিকা দলের বর্তমান অবস্থা নিয়ে অবশ্য মাথা ঘামাচ্ছেন না বিরাট। রাবাডাদের একই রকম গুরুত্ব দিয়ে দলের ফোকাস ঠিক রাখতে চাইছেন তিনি। কারণ বিরাটও জানেন, জয় দিয়ে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করাটা কতটা গুরুত্বপূ্র্ণ।