সংক্ষিপ্ত

  • বিশ্বকাপ খেলতে বিদেশে কোহলি
  • দেশে তাঁর বাড়িতে চলছে পানীয় জল দিয়ে গাড়ি ধোয়া
  • অথচ দেশের একটা বড় অংশ ভুগছে পানীয় জলের অভাবে
  • এর জন্য জরিমানা দিতে হল মিউনিসিপাল কর্পোরেশনকে

 


বিরাট কোহলি আপাতত বিশ্বকাপ ক্রিকেট খেলতে বিলেতে। আর দেশে তাঁর গাড়ির চালক ও বাড়ির কর্মচারিদের জন্য জরিমানার মুখে পড়তে হল তাঁকে। জরিমানার পরিমাণ মাত্র ৫০০ টাকা হলেও, অপরাধ কিন্তু মারাত্মক।

দেশের একটা বড় অংশ যখন বৃষ্টির অভাবে ভয়াবহ খরার হুমকির মুখে, দেশের বিস্তৃর্ণ এলাকায় যখন পানীয় জলের ব্যাপক অভাব, তখন বিরাট কোহলির গাড়ি ধোয়ার জন্য নষ্ট করা হচ্ছিল লিটার লিটার পানীয় জল। শুক্রবার হাতে নাতে ধরা পড়ে যায় বিষয়টি। আর এরপরেই গুরুগ্রাম মিউনিসিপাল করিপোরেশনের পক্ষ থেকে পানীয় জল নষ্টের অপরাধে জরিমানা করে বিরাট কোহলিকে।

গুরুগ্রামের ডিএলএফ ফেজ ১-এ থাকেন ভারত অধিনায়ক। জানা গিয়েছে এর আগেও বিরাট কোহলির বাড়িতে জল নষ্ট করা হয় - এই মর্মে অভিযোগ করা হয়েছিল মিউনিসিপালিটিতে। এদিন সকাল সকাল পুরকর্তারা হানা দেন বিরাটের বাড়িতে। জানা গিয়েছে, ২টি এসইউভি সহ, বিরাটের মোট ছয়টি গাড়ি পরিষ্কারের জন্য রোজ অন্তত পক্ষে ১০ লিটার করে পানীয় জল নষ্ট করা হচ্ছিল।

তবে শুধু বিরাট কোহলিই নন, একই অপরাধে জরিমানা দিতে হয়েছে ওই এলাকার আরও বেশ কিছু বাড়ির মালিককেও। গুরুগ্রাম মিউনিসিপাল কর্পোরেশনের কমিশনার যশপাল যাদব জানিয়েছেন তীব্র গরমে ওই এলাকার মাটির নিচে জলস্তর অনেক নিচে নেমে গিয়েছে। ফলে গোটা শহর জুড়েই পানীয় জলের তীব্র হাহাকার দেখা দিয়েছে।

এই অবস্থায় প্রথমে জল নষ্টের বিরুদ্ধে প্রচারাভিযান চালানো হয় মিউনিসিপাল কর্পোরেশন থেকে। তাতেও কাজ না হওয়ায় কোন কোন বাড়িতে পানীয় জল নষ্ট করা হচ্ছে, তা দেখতে ওই এলাকায় হানা দেন পুরকর্তারা। আর তাতেই এই নির্লজ্জ অপরাধের বিষয়টি সামনে আসে। আর এরপরেই এই নিয়ে তীব্র সমালোচনা হয়েছে ভারত অধিনায়ক-সহ জরিমানা দেওয়া বাড়ির মালিকদের।

বলা হচ্ছে দেশের অধিকাংশ জায়গায় যখন জলের তীব্র অভাব চলছে তখন, এইভাবে পাণীয় জল নষ্ট করাটা, হত্যা বা তার সমতুল্য কোনও বড় অপরাধেরই সামিল, অত্যন্ত অমানবিক। যাঁদের ৬-৭টি করে গাড়ি আছে তাঁদের পক্ষে ৫০০ টাকা জরিমানা দেওয়াটা কোনও ব্যাপারই নয়। কাজেই এতেও কতটা কাজের কাজ হবে তাই নিয়েও সন্দেহ রয়েছে। প্রশ্ন উঠছে এটাই কি তাহলে আলট্রা মর্ডার্ণ সমাজ? যে সমাজের দেএর বাকি অংশ, সেখানকার মানুষ তাঁদের নিয়ে কোনও ভাবনাই নেই। নিজেদের স্বাচ্ছন্দ নিয়েই মত্ত।