সংক্ষিপ্ত

  • বিশ্বজয়ের ২৮ বছর পূর্তি পাকিস্তানের
  • ১৯৯২ তে আজকের দিনেই বিশ্বকাপ জেতে তারা
  • ফাইনালে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে কাপ তুলেছিল পাকিস্তান
  • পাকিস্তানের অধিনায়কত্বে ছিলেন ইমরান খান

আজকের দিনে ২৮ বছর আগে ক্রিকেট বিশ্বকাপের ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল পাকিস্তান এবং ইংল্যান্ড। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ৩২ দিন ধরে ৩৮ টি ম্যাচের পর ফাইনাল খেলার ছাড়পত্র পেয়েছিল দুই দল। প্রায় ৯০,০০০ মানুষের সামনে মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে ফাইনাল খেলতে নামে গ্রাহাম গুচের ইংল্যান্ড এবং ইমরান খানের পাকিস্তান। টুর্নামেন্টের শুরুতে নড়বড়ে দেখালেও শেষদিকে অসাধারণ ফর্ম এবং কিছুটা ভাগ্যের সহায়তায় ফাইনালে পৌঁছয় পাকিস্তান। অপরদিকে শেষ ৬ টি ম্যাচের মধ্যে পাঁচটি জিতে ফাইনালে উঠেছিল ইংল্যান্ড। 

আরও পড়ুনঃআধুনিক ক্রিকেটের রান মেশিন বিরাট কোহলির সম্পর্কে প্রাক্তনদের সেরা ১০টি উক্তি

ফাইনালে পাকিস্তান প্রথমে ব্যাট করতে নামে। কিন্তু চটজলদি দুই উইকেট খুইয়ে চাপে পড়ে যায় তারা। কিন্তু ডেরেক প্রিঙ্গেল-এর বলে ইমরানের ক্যাচ ফেলেন গ্রাহাম গুচ, ম্যাচ ঘুরে যায় এখান থেকেই। জাভেদ মিয়াঁদাদের সাথে পার্টনারশিপে ১৩৯ রান তোলে ইমরান। দুজনেই অর্ধশতরান করেন। তারা আউট হওয়ার পরে ইনজামাম এবং ওয়াসিম আক্রম ব্যাটিংয়ে ভর করে ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ২৪৯ রান তোলে পাকিস্তান। ৪২ রান করেন ইনজামাম এবং ২১ বলে ঝোড়ো ৩৩ রান করেন ওয়াসিম আক্রম। 

আরও পড়ুনঃদিদির পাশে দাদা, করোনা যুদ্ধে সামিল হবে ইডেন

এরপর ব্যাট করতে নেমে জঘন্য ভাবে ইনিংস শুরু হয় ইংল্যান্ডের। আক্রমের বলে ০ রানে ফিরে যান বোথাম। তারপর আরও দুই উইকেট তোলেন মুস্তাক আহমেদ। আলেক্স স্টুয়ার্ট কে তোলেন আকিব জাভেদ। নেল ফেয়ারব্রাদার এবং অ্যালান ল্যাম্ব ৭২ রানের একটি পার্টনারশিপ করে ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করেন। কিন্তু তারপর ওয়াসিম আক্রমের দুটি অসাধারণ বল ইংল্যান্ডের যাবতীয় স্বপ্ন শেষ করে দিয়েছিল। রাউন্ড দ‍্য উইকেট থেকে একটি লেগকাটার এবং একটি ইনডিপার এ ল্যাম্ব এবং ক্রিস লুইস-কে ফিরিয়ে ইংল্যান্ডের কোমর ভেঙে দেন আক্রম। 

আরও পড়ুনঃ২৮ জন ফুটবল তারকাদের নিয়ে ফিফা ও হু-র করোনা সচেতনতায় প্রচার,ভিডিওতে জায়গা পেলেন সুনীল ছেত্রী
 
৭২ রান করার পাশাপাশি ম্যাচের শেষ উইকেট হিসাবে রিচার্ড ইলিংওয়ার্থ কে আউট করে দলকে জয় এনে দেন ইমরান। ২২ রানে ইংল্যান্ডকে হারায় পাকিস্তান। সামনে থেকে দলকে নেতৃত্ব দেন ইমরান। এখন তিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী এবং তার পর ২৮ বছর কেটে গেলেও সেই কৃতিত্ব আর কখনো পুনরায় অর্জন করতে পারেনি পাকিস্তান।