সংক্ষিপ্ত

বুধবারের ম্যাচেই টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যায় আফগানিস্তান। পাক ব্যাটসম্যান আসিফ আলী ম্যাচের উনিশ তম ওভারে আফগানিস্তানের ফাস্ট বোলার ফরিদ আহমেদের সাথে বাগবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ার পরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে গ্যালারিতে। 

শারজায় আক্রান্ত হলেন পাকিস্তানী সমর্থকেরা। বুধবার এশিয়া কাপে সুপার ফোরের ম্যাচে পাকিস্তানের কাছে এক উইকেটে হেরে যায় আফগানিস্তান। পাকিস্তানের কাছে শেষ ওভারে পরাজয়ের পর ক্ষুব্ধ ও হতাশ আফগানিস্তান ক্রিকেট ভক্তরা শারজা স্টেডিয়ামে তুমুল ভাঙচুর চালায়। পাকিস্তান ভক্তদের দিকে চেয়ার ছুড়ে এবং স্টেডিয়াম প্রাঙ্গণের বাইরে রীতিমত হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন দুই দলের সমর্থকরা। 

বুধবারের ম্যাচেই টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যায় আফগানিস্তান। পাক ব্যাটসম্যান আসিফ আলী ম্যাচের উনিশ তম ওভারে আফগানিস্তানের ফাস্ট বোলার ফরিদ আহমেদের সাথে বাগবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ার পরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে গ্যালারিতে। পাকিস্তান আফগানিস্তান ম্যাচের এই ঝামেলার ছবি ১৯৮৩ সালের অস্ট্রেলিয়া ও পাকিস্তানের মধ্যে একটি টেস্ট ম্যাচে কুখ্যাত ডেনিস লিলি-জাভেদ মিয়াঁদাদ ঝামেলার কথা মনে করিয়ে দেয়।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওয়ার আগেই আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের খেলোয়াড়দের আলাদা করা হয় এবং বাবর আজমের নেতৃত্বাধীন দল নাটকীয়ভাবে জিতে নিয়ে ম্যাচটি শেষ হয়। একাধিক ভাইরাল ভিডিওতে, আফগানিস্তানের ভক্তদের একটি অংশকে স্টেডিয়ামের চেয়ার উপড়ে ফেলতে দেখা গেছে এবং সেগুলি পাকিস্তান ভক্তদের দিকে ছুঁড়ে মারতে দেখা গেছে। জলের বোতল, চেয়ার ছুঁড়ে মারার অভিযোগ ওঠে আফগানিস্তান সমর্থকদের বিরুদ্ধে। যদিও যে ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করা হয়েছে তার সত্যতা যাচাই করেনি সংবাদমাধ্যম। 

স্টেডিয়ামের নিরাপত্তারক্ষীদের আয়ত্তের বাইরে চলে যায় গোটা বিষয়টা। তবে এই ঘটনায় কারও আহত হওয়ার খবর নেই। উল্লেখ্য, আসিফ আউট হতেই তাঁর সামনে গিয়ে ঘুষি মারার ভাব করেন ফারিদ। তাতেই রেগে যান আসিফ। তিনিও ব্যাট উঁচিয়ে তাঁকে মারার ইঙ্গিত করেন। পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাওয়ার আগেই আফগানিস্তানের অন্য ক্রিকেটাররা চলে আসেন। তাঁরা ফারিদকে সরিয়ে নিয়ে যান।

আসিফ বেরিয়ে যেতে যেতেও কিছু বলতে থাকেন। সেই অবস্থায় তাঁকে ঠান্ডা করেন হাসান আলি। তিনি মাঠে এসে শান্ত হতে বলেন ফারিদকেও। পরিস্থিতি সামলে নেন তাঁরা। নইলে মাঠের মধ্যেই একে অপরের গায়ে হাত তুলে দেওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়ে গিয়েছিল। পরিস্থিতি সামলাতে ছুটে আসেন আম্পায়াররাও।

উল্লেখ্য, এই ম্যাচ পাকিস্তান জয়ের ফলে এশিয়া কাপের সুপার ফোর রাউন্ডের পরের দুটি ম্যাচের আর কোনও মূল্য রইল না। কারণ পরের ম্যাচে মুখোমুখি হবে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা ও ভারত ও আফগানিস্তান। শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তান ২টি করে ম্যাচ জিতে ফাইনালে পৌছে গিয়েছে। অপরদিকে ভারত ও আফগানিস্তান ২টি করে ম্যাচ হেরে প্রতিযোগিতা ছিটকে গিয়েছে। ফলে শেষ ২টি ম্যাচ কেবল নিয়ম রক্ষার হয়েই থেকে গেল।