সংক্ষিপ্ত
রঞ্জি ট্রফির (Ranji Trophy 2022) সেমি ফাইনালে (Semi Final) পৌছে গেল বাংলা (Bengal)দল। কোয়ার্টার ফাইনালে ঝাড়খণ্ডের বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে ৪৭৫ রানের লিড পায় বাংলা। তার ফলেই শেষ চারে অরুণ লালের দল।
ঝাড়খণ্ডের বিরুদ্ধে দাপটের সঙ্গে খেলে রঞ্জি ট্রফি সেমি ফাইনালে পৌছে গিয়েছে বাংলা দল। ম্য়াচের প্রথম ইনিংসে পাহাড় প্রমাণ ৭৭৩ রান করার পরই সেমিতে ওঠার ভাগ্য নিশ্চিৎ হয়ে গিয়েছিল। তার মধ্যে প্রথম ইনিংসে ৪৭৫ রানের বিশাল লিড। দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলা পঞ্চম দিনে ৭ উইকেট হারিয়ে ৩১৮ রান করে। শতরান করেন বাংলার মন্ত্রী ও অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মনোজ তিওয়ারি। সেমি ফাইনালের লড়াইয়ের আগে মনোজ তিওয়ারির পুরোপুরি ফর্মে ফেরা বাংলা দলের কাছে বড় প্রাপ্তি। সেই কথা স্বীকার করে নিয়েছেন বাংলার কোচ অরুণ লাল থেকে শুরু করে সিএবি সভাপতি অভিষেক ডালমিয়া।
অরুণ লাাল বলেছেন, 'দলের পারফরম্যান্সে আমি খুব খুশি। খুব ভালো লাগছে। কিন্তু আমাদের লক্ষ্য ট্রফি জেতা। এই জয় সেই লক্ষ্যের আরও এক ধাপ কাছা নিয়ে গেল। ছেলেরা আগামীকাল সম্পূর্ণ ছুটি নিচ্ছে এবং আমরা রবিরা থেকে অনুশীলন করব।' মনোজ তিওয়ারির ইনিংসেরও প্রশংসা করেন অরুণ লাল। বাংলার কোচ বলেছেন,'আমি মনোজকে দেখে খুব মুগ্ধ। তিনি সম্প্রতি খুব বেশি ক্রিকেট খেলেননি। ক্লাব ক্রিকেটের জন্যও বেশি সময় পাননি। হাঁটুর সমস্যার কারণে তার ফিটনেস ব্যাহত হয়েছে। তবে খেলার প্রতি তার প্রতিশ্রুতি অনুপ্রেরণাদায়ক। মনোজ ফর্মে আসা আমাদের সবচেয়ে বড় সম্পদ হতে চলেছে। তিনি একজন কিংবদন্তি, তিনি বাংলার সেরা পাঁচ ক্রিকেটারের মধ্যে রয়েছেন। তার ফর্ম আমাদের সত্যিই একটি শক্তিশালী ইউনিট করে তোলে'। সিএবি সভাপতি অভিষেক ডালমিয়া বলছেন, "মনোজ অন্যরকম ক্লাস। ওর মধ্যে একটা ডিটারমিনেশন রয়েছে। ঠিক সময়ে মনোজ ফর্মে এসেছে। আমাদের সামনে এখন কঠিন দু'টো ম্যাচ রয়েছে। মনোজ অত্যন্ত অভিজ্ঞ প্লেয়ার। ভাল খেলে। ওর ওপর প্রত্যাশা রয়েছে আমাদের। আশা করব ও আগামী ম্যাচগুলিতেও ভাল খেলবে।"
বিধায়ক ও মন্ত্রীর হওয়ার পরও তার ক্রিকেট খেলা চালিয়ে নিয়ে যাওয়া নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছিলেন। মুখে কথা না বলে নিজের পারফরম্য়ান্সের মাধ্যনে সমালোচকদের জবাব জিলেন মনোজ। কোয়ার্টার ফাইনাল ম্য়াচের পর মনোজ তিওয়ারি জানিয়েছেন,'দল জিতলে সেমিফাইনালে উছলে ভালো লাগে। সেই জয়ে নিজের অবদান থাকলে আনন্দ বহুগুণ বেড়ে য়ায়। আমরা আমাদের লক্ষ্যের প্রথম বাধা অতিক্রম করেছি। বাংলার হয়ে ম্যাচ জিততে পেরে সবসময় নিজেকে সম্মানিত বোধ করি।' এছাড়াও মনোজ বলেছেন,'জীবন কখনই সহজ নয়, এতে সমস্যা থাকবে এবং আপনাকে এর মধ্য দিয়ে লড়াই করতে হবে। মন্ত্রিত্বে আসার পর যখন লোকেরা আমাকে বাংলার হয়ে খেলা নিয়ে প্রশ্ন করে, তখন তারা জানে না বাংলার ক্রিকেটের প্রতি আমার আবেগ ও অনুভূতির কথা। যখন আমি ক্রিকেট খেলা শুরু করি তখন আমার স্বপ্ন ছিল বাংলার হয়ে খেলা, অবশেষে যখন সুযোগ পেলাম তখন এই দলের হয়ে রঞ্জি ট্রফি জিততে চেয়েছিলাম এবং আমার সেরাটা দিতে চেয়েছিলাম। এখনই সেই একই মানসিকতা নিয়ে খেলি। আমি বাংলার সাথে তিনটি ফাইনালে পৌঁছেছি এবং রানার আপ হয়েছি। এবারও একই ক্ষুধা নিয়ে নিজেকে উদ্বুদ্ধ করেছি এবং লক্ষ্যে পৌঁছাতে যা প্রয়োজনীয় তাই করেছি।'এবার যে তার ও বাংলা দলের পাখির চোখ ভারত সেরা হওয়া সেই কথাও সাফ জানিয়েছেন মনোজ।
আরও পড়ুনঃলক্ষ্য রঞ্জি জয়, ঝাড়খণ্ডকে দুরমুশ করে প্রতিযোগিতার সেমি ফাইনালে বাংলা