সংক্ষিপ্ত

অস্ট্রেলিয়ার (Australia) ৪১৬ রানের জবাবে প্রথম ইনিংসে তৃতীয় দিনের শেষে ইংল্যান্ডের (England) স্কোর ২৫৮ রানে  ৭ উইকেট। জনি বেয়ারস্টোর (Jonny Bairstow) সেঞ্চুরি ও বেন স্টোকসের (Ben Stokes) হাফ সেঞ্চুরির সৌজন্যে সম্মান জনক স্কোর জো রুটের (Joe Root)দলের।

অ্যাসেজে (Ashes) চতুর্থ টেস্টের তৃতীয় দিনে জনি বেয়ারস্টোর (Jonny Bairstow) সেঞ্চুরি ও বেন স্টোকসের  (Ben Stokes) অর্ধশতরানের সৌজন্যয়ে কিছুটা লড়াই করলেও, এখনও ম্য়াচ হারের ভ্রুকুটি কাটেনি ব্রিটিশ লায়ন্সদের। তবে তৃতীয় দিনেও একটা সময় ৩৬ রানে ৪ উইকেটে হারিয়ে চাপে পড়ে গিয়েছিল জো রুটের (Joe Root) দল। সেখান থেকে স্টোকস ও বেয়ারস্টোর ইনিংসের সৌজন্যেই সম্মানজনক জায়গায় পৌছায় স্কোর। তৃতীয় দিনের শেষে ইংল্য়ান্ডের স্কোর ২৫৮ রানে ৭ উইকেট। ভরসার জায়গা একটাই সেঞ্চুরি করে এখনও ক্রিজে টিকে রয়েছেন জনি বেয়ারস্টো। হাতে রয়েছে তিন উইকেট। চতুর্থ দিনে টেলেন্ডারদের নিয়ে কতটা লড়াই চালাতে পারেন তিনি এখন সেটাই দেখার। এখনও অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংসে করা ৪১৬ রানের স্কোর থেকে ১৫৮ রান পিছিয়ে রয়েছে ইংল্যান্ড দল। ম্যাচ জয়ের বিষয়ে এখনও আত্মবিশ্বাসী প্যাট কামিন্সের (Pat Cummins) দল। 

তৃতীয় দিনে  বিন উইকেটে ১৩ রান থেকে খেলা শুরু করে ইংল্যান্ড। দিনের শুরুতে প্রথম উইকেটে তুলে নিতে বেশি সময় নেয়নি অস্ট্রেলিয়ার বোলাররা। ২২ রানেই প্রথম উইকেট পড়ে ইংল্যান্ডের। মিচেল স্টার্কের বলে ৬ রান করে বোল্ড হয়ে প্য়াভেলিয়নে ফেরত যান হাসিব হামিদ। ইংল্যান্জের দ্বিতীয় উইকেট পড়ে ৩৬ রানে। ১৮ রান করে স্কট বোল্য়ান্ডের বলে বোল্ড হন জ্য়াক ক্রাউলি। এরপর ৩৬ রানেই  আরও দুটি উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। খাতা না খুলেই বোল্যান্ডের বলে আউট হন ইংল্যান্ড অধিনায়ক জো রুট। তারপরই ব্যাক্তিগত ৩ রানে ক্যামেরন গ্রিনের বলে আউট হন ডেভিড মালান। ৩৬ রানে ৪ উইকেট পড়ার পর অনেকেই  ধরে নিয়েছিল ফের অল্প রানেই গুটিয়ে যেতে পারে ব্রিটিশ লায়ন্সদের ইনিংস। সেই সময় দলের রাশ ধরেন জনি বেয়ারস্টো ও বেন স্টোকস।

উইকেট পড়লেো খুব একটা ধীর গতিতে ব্য়াট না করে নিজেদের স্বাভাবি খেলা চালিয়ে যান দুই ব্রিটিশ তারকা। অজি পেস অ্য়াটাককে শুধু সামলানোই নয়, বেশ কয়েকটি  অনবদ্য শটও খেলেন তারা। খুব শীঘ্রই নিজেদের অর্ধশতরানের পার্টনারশিপ পূরণ করে ফেলেন তারা। স্কোর বোর্ড চালিয়ে যান এবং নিজেদের অর্ধশতরানও পূরণ করেন তারা। এরই মাঝে ক্যামেরন গ্রিনের বল স্টোকসের উইকেটে লাগলেও বেল না পড়ায় বেঁচে যান তিনি। যেই ভিডিও ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। পড়ে ১২৮ রানের পার্টনারশিপ করার পর ব্যক্তিগত ৬৬ রানে ন্য়াথান লিঁয়-র বলে  আউট হন স্টোকস। দলের ১৬৪ রানে স্টোকস আউট হওয়ার পর ১৭৩ রানে আউট হন জস বাটলার। খাতা না খুলেই কামিন্সের শিকার হন তিনি। অপরদিকে নিজের ইনিংস চালিয়ে বেয়ারস্টো। সেঞ্চুরিও পূরণ করেন তিনি। তাকে যোগ্য সঙ্গত দেন মার্ক উড। দুজনে ৭২ রানের পার্টনারশিপ করেন। শেষে দলের ২৪৫ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ৩৯ রানে আউট হন মার্ক উড। কামিন্সের শিকার হন তিনি। দিনের শেষ ইংল্যান্ডে স্কোর  ৭ উইকেটে ২৫৮। ১০৩ রানে অপরাজিত বেয়ারস্টো ও ৪ রানে লিচ।