সংক্ষিপ্ত
- পাকিস্তান ক্রিকেটে দুর্নীতি নিয়ে মুখ খুললেন মহম্মদ আসিফও
- গড়াপেটা কাণ্ড আমার আগেও হয়েছে, আমার পরেও হয়েছে
- অনেকেই দ্বিতীয় সুযোগ পেয়েছে, তারা বোর্ডের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে
- শুধু আমাকেই দ্বিতীয় সুযোগ দেওয়া হল না বলে মন্তব্য আসিফের
২৩টি টেস্ট ম্যাচে ১০৬টি উইকেট। ৩৮টি ওয়ান ডে উইকেট সংখ্যা ৪৬টি। যার বোলিংয়ের সুইংয়ের সামনে হিম সিম খেত বিশ্বের তাবড় তাবড় ব্যাটসম্যান। কিন্তু একটা ভুল শেষ করে দিল সম্পূর্ণ কেরিয়ার। কথা হচ্ছে পাকিস্তানে প্রাক্তন পেসার মহম্মহ আসিফের। অভিষেকের পর থেকেই বিশ্ব ক্রিকেটে সাফল্যের পর সাফল্য পেয়েছিলেন আসিফ। তার সুইংকে তুলনা করা হত ওয়াসিম আক্রম, ম্যাকগ্রাদের সঙ্গে। ওয়াসিম আক্রম, ওয়াকার ইউনিসের পরে শোয়েব আখতারের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে পাক পেস বিভাগকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু ২০১০ সালে ইংল্যান্ড সফরে ইচ্ছাকৃত নো-বল করে সমস্যায় পড়েছিলেন আসিফ। ম্যাচ গড়াপেটার অভিযোগে সাত বছর নির্বাসন হয় পাক পেসারের। তার পর থেকে কোনও দিন পাকিস্তানের জার্সি পরা হয়নি আসিফের।
আরও পড়ুনঃলকডাউনের নিয়ম ভেঙে পার্টি, বিতর্কে ম্যান ইউর ফুটবলার মার্কোস রোজো
এবার পাকিস্তান ক্রিকেটে দুর্নীতি নিয়ে মুখ খুললেন মহম্মদ আসিফও। পাক ক্রিকেটে দুর্নীতির মাত্রা কখনওই কম ছিল না। এমনই অভিমত মহম্মদ আসিফের। এক ক্রিকেট ওয়েবসাইটকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, “অনেকেই ভুল করে। আমিও করেছি। এ রকম তো নয় যে, আমার পরে কোনও ক্রিকেটার দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত হয়নি। আমার আগেও যারা দুর্নীতি করে গিয়েছে, তারাই এখন পাক ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে যুক্ত। যারা আমার পরে এই সব করেছে, তারা এখনও খেলছে। শুধু আমাকে ক্ষমা করা হল না।” নিজের স্বল্প কেরিয়ারে সাফল্য নিয়ে মুখ খুলেছেন আসিফ। তিনি জানিয়েছেন, “এই ছোট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট জীবনে যা প্রভাব ফেলেছি, অনেকেই পারেনি। এখনও এবি ডিভিলিয়ার্স, হাশিম আমলা, কেভিন পিটারসেনরা আমাকে নিয়ে আলোচনা করে। তা হলেই বুঝুন, সবাই কী রকম ভয় পেতে শুরু করেছিল আমাকে।”
আরও পড়ুনঃফাঁকা স্টেডিয়ামে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হলে বড়সড় ক্ষতির মুখে পড়বে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া
আরও পড়ুনঃলকডাউনে নতুন কিছু শিখুন,নিজের অস্ত্র শান দিন,মন্তব্য লিয়েন্ডার পেজের
শুধু আসিফ নয়, উমর আকমল গড়াপেটায় অভিযুক্ত হওয়ার পর থেকেই পাকিস্তানে একাধিক প্রাক্তন ক্রিকেটার পিসিবির দুর্নীতি ও তা দমনে পিসিবির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। সেই তালিকায় রয়েছে সেলিম মালিক, শোয়েব আখতার, রানা নাভেদ উল হাসান সহ একাধিক ক্রিকেটার। শোয়েব আখতারের বিরুদ্ধে তো আইনি ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে। ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের মতে, একের পর এক প্রাক্তন পাক ক্রিকেটারের বিস্ফোরক মন্তব্যের ফলে চাপ বাড়ছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের।