সংক্ষিপ্ত

ক্রেগ ব্রেথওয়েট (Kraigg Brathwaite) এবং জারমেইন ব্ল্যাকউড (Jermaine Blackwood) - জোড়া শতরান করলেন। ইংল্যান্ডের (England) বিরুদ্ধে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের তৃতীয় দিনটা ওয়েস্ট ইন্ডিজের (West Indies) জন্য দুর্দান্ত গেল। 

ক্রেগ ব্রেথওয়েট (Kraigg Brathwaite) এবং জারমেইন ব্ল্যাকউড (Jermaine Blackwood) - জোড়া শতরানের জোরে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের তৃতীয় দিনটা, ওয়েস্ট ইন্ডিজের (West Indies) জন্য দুর্দান্ত গেল। অন্যদিকে, কেনসিংটন ওভালে (Kensington Oval), প্রখর উত্তাপের মধ্যে, ব্রেথওয়েট-ব্ল্যাকউডের ১৮৩ রানের জুটি, ইংল্যান্ড বোলারদের সারাদিন খাটিয়ে মারল। আপাতত, ৪ উইকেট হারিয়ে ২৮৮ রান তুলেছে তারা। তবে, ইংল্যান্ডের (England) থেকে এখনও ২৮৮ রানে পিছিয়ে তারা। শতরানের পর ব্ল্যাকউড আউট হয়ে গেলেও, এখনও ক্রিজে রয়েছেন অধিনায়ক ব্রেথওয়েট। 

তবে, ইংল্যান্ড যে খারাপ খেলেছে এটা বলা যাবে না। পিচটি প্রথম থেকেই ব্যাটিং সহায়ক। তবে, তৃতীয় দিনে পিচ থেকে কিছু স্পিন আদায় করতে পেরেছেন ইংরেজ বোলাররা। ইংল্যান্ড বোলাররা যথেষ্ট নিয়ন্ত্রণ এবং পরিকল্পনামাফিক বোলিং করলেও, দুই ক্যারিবিয়ান ব্যাটারের সামনে, তাদের সব আক্রমণই ভোঁতা হয়ে গিয়েছে। দুজনের মধ্যে অবশ্যই এগিয়ে ছিলেন ব্রেথওয়েট। একেবারে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ব্যাটিং করে তিনি তাঁর কেরিয়ারের দশম টেস্ট শতরানটি পূর্ণ করেন। তাঁর ঘরের মাঠ বার্বাডোসে (Barbados) অবশ্য এটাই তাঁর প্রথম শতরান। 

আরও পড়ুন - মুকুটে জুড়ল নতুন পালক, বিশ্বের এক নম্বর অলরাউন্ডার এখন জাড্ডু

আরও পড়ুন - মাঠের মধ্য়েই সংজ্ঞা হারিয়ে পতন ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটারের, নিয়ে যেতে হল সোজা হাসপাতালে

আরও পড়ুন - মাটি রক্ষা আন্দোলন নিয়ে ক্রিকেট মাঠে সদগুরু, সঙ্গে বথাম ও ভিভ রিচার্ডস

শতরান করার সঙ্গে সঙ্গে, এদিন সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য একটা মজার পরিসংখ্যানের মালিকও হয়েছিলেন। অল্প সময়ের জন্য হলেও এদিন তিনি দশটি টেস্ট সেঞ্চুরি করা সর্বনিম্ন গড়ের ব্যাটার হয়েছিলেন। ইনিংসের পরের দিকে অবশ্য তাঁর গড়ের কিছুটা উন্নতি হয়। তাই, এই আসনে আবার ফিরে আসেন ইয়ান বোথাম (Ian Botham)

অন্যদিকে প্রায় আট বছর ধরে ৪৫ টি টেস্ট ম্যাচ খেলে ফেললেও, এদিনের শতরান ছিল ব্ল্যাকউডের কেরিয়ারের তৃতীয় শতরান। প্রায়শই, ক্রিজে জমে গিয়েও, অতি উদ্দীপনায় নিজের উইকেট ছুঁড়ে দিতে দেখা যায় তাঁকে। অ্যান্টিগায় (Antiga) প্রথম টেস্টে, যখন ম্যাচ বাঁচানোর লড়াইয়ের প্রয়োজন ছিল, সেই সময়ও তৃতীয় বলেই মারতে গিয়ে আউট হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। ব্ল্যাকউডের এদিনের ইনিংসেও ভাগ্যের সহায়তা রয়েছে অনেকখানি। কোনও রান না করেই তিনি এলবিডব্লিউ আউট হয়ে যেতে পারতেন। ইংল্যান্ড রিভিউ না চাওয়ায় বেঁচে যান। ৬৫ রানের মাথাতেও তিনি বোল্ড হয়েছিলেন। তবে, ইংরেজ স্পিনার সাকিব মাহমুদ (Saqib Mahmood) নো বল করায় ফের একবার জীবন পান তিনি। 

শতরান করে আবেগমথিত হয়ে পড়েন ব্ল্যাকউড। দিনের শেষে তিনি জানিয়েছেন, তাঁর উপর ভাল খেলার জন্য চাপ ছিল। অধিনায়ক এবং সতীর্থরা তাঁর উপর আস্থা রাখলেও, একটানা রান না পেয়ে চাপ অনুভব করেছিলেন তিনি। প্রথম টেস্টেও রান পাননি। তারপরই প্রতিজ্ঞা করেছিলেন, দলের জন্য বড় রান করবেনই। এদিন, শতরান করার পর আবেগে চোখে জল চলে এসেছিল তাঁর। 

এদিন ম্য়াচ চলাকালীন ক্লান্ত ইংল্যান্ড বোলারদের হতাশার ছবিও ধরা পড়ে। ব্ল্যাকউড এবং বেন স্টোকসের (Ben Stokes) মধ্যে আচমকাই উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় শুরু হয়েছিল। আম্পায়ারদের এগিয়ে এসে হস্তক্ষেপ করতে হয়। এই বিষয়ে ব্ল্যাকউড জানান, দীর্ঘদিন ধরেই বেন স্টোকস তাঁকে স্লেজ করতে পছন্দ করে। তিনি নিজেও সেটা উপভোগ করেন। তাঁর মতে, এইরকম হালকা কথার লড়াই ক্রিকেটের জন্য ভালো। তাঁকে কেউ কিছু বললে, তাঁর আত্মবিশ্বাস বাড়ে বলে জানিয়েছেন ব্ল্যাকউড।