সংক্ষিপ্ত
তৃতীয় টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ২ দিনের মধ্যে হারাল ইংল্যান্ড (England beat South Africa)। ৯ উইকেটে ম্যাচ জিতল বেন স্টোকসের (Ben Stokes)দল। একইসঙ্গে ৩ ম্যাচের টেস্ট ২-১ ব্যবধানে জিতল ব্রিটিশ লায়ন্সরা।
ঘরের মাঠে ইংল্য়ান্ড দল কতটা শক্তিশালী তা ফের একবার প্রমাণ হল। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ৩ ম্য়াচের টেস্টে সিরিজের প্রথম ম্যাচ হেরে পিছিয়ে পড়েছিল বেন স্টোকসের দল। দ্বিতীয় ম্য়াচ জিতে সিরিজে সমতা ফিরিয়েছিল ব্রিটিশ লায়ন্সরা। তৃতীয় ম্যাচের ম্য়াচের প্রথম দিনের খেলা ভেস্তে যায়। তারর রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুর কারণে দ্বিতীয় দিনের খেলা স্থগিত রাখা হয়েছিল। অর্থাৎ তৃতীয় টেস্ট ৩ দিনের ম্য়াচে দাঁড়িয়েছিল। কিন্তু তারপরও মাত্র ২ দিনের মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকা তৃতীয় টেস্টে পর্যুদস্ত করে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতল ইংল্যাবন্ড।
ওভালে টস জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন ইংল্য়ান্ড অধিনায়ক বেন স্টোকস। ব্রিটিশ পেসারদের দাপটে ১১৮ রানেই গুটিয়ে যায় জিন এলগারের দলের ইনিংস। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩০ রান করেন মার্কো জানসেন। এছাড়া ২৩ রান করেন খায়া জনডো। অন্যান্য কোনও প্রোটিয়া ব্য়াটসম্য়ান ২০ রানের গণ্ডি টপকাতে পারেনি। ইংল্য়ান্ডের হয়ে আগুন ঝরানো বোলিং করে সর্বোচ্চ ৫ উইকেট নেন ওলি রবিনসন। এছাড়া ৪ উইকেট নেন স্টুয়ার্ট ব্রড ও একটি উইকেট নেন জেমস অ্যান্ডারসন। প্রথম ইনিংসে রান তাড়া করতে নেমে ওভালের পেস সহায়ক উইকেটে বড় স্কোর করতে পারেনি ইংল্যান্ডও। ১৫৮ রানে অলআউট হয়ে যায় ইংল্যান্ড। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৭ রান করেন ওলি পোপ। এছাড়া ২৩ রান করেন জো রুট। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ৫টি উইকেট নেন মার্কো জানসেন। এছাড়া ৪টি উইকেট নেন কাগিসো রাবাডা ও একটি উইকেট নেন আনরিখ নকিয়া। ৪০ রানের মহামূল্যবান লিড পায় ইংল্যান্ড।
দ্বিতীয় ইনিংসেও অব্য়াহত থাকে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং বিপর্যয়। সেভাবে কোনও বড় পার্টনাশিপ গড়তে না পারায় ১৬৯ রানে শেষ হয়ে যা প্রোটিয়াদের দ্বিতীয় ইনিংস। সর্বোচ্চ ৩৬ রানের ইনিংস খেলেন অধিনায়ক ডিন এলগার। এছাড়া ২৬ রান করেন সারেল এরউই ও ২৩ রান করেন কিগান পিটারসেন। ইংল্যান্ডের ৩টি কে উইকেট নেন স্টুয়ার্ট ব্রড ও বেন স্টোকস। এছাড়া ২টি করে উইকেট নেন জেমস অ্যান্ডারসন ও ওলি পোপ। প্রথম ইনিংসের লিড বাদ দিয়ে ইংল্য়ান্ডের টার্গেট দাঁড়ায় ১৩০ রান। রান তাড়া করতে নেমে ওপনিং জুটিতে অনবদ্য ব্য়াটিং করেন ইংল্য়ান্ডের অ্য়ালেক্স লিস ও জ্যাক ক্রাউলি। সোমবার ইংল্যান্ডকে জয়ের জন্য মাত্র ৩৩ রান তুলতে হত। পঞ্চম দিন বিনা উইকেটে ৯৭ রান নিয়ে খেলা শুরু করে ইংল্যান্ড। লক্ষ্য ছিল ১৩০ রান। শতরানের পার্টনারশি করেন ক্রাউলি ও লিস। ১০৮ রানের মাথায় ৩৯ রান করে লিস আউট হন। নিজের অর্ধশতরান পূরণ করেন ক্রাউলি। শেষ পর্যন্ত পঞ্চম দিনের খেলার ঘণ্টা খানেকের মধ্যেই ৯ উইকেটে ম্যাচ জিতে সিরিজ জেতে ইংল্যান্ড।