সংক্ষিপ্ত
- শারজার ছোটো মাঠে রানের বন্যা বইলো কাল রাতে
- স্যামসন, স্মিথ ও আর্চারের ওপর ভর করে বিশাল রান তোলে রাজস্থান
- চেন্নাইয়ের হয়ে শেষ অবধি লড়াই করেন ফ্যাফ দু প্লেসিস
- শেষপর্যন্ত আইপিএল ২০২০ তে প্রথম হারের স্বাদ পায় চেন্নাই
শারজায় আইপিএল ২০২০তে এদিন রাজস্থান রয়্যালসের ব্যাটসম্যানদের ব্যাটে মরু ঝড়়। চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে নির্ধারিত ২০ ওভারে ২১৬ রান তুলল রাজস্থান রয়্যালস। সৌজন্যে তিন নম্বরে নেমে সঞ্জু স্যামসনের বিধ্বংসী ৩২ বলে ৭৪, ইনিংসটা সাজানো ছিল মাত্র ১টি চার ও ৯টি ছক্কা দিয়ে। শারজার ছোটো মাঠের সুবিধা পুরোপুরি ভাবে নেন রাজস্থান ব্যাটসম্যানরা। প্রথমবারের জন্য আইপিএলে ওপেনিংয়ে নেমে অধিনায়ক স্মিথ করলেন ৬৯ রান। তরুণ প্রতিভাবান ব্যাটসম্যান যশস্বী জয়সওয়ালকে দিয়ে আজকে ওপেন করিয়েছিল রাজস্থান রয়্যালস। কিন্তু আশা জাগিয়ে শুরু করলেও মাত্র ছয় রানে ফেরেন তিনি।
প্রথমে স্যামসন এবং পরে স্মিথের উইকেট তুলে চেন্নাই সুপার কিংস ম্যাচের মুখ নিজেদের দিকে ঘুরিয়ে নিয়েছিল একসময়। কিন্তু লুঙ্গি এনগিদির বোলিংয়ের বিরুদ্ধে শেষ ওভারে ৩০ রান তোলে রাজস্থান রয়্যালস। মাত্র আট বলে ২৭ রানের একটি দুর্দান্ত ক্যামিও খেলেন ব্রিটিশ পেসার জোফ্রা আর্চার। শেষ ওভারের প্রথম ২ বলে ২৭ রান দেন লুঙ্গি। ম্যাচ ঘুরে যায় ওখানেই। কিন্তু কিভাবে ঘটলো এই আশ্চর্য ঘটনা।
এনগিডির ওভারের শুরুতে পর পর দু'বলে ছক্কা হাঁকান আর্চার। ২ বলে হয় ১২ রান। এরপর তৃতীয় বলটি ছিল নো বল এবং সেই বলও মাঠের বাইরে ফেলেন আর্চার। স্কোরবোর্ডে ৭ রান যোগ হয়। ফ্রি হিট পায় রাজস্থান। পরের ফ্রি হিট-টিও নো করে বসেন এনগিডি, ছক্কা হাঁকাতে ভুল করেননি আর্চার। ফরে ফের ৭ রান যোগ হয়। ফলে ২টি বৈধ বলে, রান গিয়ে দাঁড়ায় ২৬ রান। পরের বলটি হোয়াইড করে বসেন এনগিডি। বৈধ ২ বলে তখন রান বেড়ে দাঁড়ায় ২৭। অর্থাৎ এনগিদি দ্বিতীয় ও তৃতীয় বল করার মাঝে তিনটি অতিরিক্ত বলে করেন! এভাবেই ২টি বৈধ বলে রাজস্থানের স্কোরবোর্ড ২৭ রান যোগ হয়। একসময় পর পর উইকেট তুলে নিয়ে রাজস্থানকে ১৯০ এর আটকে রাখতে পারবে বলে মনে হচ্ছিল চেন্নাই কিন্তু সেখান থেকে স্কোর গিয়ে দাঁড়ায় ২১৭ তে।
ব্যাটিং করতে নেমে ওয়াটসন আক্রমণাত্মক খেললেও আজ অনেকক্ষণ সময় ক্রিজে কাটিয়েও হতাশ করলেন মুরলী বিজয়। অতিরিক্ত আক্রমণাত্মক হতে গিয়ে উইকেট খোয়ান দুর্দান্ত ফর্মে থাকা স্যাম করন এবং গতকালই অভিষেক ঘটা তরুণ তারকা ঋতুরাজ গায়কোয়াড। আস্তে শুরু করেও পরের দিকে মারমুখী ইনিংস খেলে চেন্নাইকে লড়াইয়ে রেখেছিল দু প্লেসিস। কিন্তু উল্টোদিকে ধোনির কাছ থেকে কোনও সহায়তা না পাওয়ায় শেষপর্যন্ত তার ৭২ রানের ইনিংসটি কোনও কাজে লাগে না। আসল সময় খেলতে না পারলেও শেষ ওভারে তিনটি ছয় মেরে ধোনি বোঝান তার মধ্যে এখনও কিছু ক্রিকেট অবশিষ্ট আছে।