সংক্ষিপ্ত
সচিন তেন্ডুলকরের (Sachin Tendulkar) সঙ্গে একসঙ্গে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেছেন বিনোদ কাম্বলি (Vinod Kambli)। স্কুল জীবন থেকে তারা বন্ধু। কিন্তু বর্তমানে আর্থিক অনটনে ভুগছেন কাম্বলি। কাজ খুঁজছেন সংসার চালানোর জন্য।
একসময় খেলেছেন ভারতীয় ক্রিকেট দলে। কিংবদন্তীয় সচিন তেন্ডুলকরের সঙ্গে তার ছেলেবেলার বন্ধুত্ব। মুম্বইয়ের শারদাশ্রম স্কুল থেকে। স্কুল ক্রিকেটে রেকর্ডও গড়েছেন সচিন-কাম্বলি জুটি। সেই জুটি পৌছেছিল ভারতীয় ক্রিকট দল পর্যন্ত। কিন্তু সেখানে সচিন ক্রিকেট ঈশ্বর হয়ে উঠলেও কাম্বলির কেরিয়র বেশি দীর্ঘায়িত হয়নি। তবে সচিন তেন্ডুলকরের সঙ্গে বিনোদ কাম্বলির বন্ধুত্ব অটুট থেকে গিয়েছে। বর্তমানে সেই বিনো কাম্বলিই এখন চরম আর্থিক অনটনে ভুগছেন। কাজ বলতে হাতে কিছুই নেই। সম্পূর্ণ বেকার। সহায় সম্বল প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার হওয়ার সুবাদে মাসে ৩০ হাজার টাকা পেনশন। যাতে খুবই কষ্টা কাটছে প্রাক্তন বাঁ হাতি ভারতীয় ক্রিকেটের দৈনন্দিন জীবন। তাই বর্তমানে হন্নে হয়ে একটা চাকরি খুঁজছেন বিনোদ কাম্বলি। তবে তা ক্রিকেটের সঙ্গে যুক্ত হলে বেশি ভালো হয় বলে জানিয়েছেন বিনোদ।
২০১৯ সালে টি-টোয়েন্টি মুম্বই লিগে কোচের ভূমিকায় ছিলেন বিনোদ কাম্বলি। সেইসময় পর্যন্ত খুব একটা সমস্যা ছিল নাষ কিন্তু করোনা অতিমারীর পর সমস্যাটা বাড়ে। বন্ধু সচিন তেন্ডুলকর যে তাকে খুব একটা দেখেননি তেমন নয়। একাধিকবার সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। শেষবারও সচিনের মিডলসেক্স গ্লোবাল অ্যাকাডেমিতে মেন্টর হিসেবে কাজ দিয়েছিলেন। সচিনের অ্যাকাডেমি নবি মুম্বইয়ের নেরুলে। কাম্বলির বাড়ি থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে। এত দূরের অ্যাকাডেমিতে গিয়ে কাজ করতে সমস্যা হচ্ছিল ৫০ বছরের প্রাক্তন ক্রিকেটারের। তাই সেই দায়িত্ব ছেড়ে দেন। তার পর থেকে নির্দিষ্ট কোনও আয় নেই কাম্বলির। কাম্বলি জানিয়েছেন, 'ভোর ৫টায় উঠে ট্যাক্সিতে ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে যেতাম। খুবই খাটনি হত। তারপর আবার সন্ধেয় বিকেসি-র মাঠে কোচিং করাতাম। কিন্তু এই বয়সে এত ধকল নিতে পারছিলাম না।' এরপর কাম্বলি বলেন, 'আমি একজন অবসরপ্রাপ্ত ক্রিকেটার। যার সংসার চলে বিসিসিআইয়ের পেনশনে। তার জন্য আমি বোর্ডের কাছে কৃতজ্ঞ।' বর্তমানে যেভাবে দৈনন্দিন জিনিসের দাম বাড়ছে তাতে সংসার চালানোর অসুবিধার কথা জানিয়েছেন কাম্বলি।
এছাড়াও কাম্বলি বলেছেন,'সাহায্যে জন্য আমি মুম্বই ক্রিকেট সংস্থার মুখাপেক্ষী। এমসিএ- কে জানিয়েছি, সংসার চালানোর জন্য অর্থের প্রয়োজন। কোনও কাজ থাকলে দিতে। আমার জীবনে মুম্বই ক্রিকেট সংস্থার অনেক অবদান রয়েছে। তাই তারা কোনও কাজ দিয়ে আবারও আমায় সাহায্য করতে পারে কি না, সেই অপেক্ষাতেই রয়েছি। এমসিএ সভাপতিকেও নিজের অবস্থার কথা জানিয়েছি।' সচিন তেন্ডুলকর সব জানেন। তবে সচিনকে নিয়ে তার কোনও ক্ষোভ নেই বলেও জানিয়েছেন কাম্বলি। তিনি বলেছেন, সচিন আমার প্রিয় বন্ধু। ও সব জানে। কিন্তু ওর থেকে কিছু আশা করছি না। ও আমাকে তেণ্ডুলকর মিডলসেক্স গ্লোবাল অ্যাকাডেমিতে কাজ দিয়েছিল। খুব খুশি হয়েছিলাম। ও এখনও আমার ভাল বন্ধু। সবসময় আমার পাশে দাঁড়িয়েছে।
প্রসঙ্গত, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কেরিয়ারে ভারতের হয়ে ১৭টি টেস্ট ও ১০৪টি একদিনের ম্যাচ খেলেছেন বিনোদ কাম্বলি। টেস্টে ৪টি শতরান, ২টি দ্বিশতরান, ৩টি অর্ধশতরান সহ ১০৮৪ রান করেছেন বিনোদ কাম্বলি। সর্বোচ্চ স্কোর ২২৭ রান। একদিনের ক্রিকেটে ২টি সেঞ্চুরি ১৪টি হাফ সেঞ্চুরি সহ ২৪৭৭ রান করেছেন বিনোদ কাম্বলি। সর্বোচ্চ স্কোর ১০৬ রান।
আর পড়ুনঃকেন বারবার অধিনায়ক পরিবর্তন হচ্ছে টিম ইন্ডিয়ার, সোজাসাপটা উত্তর দিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়