সংক্ষিপ্ত

নকল আইপিএল (Fake IPL) তৈরি করে রাশিয়ানদের (Russians) কাছ থেকে টাকা প্রতারণার ছক। গুজরাট পুলিসের (Gujarat Police) অভিযানে গ্রেফতার ৪ জন। 
 

ক্রিকেট মাঠ, স্টেডিয়াম, ফ্লাড লাইট, একাধিক ক্রিকেট দল, নিয়মিত ক্রিকেট ম্য়াচ, রয়েছে সবকিছুই। শুধু লক্ষ্যটা অন্য। নকল আইপিএল তৈরি করে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা। বাজি ধরার নামে তোলা হচ্ছিল বিপুল পরিমাণ অর্থ। তাও এবার ম্য়াচ হচ্ছে ভারতে, আর আইপিএল ভেবে টাকা লাগিয়ে সেই সকল ম্য়াচে বাজি ধরছেন রশিয়ান নাগরিকরা। কী ভাবছেন কো  ও সিনেমার চিত্রনাট্য। কিন্তু না, বাস্তবের মাটিতে হয়েছে ঠি এমনটাই। যা হার মানিয়ে দেবে যে কোনও সিনেমাকেও। ঘটনাটি ঘটেছে গুজরাটের মলিপুর গ্রামে। বিয়য়টি জানতে পেরেই অভিযানে নামে গুজরাট পুলিস। বন্ধ করা হয় মানুষ ঠকানো এই ভুঁয়ো আইপিএলের ফাঁদ। ঘটনায় দাবদা শোয়েব আবদুল মজিদ নামে এক ব্যক্তি সহ ৪ জনকে গ্রেফতার করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। 

পুলিসের মতে এই পুরো ভুঁয়ো আইপিএল তৈরি করার মাস্টার মাইন্ড দাবদা শোয়েব। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গিয়েছে, রাশিয়ার একটি পাবে ৮ মাস কাজ করার পর মলিপুর গ্রামে ফিরে এসেছিলেন দাবদা শোয়েব। সেই পাবে একজন ঠগ আসিফ মহম্মদ তাকে প্রতারণার এই পুরো পরিকল্পনাটি দিয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। সেই মত গ্রামে ফিরে গোলাম মসিহের কাছ থেকে ভাড়ায়  একটি মাঠ নিয়েছিলেন দাবদা শোয়েব। সেই মাঠটিকে পুরো ক্রিকেট মাঠের রূপ দেন তিনি। পিচ, স্টেডিয়াম, ফ্লাড লাইট সবকিছুই তৈরি করেছিলেন। সেখানে শ্রমিকদের ক্রিকেটার বানিয়ে আলাদা আলাদা দল করে আইপিএলের নামে ভুঁয়ো প্রতিযোগিতা শুরু করেছিলেন। এই নকল ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে খেলোয়াড়,দল এবং দর্শকদের ভিড় ছিল প্রচুর। 

একদিকে ম্য়াচ চলছে অপরদিকে এই ম্য়াচগুলিকে সামনে রেখেই হাজার হাজার কিলোমিটার দুরে রাশিয়ানদের কাছ থেকে বাজি ধরার নামে তোলা হচ্ছিল টাকা। এই ম্যাচগুলোকে সোশ্যাল মিডিয়ায় সম্প্রচার করা হচ্ছিল। প্রতি বল,আউট এবং জয়-পরাজয়ের জন্য এই ম্যাচগুলিতে বড় অঙ্কের বাজি ধরা হয়েছিল। এর জন্য সেখানে বসে থাকা বুকিরা রাশিয়ান নাগরিকদের কাছ থেকে টাকা তুলছিল। তারা এটিকে আসল আইপিএল ম্যাচ ভেবে বাজি ধরছিলেন। বিষয়টি জানতে পেরে পুলিস যখন গিয়ে ভুঁয়ো আইপিএলের আয়োজন দেখে পুলিসেরও চক্ষু ছানাবড়া হয়ে যায়। এমনভাবে প্রতারণার জাল সাজিয়ে যে গুজরাটের এক গ্রাম থেকে রাশিয়ানদের প্রতারণা করা যায় তা অবাক করে পুলিসকে। এই চক্রের মূল পাণ্ডা সহ ৪ জনকে গ্রেফতার করলেও, আরও কে বা কারা জড়িত রয়েছে তা খতিয় দেখছে পুলিস।