সংক্ষিপ্ত
২৭ রানে ম্যাচ জিতে চতুর্থবার আইপিএল ২০২১ (IPL 2021) চ্যাম্পিয়ন হল চেন্নাই সুপার কিংস (Chennai Super Kings)। ফাইনালে এক তরফা ম্যাচে রানে হারাল কলকাতা নাইট রাইডার্সকে (Kolkata Knight Riders)। ম্যাচে প্রথমে ব্য়াট করে ১৯২ রান করে এমএস ধোনির (MS Dhoni) দল। জবাবে ১৬৫ রান করল ইয়ন মর্গ্যানের (Eoin Morgan)দল।
আইপিএল ২০২১ ফাইনালে (IPL 2021 Final) কলকাতা নাইট রাইডার্সকে (Kolkata Knight Riders) ২৭ রানে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হল চেন্নাই সুপার কিংস (Chennai Super Kings)। ম্য়াচে টসে জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ইয়ন মর্গ্যান (Eoin Morgan)। প্রথমে ব্যাট করে ১৯২ রানে বিশাল স্কোর করে এমএস ধোনির (MS Dhoni) দল। জবাবে ১৬৫ রানে শেষ হয় কেকেআরের (KKR) ইনিংস। চতুর্থ ট্রফি জিতল সিএসকে (CSK)। কিন্তু কোথায় কলকাতাকে মাত দিল চেন্নাই, ম্যাচে বিশেষ বিশেষ মুহূর্ত কোনগুলি, দেখে নিন এক নজরে।
ফাফ ডুপ্লেসির অনবদ্য ব্য়াটিং-
বয়স যে শুধু একটা সংখ্যা মাত্র, ক্লাস ও ফিটনেস থাকলে যে কোনও বয়সেই যে পারফর্ম করা যায় আইপিএল ২০২১ ফাইনালে তা আরও একবার প্রমাণ করলেন সিএসকের প্রোটিয়া তারকা ওপেনার ফাফ ডুপ্লেসি। ইনিংসের প্রথম থেকে শুরু করে শেষ বলে আউট হন তিনি। সিএসকের ইনিংসকে শক্ত ভিতের উপর দাঁড় করিয়ে দেন তিনি। ৫৯ বলে ৮৬ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। ৭টি চার ও ৩টি ছয় মারেন তিনি।
ওপেনিংয়ে দুরন্ত শুরু ঋতুরাজের-
২০২১ আইপিএলে সিএসকে দলের ওপেনিংয়ে ভরসা দিয়েছেন ঋতুরাজ গায়কোয়াড় ও ফাফ ডুপ্লেসি জুটি। ফাইনালে টস হারলেও, আরও একবার চেন্নাইকে অনবদ্য স্টার্ট দেন ঋতুরাজ ও ডুপ্লেসি। এদিনও দুরন্ত শুরু করেন ঋতুরাজ। ডুপ্লেসির সঙ্গে ৬১ রানের পার্টনারশিপ করেন। ২৭ বলে ৩২ রানের ইনিংস খেলেন ঋতুরাজ। ৩টি চার ও একটি ছয়ে সাজানো তার ইনিংস।
রবিন উথাপ্পা ও মঈন আলির ঝড়ো ব্য়াটিং-
ফাইনালে ব্য়াট হাতে সিএসকের প্রথম চার ব্য়াটসম্য়ানই অনবদ্য ব্য়াটিং করেন। ঋতুরাজ ও ডুপ্লেসি ছাড়াও বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন রবি উথাপ্পা ও মঈন আলি। ১৫ বলে ৩১ রানের ইনিংস খেলেন রবি উথাপ্পা। ৩টি ছয় মারেন তিনি। পাশাপাশি ৬৩ রানের পার্টনারশিপ করেন ডুপ্লেসির সঙ্গে। মঈন আলি করেন ২০ বলে ৩৭ রান। ২টি চার ও ৩টি ছয় মারেন তিনি। ৬৮ রানে পার্টনারশিপ করেন ডুপ্লেসির সঙ্গে।
সুনীল নারিনের স্পিনের ছোঁবল-
আইপিএল ২০২১ ফাইনালে ভালো বোলিং করেন সুনীল নারিন। কেকেআরের বোলারদের মধ্যে একমাত্র সবথেকে সফল বোলার তিনি। ৪ ওভারে ২৬ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন ক্যারেবিয়ান মিস্ট্রি স্পিনার। ঋতুরাজ গায়কোয়াড় ও রবিন উথাপ্পাকে নিজের স্পিনের জালে ফাঁসান তিনি।
ফের দুরন্ত ভেঙ্কটেশ আইয়র-
ফাইনাল জয়ের স্বপ্নপূরণ না হলেও, কেকেআরের হয়ে অনবদ্য ব্য়াটিং করেন ভেঙ্কটেশ আইয়র। ফাইনালে প্রথমে কিছুটা ভাগ্যও সাথ দেয় আইয়রের। তার শূন্য রানে ক্যাচ মিস করেন ধোনি। তারপর থেকেই ঝোড়ো ইনিংস খেলতে শুরু করেন ভেঙ্কটেশ আইয়র। একের পর এক আক্রমণাত্মক শট খেলে কেকেআরকে জয়ের স্বপ্ন দেখাচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু হাফ সেঞ্চুরি করার পর আউট হন তিনি। ৩২ বলে ৫০ রান করে আউট হন আইয়র। ৫টি চার ও ৩টি ছয়ে সাজানো তার ইনিংস।
লড়াকু ইনিংস শুবমান গিলের-
ফাইনালে কেকেআরের হয়ে অর্ধশতরান করেন শুবমান গিলও। তিনিও একবার ভাগ্যের সহায়তা পান। ক্যাচ আউট হলও ক্যামেরার তারে বল লাগায় বাতিল হয়ে যায়। তবে আইয়রের সঙ্গে ৯১ রানের পার্টনারশিপ করার পাশাপাশি নিজের অর্ধশতরানও পূরণ করেন গিল। ৫১ রান করে আউট দন তিনি। ৬টি চার দিয়ে সাজানো তার ইনিংস।
ব্যর্থ কেকেআরের ব্যাটিং লাইনআপ-
শুবমান ও আইয়র বাদে শেষের দিকে লকি ফার্গুসন ও শিবম মাভি ছাড়া অন্য কোনও কেকেআর ব্যাটসম্যান দুই অঙ্কের সংখ্যায় পৌছতে পারেননি। নীতিশ রানা আউট হন শূন্য রানে, সুনীল নারিন করেন ২ রান। ফাইনালে রান করতে ব্যর্থ কেকেআর অধিনায়ক। মর্গ্যান করেন ৪ রান। দীনেশ কার্তিক করেন ৯ রান। শাকিব করেন শূন্য রান, রাহুল ত্রিপাঠী করেন ২ রান।
সিএসকের অনবদ্য বোলিং-
প্রথম ১০ ওভারে কোনও উইকেট না পড়লেও, পরের দিকে দুরন্তভাবে কামব্যাক করে চেন্নাই সুপার কিংস বোলাররা। ধোনির দলের হয়ে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নেন শার্দুল ঠাকুর। ২টি করে উইকেট নেন জস হ্যাজেলউড ও রবীন্দ্র জাদেজা। একটি করে উইকেট নেন দীপক চাহার ও ডোয়েইন ব্রাভো।
এক তরফা ম্য়াচে ট্রফি জয়-
ফাইনালে চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে তেমন একটা লড়াই দিতে পারল না কলকাতা নাইট রাইডার্স। প্রথমে বোলিং বিভাগের ব্যর্থতা ও পরে ব্য়াটিং বিভাগের ভরাডুবি। যার ফলে ব্য়াটে-বলে সব বিভাগেই কেকেআরকে মাত দিয়ে একতরফা ম্য়াচ ২৭ রানে জিতে চতুর্থবারের জন্য আইপিএল চ্যাম্পিয়ন এমএস ধোনির দল।