সংক্ষিপ্ত
চলতি টি-২০ বিশ্বকাপের শুরু থেকেই একের পর চমক দেখা যাচ্ছে। তথাকথিত ছোট দলগুলি অনায়াসে বড় দলগুলিকে হারিয়ে দিচ্ছে। শুক্রবার ফের তেমনই চমক দেখা গেল।
টি-২০ বিশ্বকাপের সুপার ১২-এর যোগ্যতা অর্জন করতে পারল না দু'বারের চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ। গ্রুপ পর্যায় থেকেই ছিটকে গেল এই প্রতিযোগিতার ইতিহাসে সবচেয়ে সফল দল। শুক্রবার আয়ারল্যান্ডের কাছে ৯ উইকেটে হেরে বিদায় নিতে হল ক্যারিবিয়ানদের। গ্রুপ পর্যায়ে তিন ম্যাচের মধ্যে দু'টিতেই হেরে গেলেন জেসন হোল্ডার, নিকোলাস পুরানরা। প্রথম ম্যাচে তাঁদের সহজেই হারিয়ে দিয়েছিল স্কটল্যান্ড। ব্যাটিং ব্যর্থতার জেরে সেই ম্যাচে ৪২ রানে হারতে হয় ক্যারিবিয়ানদের। এরপর দ্বিতীয় ম্যাচে জিম্বাবোয়েকে ৩১ রানে হারিয়ে সুপার ১২-এর আশা জিইয়ে রাখতে সক্ষম হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এদিন আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধেও জয় দরকার ছিল। কিন্তু মোক্ষম সময়ে জ্বলে উঠতে ব্যর্থ হলেন ক্যারিবিয়ান তারকারা। লড়াই করেন একমাত্র ব্র্যান্ডন কিং। চার নম্বরে ব্যাটিং করতে নেমে তিনি ৪৮ বলে ৬২ রান করে অপরাজিত থাকেন। তাঁর ইনিংসে ছিল ৬টি বাউন্ডারি ও একটি ছক্কা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের আর কোনও ব্যাটার বড় রান পাননি। নির্ধারিত ২০ ওভারে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ১৪৬ রান করে ক্যারিবিয়ানরা। ১৫ বল বাকি থাকতেই মাত্র এক উইকেট হারিয়ে সেই রান টপকে যায় আইরিশরা। ৬৬ রান করে অপরাজিত থাকে ওপেনার পল স্টার্লিং। তাঁর ৪৮ বলের ইনিংসে ছিল ৬টি বাউন্ডারি ও একজোড়া ছক্কা। অপর ওপেনার অধিনায়ক অ্যান্ড্রু বলবির্নি ২৩ বলে ৩৭ রান করেন। তিন নম্বরে নামা লরকান টাকার ৩৫ বলে ৪৫ রান করে অপরাজিত থাকেন।
এদিন হোবার্টে টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক পুরান। কিন্তু তাঁর এই সিদ্ধান্ত ব্যুমেরাং হয়ে যায়। আইরিশ বোলারদের দাপটে শুরু থেকেই চাপে পড়ে যায় ক্যারিবিয়ান ব্যাটিং লাইনআপ। কিং ছাড়া আর কেউই বেশিক্ষণ ক্রিজে টিকে থাকতে পারেননি। ওপেনার কাইল মেয়ার্স করেন মাত্র এক রান। অপর ওপেনার জনসন চার্লস অবশ্য কিছুটা লড়াই করেন। তিনি করেন ২৪ রান। তিন নম্বরে নামা এভিন লুইস করেন ১৩ রান। পুরানও করেন ১৩ রান। রভম্যান পাওয়েল করেন ৬ রান। ওডেন স্মিথ ১৯ রান করে অপরাজিত থাকেন। আইরিশদের হয়ে ১৬ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন গ্যারেথ ডেলানি। একটি করে উইকেট নেন ব্যারি ম্যাক'কার্থি ও ভারতীয় বংশোদ্ভূত সিমি সিং।
রান তাড়া করতে নেমে আয়ারল্যান্ডের কোনও অসুবিধাই হয়নি। ওপেনিং জুটিতে যোগ হয় ৭৩ রান। এরপর অধিনায়ক বলবির্নি ফিরে গেলেও, স্টার্লিং ও টাকারের বাকি রান তুলতে কোনও সমস্যাই হয়নি। ক্যারিবিয়ানদের হয়ে একমাত্র উইকেট নেন আকিল হোসেন।
আরও পড়ুন-
লড়াই কিউয়িদের সঙ্গে, শনিবার টি-২০ বিশ্বকাপ অভিযান শুরু অজিদের
পাকিস্তান কী করবে ভারত বলে দেবে না, জয় শাহকে তোপ ওয়াসিম আক্রমের