সংক্ষিপ্ত
সিরিজের তৃতীয় টি২০ (T20) ম্যাচে বিশাখাপত্তমে মুখোমুখি ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা (India vs South Africa)। প্রথমে ব্য়াট করে ১৭৯ রান করল ভারত। রান তাড়া করতে নেমে ১৩১ রানে অলআউট হয়ে যায় প্রোটিয়ারা।
তৃতীয় টি২০ ম্য়াচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে দুরন্ত জয় পেল ভারতীয় ক্রিকেট দল। ১৮০ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে ভারতীয় বোলিং অ্যাটাকের সামনে ধরাশায়ী প্রোটিয়ারা। ৪৮ রানে ম্য়াচ জিতল টিম ইন্ডিয়া। প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৭৯ রান করে টিম ইন্ডিয়া। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৭ করেন রুতুরাজ গায়কোয়াড়। এছাড়া ৫৪ রান করেন ইশান কিশান। শেষের দিকে ৩১ রান করেন হার্দিক পান্ডিয়া। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে সর্বোচ্চ দুটি উইকেট নেন ডোয়াইন প্রিটোরিয়াস। রান তাড়া করতে নেমে ১৩১ রানে অলআউট হয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ২৯ রান করেন হেনরিক ক্লাসেন। এচাড়া রেজা হেন্ডরিকস ২৩, ওয়েন পার্নেল ২২, ডোয়াইন প্রিটোরিয়াস করেন ২০ রান। ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট নেন হার্শল প্য়াটেল ও ৩টি উইকেট নেন যুজবেন্দ্র চাহল।
টস হেরে ব্য়াটিংয়ের শুরুটা অনবদ্য করেছিলেন দুই ভারতীয় ওপেনার রুতুরাজ গায়কোয়াড় ও ইশান কিশান। এদিন শুরু থেকেই ছন্দে ছিলেন রুতুরাজ। সেট হওয়ার পর আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেন ইশান কিশানও। পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার আগে নিজেদের অর্ধশতরানের পার্টনারশিপও পূরণ করেন রুতুরাজ-ইশান জুটি। তারপরও নিজেদের মারকাটারি ব্যাটিং চালিয়ে যান দুই তরুণ তারকা। ৩০ বলে নিজের অর্ধশতরান পূরণ করেন রুতুরাজ গায়কোয়াড়। অবশেষে দশম ওভারে ৯৭ রানে প্রথম উইকেট পড়ে ভারতের। ৫৭ রান করে কেশব মহারাজের বলে আউট হন রুতুরাজ গায়কোয়াড়। এরপর ইশান কিশান ও শ্রেয়স আইয়র মিলে একটা ছোট পার্টনারশিপ গড়ে। নিজের অর্ধশতরান পূরণ করেন ইশান কিশান। ১২৮ রানে ব্যক্তিগত ১৪ রান করে তাবরেজ সামসীর বলে আউট হন শ্রেয়স আইয়র। ১৪ করেন তিনি। এরপর ১৩১ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ৫৪ রানে করে ডোয়াইন প্রিটোরিয়াসের বলে আউট হন ইশান কিশান। অধিনায়ক ঋষভ পন্থ এদিনও রান পাননি। ১৪৩ রানে পড়ে চতুর্থ উইকেট পড়ে। ৬ রান করে প্রিটোরিয়াসের বলে আউট হন পন্থ। দলের ১৫৮ রানের মাথায় ৬ রান করে রাবাডার বলে আউট হন দীনেশ কার্তিক। শেষের দিকে ৩১ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন হার্দিক পান্ডিয়া ও ৫ রান করে অপরাজিত থাকেন অক্ষর প্যাটেল। ১৭৯ রানে থামে ভারতীয় দল।
রান তাড়া করতে শুরুটা এদিন ভালো হয়নি দক্ষিণ আফ্রিকার। প্রথম থেকেই নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় প্রোটিয়ারা। ২৩ রানে প্রথম উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ৮ রান ককরে অক্ষর প্যাটেলের বলে আউট হন টেম্বা বাভুমা। দ্বিতীয় উইকেট পড়ে ৩৮ রানে। হার্শল প্য়াটেলের বলে ২৩ রান করে আউট হন রেজা হেন্ডরিকস। ৪০ রানের মাথায় ১ রান করে যুজবেন্দ্র চাহলের বলে আউট রাসি ভ্যান ডার ডুসেন। এরপর প্রোটিয়াদের চতর্থ উইকেট পড়ে ৫৭ রানে। ২০ রান করে চাহলের দ্বিতীয় শিকার হন ডোয়াইন প্রিটোরিয়াস। দলের ৭১ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ৩ রান করে হার্শল প্যাটেলের বলে আউট হন ডেভিড মিলার। এরপক ওয়েন পার্নেল ও হেনরিক ক্লাসেন কিছুটা লড়াই করার চেষ্টা করলেও বড় পার্টনারশিপ আসেনি। ১০০ রানে ব্যক্তিগত ২৯ রানে চাহলের বলে আউট হন ক্লাসেন। এরপর ১১৩ রানে পড়ে সপ্তম উইকেট। হার্শল প্য়াটেলের বলে ৯ রান করে আউট হন কাগিসো রাবাডা। ১২৬ রানের মাথায় ১১ রান ভুবনেশ্বর কুমারের বলে আউট হন কেশব মহারাজ। ১৩১ রানে শেষ দুটি উইকেট পড়ে প্রোটিয়াদের। শূন্য রানে রান আউট হন নকিয়া ও খাতা না খুলে হার্শল প্য়াটেলের চতুর্থ শিকার হন তাবরেজ সামসী। ৪৮ রানে ম্য়াচ জিতে ৫ ম্য়াচের সিরিজ ২-১ করল টিম ইন্ডিয়া।