সংক্ষিপ্ত
জোহানেসবার্গে (Johannesburg) ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকার (India vs South Africa) দ্বিতীয় টেস্ট। প্রথম ইনিংসে ২০২ রানে অলআউট টিম ইন্ডিয়া (Team India)। বল হাতে চা বিরতি পর্যন্ত একাই ৫ উইকেট নিয়ে ডিন এলগারের (Dean Elgar)দলকে জোর ধাক্কা দিল শার্দুল ঠাকুর (Shardul Thakur)।
মাত্র ২০২ রানের পুজি নিয়ে জোহানেসবার্গ (Johannesburg test) টেস্টে অনবদ্য বোলিং ভারতীয় বোলারদের। বিশেষ করে প্রথম ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং লাইনে একাই ধস নামিয়ে দেন শার্দুল ঠাকুর(Shardul Thakur)। বড়রানের লক্ষ্য নিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করেছিল প্রোটিয়ারা। দ্বিতীয় উইকেটে ডিন এলগার (Dean Elgar) ও কেগান পিটারসেনের (Keegan Petersen)পার্টনিরশিপে ভর করে বড় স্কোরে স্বপ্ন দেখতেও শুরু করে দিয়েছিল প্রোটিয়ারা। কিন্তু যখনই কোনও বড় পার্টনারশিপ গড়ে ওঠে তা ভাঙা প্রয়োজন হয়ে পড়া তখনই ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হন শার্দুল ঠাকুর। কেনও তাকে 'লর্ড' শার্দুল বলা হয় তা এদিন ফের প্রমাণ করলেন তিনি। লাঞ্চের আগে অল্প সময়ের মধ্যে ৩ উইকেট নিয়ে ভারতকে শুধু ম্যাচে ফেরানো নয়, লাঞ্চের পরে আরও ২ উইকেট নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে প্রথমবার ৫ উইকেটশিকার করলেন তিনি। এদিন শামিও নেন একটি উইকেট। চা বিরতি পর্যন্ত প্রোটিয়াদের স্কোর ১৯১ রানে ৭ উইকেট।
দ্বিতীয় দিনে ৩৫ রানে ১ উইকেট থেকে খেলা শুরু করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। খুব ধৈর্য্য সহকারে দলের ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন ডিন এলগার ও কেগান পিটারসেন। প্রোটিয়া অধিনায়ক রক্ষণাত্মক ব্যাটিং করলেও, অপরদিক থেকে স্কোরবোর্ড চালিয়ে যান পিটারসেন। নিজেদের অর্ধশতরানের পার্রটনারশিপও পূরণ করনে দুজনে। দ্বিতীয় উইকেটে যেভাবে ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিন এলগার ও পিটারসেন তাতে কপালে চিন্তার ভাঁজ ক্রমশ চওড়া হচ্ছিব কেএল রাহুলের। বেশ কিছু অনবদ্য শটও খেলেন দুই প্রোটিয়া ব্য়াটসম্যান। নিজের অর্ধশতরানও পূরণ করেন কেগান পিটারসেন। ৭৪ রানের পার্টনারশিপ করার পর সেই জুটি ভাঙেন শার্দুল ঠাকুর। ৮৮ রানে দ্বিতীয় উইকেট পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকার। শার্দুলের বলে ২৮ রানে করে আউট হন এলগার। একবার পার্টনারশিপ ভাঙতেই পরের দুটি উইকেট পেতে বেশি প্রতীক্ষা করতে হয়নি ভারতকে। দলের ১০১ রানে তৃতীয় উইকেট পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকার। ব্যক্তিগত ৬২ রান করে শার্দুল ঠাকুরের দ্বিতীয় শিকার হন কেগান পিটারসেন। ১০২ রানে চতুর্থ উইকেট পড়ে আয়োজক দেশের। মাত্র ১ রান করার পরই ভ্যান ডার ডুসেনকে প্যাভেলিয়নের রাস্তা দেখান শার্দুল ঠাকুর। মধ্যাহ্ন বিরতি পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ১০২ রানে ৪ উইকেট।
লাঞ্চের পর আরও একটা ছোট পার্টনারশিপ গড়েন টেম্বা বাভুমা ও কাইল ভেরেইনি। ৬২ রানের পার্টনারশিপ করেন তারা। ১৬২ রানে পঞ্চম উইকেট পড়ে প্রোটিয়াদের। ২১রান করে শার্দুলের চতুর্ত শিকার গন ভেরেইনি। অপরদিকে নিজের ইনিংস চালিয়ে যান টেম্বা বাভুমা। অর্ধশতরানও পূরণ করেন তিনি। ব্যক্তিগত ৫১ রানে করে আউট হন বাভুমা। ১৭৭ রানে ষষ্ঠ উইকেট পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকার। বাভুমাকেও সাজঘরে ফেরান শার্দুল ঠাকুর। এরপর খাতা না খুলেই শামির শিকার হন রাবাডা। চা বিরতি পর্যন্ত পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ১৯১ রানে ৭ উইকেট। ভারতের থেকে এখনও ১১ রান পিছিয়ে রয়েছে ডিন এলগারের দল। যত দ্রুত সম্ভব দক্ষিণ আফ্রিকার (South Africa) প্রথম ইনিংস শেষ করাই লক্ষ্য টিম ইন্ডিয়ার (Team India)।