সংক্ষিপ্ত

১২ জুলাই থেকে শুরু হতে চলেছে ভারত বনাম ইংল্যান্ডের একদিনের সিরিজ (India vs England ODI Series)।  জয় দিয়ে সিরিজ শুরু করতে মরিয়া রোহিত শর্মা (Rohit Sharma) ও জস বাটলারের (Jos Buttler) দল। তবে প্রথম ম্য়াচে নাও খেলতে পারেন বিরাট কোহলি (Virat Kohli)। 
 

মঙ্গলবার থেকে শুরু হতে চলেছে ভারত বনাম ইংল্য়ান্ডের একদিনের সিরিজ। এজবাস্টন টেস্টে হারের পর টি২০ সিরিজে ঘুড়ে দাঁড়িয়েছে ভারতীয় দল। ২-১ ব্যবধানে ক্রিকেটের সবথেকে ছোট ফর্ম্য়াটে সিরিজ জেতে রোহিত শর্মার দল। এবার ৫০ ওভারের ক্রিকেটেও ব্রিটিশদের মাত দিতে প্রস্তুত টিম ইন্ডিয়া। একদিনের সিরিজে দলে শিখর ধওয়ান, মহম্মদ শামি, মহম্মদ সিরাজ, শার্দুল ঠাকুররা দলে ফিরছেন। ফলে শক্তি আরও বাড়ছে রোহিত শর্মার দলের। কিন্তু একদিনের সিরিজ শুরুর আগেই বড় ধাক্কাও খেতে হল ভারতীয় ক্রিকেট দলকে। কারণ ইংল্য়ান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম একদিনের  ম্য়াচে বিরাট কোহলির খেলার সম্ভাবনা একেবারেই নেই বললেই চলে। চোটের কারণেই বিরাট কোহলি খেলবান না বলে এখনও পর্যন্ত খবর। 

ট্রেন্টব্রিজে ভারত-ইংল্যান্ড সিরিজের তৃতীয় তথা শেষ টি-২০ ম্যাচ খেলাকালীন বিরাট কোহলি চোট পেয়েছেন বলে খবর। প্রাক্তন ভারত অধিনায়কের  কুঁচকিতে চোট লেগেছে। দলের সঙ্গে নটিংহ্যাম থেকে লন্ডনে যাননি কোহলী। মাঝপথে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করেছেন বলে জানা গিয়েছে।  কোহলির চোটের প্রসঙ্গে সংবাদ সংস্থা পিটিআই এক সূত্রকে উদ্ধৃত করে লিখেছে, "বিরাট শেষ ম্যাচ খেলতে গিয়ে কুঁচকিতে চোট পেয়েছেন। তবে নিশ্চিত ভাবে বলা যাচ্ছে না যে, ফিল্ডিং না ব্যাটিংয়ের সময় তিনি চোট পেয়েছেন। হয়তো কোহলি সম্ভবত ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে আগামিকাল ওভালে প্রথম ওয়ানডে ম্যাচ নাও খেলতে পারে। ওর বিশ্রামের প্রয়োজন।"কী ধরনের চোট লেগেছে, তা অবশ্য জানানো হয়নি। এমনকি, পরের দু’টি ম্যাচেও তাঁকে পাওয়া যাবে কি না, সে বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু জানা যায়নি। 

প্রসঙ্গত, বিরাট কোহলি না থাকলেও ভারতীয় দল দল প্রথম একদিনের ম্যাচে নামার আগে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী। আগ্রাসী ক্রিকেট খেলেই যে তার দল টি২০ সিরিজের মত একদিনের সিরিজেও সাফল্য পাবে সেই কথাও জানিয়ে দিয়েছেন রোহিত শর্মা। ভারত অধিনায়র বলেছেন. যে ভয়ডরহীন মানসীকতা নিয়ে তার দল টি২০ সিরিজ জিতেছে ঠিক সেরকমই ক্রিকেট একদিনের ক্রিকেটেও খেলবে ভারত। রোহিত শর্মা বলেন, একদিনের সিরিজেও যে মানসীকতা নিয়ে আমরা টি২০ সিরিজ খেলেছি ঠিক সেই মানসীকতা নিয়েই নাম। ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলেই সাফল্য পাওয়ার চেষ্টা করব। দলের মানসিকতায় বদল আনতে চাই না। সেটাতে কিছুটা হলেও সফল হয়েছি। তরুণরা এখন ঝুঁকি নিতে শিখে গিয়েছে। যখন ওদের সঙ্গে কথা বলি, তখনই মানসিকতার বদলটা টের পাই।

আরও পড়ুনঃবজায় থাকবে ভারতের আগ্রাসী ক্রিকেট, না ঘুড়ে দাঁড়াবে ইংল্যান্ড, জানুন প্রথম একদিনের ম্য়াচের প্রেডিকশন

আরও পড়ুনঃএবার বিরাট কোহলির অফ ফর্ম প্রসঙ্গে মুখ খুললেন সুনীল গাভাসকর, কী বললেন তিনি