সংক্ষিপ্ত
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ওডিআই বা টি-২০ বিশ্বকাপে এখনও পর্যন্ত একটি ম্যাচই হেরেছে ভারত। গত টি-২০ বিশ্বকাপে হারের বদলা নিলেন বিরাট কোহলিরা।
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের বহু স্মরণীয় জয় রয়েছে। তার মধ্যে উপরের দিকেই থাকবে ১৯৯৮ সালে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে সিলভার জুবিলি ইনডিপেনডেন্স কাপের তৃতীয় ফাইনালে অবিশ্বাস্য জয়। সেই প্রথম ৩০০-র বেশি রান তাড়া করে জয় পেয়েছিল ভারতীয় দল। ফাইনালে ভাল খেলেন বলে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের সুনাম ছিল। সেবারের ফাইনালেও অসাধারণ শতরান করেছিলেন বেহালার বঙ্গসন্তান। মূলত তাঁর এই অসাধারণ ইনিংসের সুবাদেই জয় পায় ভারত। রবিন সিংও অসাধারণ খেলেছিলেন। সৌরভের সঙ্গে তাঁর জুটিই ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ করে দেয়। আরও একজনের কথা উল্লেখ করতেই হবে। তিনি হলেন হৃষীকেশ কানিতকর। বর্তমান প্রজন্মের কাছে হয়তো নামটা অপরিচিত। কিন্তু যাঁরা ঢাকার সেই ফাইনাল ম্যাচ দেখেছিলেন, তাঁরা কানিতকরকে কোনওদিন ভুলতে পারবেন না। সেই সময় বিশ্বের অন্যতম সেরা অফস্পিনার সাকলিন মুস্তাকের বলে বাউন্ডারি মেরে ভারতকে জয় এনে দিয়েছিলেন কানিতকর। সেদিনও ভারতের এই অবিস্মরণীয় জয়ে উল্লাসে ফেটে পড়েছিল গোটা দেশ।
এই ম্যাচে প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে ৪৮ ওভারে ৫ উইকেটে ৩১৪ রান করে পাকিস্তান। ওপেনার সইদ আনোয়ার করেন ১৪০ রান। ৪ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ১১৭ রান করেন ইজাজ আহমেদ। ভারতের হয়ে ৭৪ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন হরবিন্দর সিং। রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভাল করেন ভারতের দুই ওপেনার সৌরভ ও সচিন তেন্ডুলকর। তাঁদের জুটিতে যোগ হয় ৭১ রান। এরপর সৌরভের সঙ্গে লড়াই শুরু করেন রবিন। দলের ২৫০ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ৮২ রানে ফিরে যান রবিন। সৌরভ করেন ১২৪ রান। শেষপর্যন্ত কানিতকর জয় এনে দেন। তিনি ১১ রানে অপরাজিত থাকেন।
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে ভারতের আরও একটি স্মরণীয় জয় এসেছিল পাকিস্তানের মাটিতেই। ১৯৯৭ সালে তিন ম্যাচের ওডিআই সিরিজ খেলতে পাকিস্তানে যায় ভারতীয় দল। সিন্ধ প্রদেশের হায়দ্রাবাদে প্রথম ম্যাচে ৫ উইকেটে জয় পায় পাকিস্তান। এরপর করাচিতে দ্বিতীয় ম্যাচে জয় ছিনিয়ে নেয় ভারত। সেই ম্যাচে প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে পাকিস্তান করে ৪ উইকেটে ২৬৫ রান। ওপেনার শাহিদ আফ্রিদি ৫৬ বলে ৭২ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন। ৪ নম্বরে নেমে ৭৪ রানে অপরাজিত থাকেন ইনজামাম-উল-হক। রান তাড়া করতে নেমে ভারতের ইনিংসের শুরুটা ভাল করেন সৌরভ-সচিন। দলের ৭১ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ২১ রানে ফিরে যান সচিন। সৌরভ করেন ৮৯ রান। ৩ নম্বরে নামা বিনোদ কাম্বলি ৫৩ রান করেন। রবিন ৩১ রানে অপরাজিত থাকেন। সাকলিনের বলে ছক্কা মেরে ভারতকে জেতান রাজেশ চৌহান। ৪ উইকেটে জয় পায় ভারত।
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ওডিআই-তে ভারতের আরও একটি অবিস্মরণীয় জয় আসে ১৯৯৯-২০০০ সালে অস্ট্রেলিয়া সফরে। সেবার অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে তিনটি টেস্টেই হেরে যায় ভারত। এরপর ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও পাকিস্তানের ত্রিদেশীয় সিরিজ শুরু হয়। এই সিরিজে মাত্র একটি জয় পায় ভারত। সেটা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। সেই ম্যাচেও সৌরভের বড় অবদান ছিল।
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে এই ম্যাচে প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে ভারতীয় দল করে ৬ উইকেটে ২৬৭ রান। ওপেন করতে নেমে সৌরভ করেন ১৪১ রান। সচিন করেন ৪১ রান। রাহুল দ্রাবিড় করেন ৩২ রান। রবিন করেন ২১ রান। জবাবে ২১৯ রানে অলআউট হয়ে যায় পাকিস্তান। ৬৭ রান করেন আজহার মাহমুদ। ৫৪ রান করেন ইজাজ আহমেদ। ভারতের হয়ে ৪০ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন অনিল কুম্বলে।
আরও পড়ুন-
এটাই তোমার জীবনের সেরা ইনিংস, বিরাটের প্রশংসায় সচিন
দক্ষতা-অভিজ্ঞতা দিয়ে আনলেন জয়, এটাই সেরা ইনিংস, বললেন বিরাট