ন'য়ের দশকের শুরুতে ভারতীয় দলের একমাত্র ভরসা ছিলেন সচিন তেন্ডুলকর। পরবর্তীকালে শক্তিশালী হয়েছে দল। উত্তরসূরিদের সাফল্য দেখে উচ্ছ্বসিত মাস্টার ব্লাস্টার। 

টি-২০ বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অসাধারণ ইনিংস খেলে ভারতীয় দলকে জেতানো দুই ক্রিকেটার বিরাট কোহলি ও হার্দিক পান্ডিয়াকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিলেন কিংবদন্তি সচিন তেন্ডুলকর। তিনি এদিন ম্যাচের পর ট্যুইট করেন, “বিরাট কোহলি, এটাই নিঃসন্দেহে তোমার জীবনের সেরা ইনিংস। তোমাকে এই ইনিংস খেলতে দেখা বিশেষ উপহারস্বরূপ। ১৯-তম ওভারে হ্যারিস রউফের বলে ব্যাকফুটে লং অনের উপর দিয়ে তুমি যে ছক্কা মারলে, সেটা অসামান্য। এভাবেই খেলে যাও।” পরের ট্যুইটে হার্দিকের প্রশংসা করে সচিন লেখেন, “টানটান উত্তেজনার ম্যাচ হল। ভারতের টি-২০ বিশ্বকাপ অভিযানের শুরুটা সুন্দর হল। কয়েকজন এই জয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। কিন্তু বিশেষভাবে বিরাটের সঙ্গে হার্দিকের পার্টনারশিপের কথা উল্লেখ করতেই হবে। ভারতীয় দলের জন্য এই পার্টনারশিপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল।” এর আগে এদিন সকালে মজার ছলে সচিন ট্যুইট করেছিলেন, “আশা করি এবারের ধনতেরসে অনেক রান হবে।” তাঁর সেই আশা পূর্ণ হল এবং ভারত জয়ও পেল।

Scroll to load tweet…
Scroll to load tweet…
Scroll to load tweet…

সচিনের একসময়ের সতীর্থ বীরেন্দ্র সেহবাগও এদিন ভারত-পাক ম্যাচ চলাকালীন একের পর এক ট্যুইট করতে থাকেন। প্রথমে তিনি লেখেন, “এখনও পর্যন্ত খেলা ঠিকই আছে। বোলাররা দুর্দান্ত খেলেছে। আর্শদীপ (সিং), (মহম্মদ) শামি, ভুবি (ভুবনেশ্বর কুমার), হার্দিক (পান্ডিয়া) সবাই দারুণ পারফরম্যান্স দেখিয়েছে।” পরের ট্যুইটে “গদর-এক প্রেম কথা” ছবির একটি দৃশ্যে সানি দেওলের ছবি দিয়ে সেহবাগ লেখেন, “আর্শদীপকে পাকিস্তান এখন এরকম দেখছে। এই সর্দার কার্যকর।” 

Scroll to load tweet…


ভারতীয় দল জিতে যাওয়ার পর ট্যুইট করে বিরাটকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়ে সেহবাগ লেখেন, “ইয়া...হ্যাপি দিওয়ালি। অসাধারণ খেলা হল। খেলা চলাকালীন আবেগ বাঁধ মানছিল না। এটাই বোধহয় আমার দেখা সেরা টি-২০ ইনিংস। বিরাট কোহলিকে কুর্ণিশ জানাই। চক দে ইন্ডিয়া।”

Scroll to load tweet…

এরপর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ছবি দিয়ে পাকিস্তানকে কটাক্ষ করে সেহবাগ লেখেন, “প্রতিবেশীদের কাছে অনুরোধ, আপনারা কান্না থামান।”

Scroll to load tweet…

২০০৩ বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অসাধারণ খেলেছিলেন সচিন-সেহবাগ। সেই ম্যাচে তাঁরা ওয়াকার ইউনিস, শোয়েব আখতারদের ম্লান করে দিয়েছিলেন। এদিন যেমন মেলবোর্নে বিরাট-হার্দিকের সামনে গুটিয়ে গেলেন নাসিম শাহ, শাহিন আফ্রিদিরা। পাকিস্তানের আশা ছিল, তাদের শক্তিশালী বোলিং লাইনআপ ভারতকে হারিয়ে দেবে। কিন্তু বিরাট অন্যরকম ভেবেছিলেন। তিনি এদিন ভারতকে জেতাতেই মাঠে নেমেছিলেন। এদিনের জয় ভারতীয় দলের পক্ষ থেকে দেশবাসীকে দীপাবলির উপহার।