সংক্ষিপ্ত

ওয়েস্ট ইন্ডিজের (India vs West Indies) বিরুদ্ধে প্রথম একদিনের ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ৩০৮ রান করে ভারতীয় ক্রিকেট দল (Indian Cricket Team)। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৯৭ রান করলেন শিখর ধওয়ান (Shikhar Dhawan)। জবাবে ৩০৫ রান করে ক্যারিবিয়ানরা। 
 

রুদ্ধশ্বাস লাস্ট  ওভার থ্রিলারে প্রথম একদিনের ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৩ রানে হারাল ভারতীয় ক্রিকেট দল। একইসঙ্গে ৩ ম্যাচের সিরিচজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল টিম ইন্ডিয়া। ম্যাচে টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়ক নিকোলাস পুরান। প্রথমে ব্য়াট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ৩০৮ করে ভারত। দলের হয়ে অধিনায়য়কোচিত ইনিংস খেলেন শিখর ধওয়ান। ৯৭ রান করেন তিনি। এছাড়া ৬৪ রান করেন শুবমান গিল ও ৫৪ রান করেন শ্রেয়স আইয়র। রান তাড়া করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ৩০৫ রান করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শেষ ওভারে জয়ের জন্য দরকার ছিল ১৬ রান। ১২ রান করে ক্যারিবিয়ানরা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৫ রান করেন রোমারিও শেফার্ড। এছাড়া ৫৪ রান করেন ব্র্যান্ডন কিং, ৪৬ রান করেন ব্রুকস। শেষের দিকে রোমারিও শেফার্ড ৩৯ ও আকিল হোসেন ৩২ রান করে দুরন্ত লড়াই করলেও দলকে জয় এনে দিতে পারেননি। 

 

 

এদিন ভারতের হয়ে ইনিংসের শুরু করেন শিখর ধওয়ান ও শুবমান গিল। প্রথম থেকেই ছন্দে পাওয়া যায় দুই তারকা ক্রিকেটারকে। একের পর এক চোখ ধাঁধানো শট খেলেন তারা। ওভার পিছু ৬ রানের বেশি গতিতে রান করেন দুজনে। শতরানের পার্টনারশিপও করেন তারা। নিজেদের অর্ধশতরান পূরণ করেন শিখর ধওয়ান ও শুবমান গিল। অবশেষে দলের ১১৭ রানের মাথায় প্রথম উইকেট পড়ে ভারতের। ৬৪ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলে দুর্ভাগ্যবশত রান আউট হন শুবমান গিল। ওপেনিং জুটি ভাঙলেও এরপর দলের ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যান অধিনায়ক শিখর ধওয়ান ও শ্রেয়স আইয়র। অর্ধশতরানের পার্টনারশিপ পূরণ করে ধওয়ান ও শ্রেয়স জুটি। দুজন মিলে দলের স্কোর দুশো পার নিয়ে যান। কিন্তু নিজের সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ৩ রান দূরে থামেন ধওয়ান। ২১৩ রানে  পড়ে ভারতের দ্বিতীয় উইকেট। ৯৭ রান করে গুডাকশ মোতির বলে আউট হন শিখর ধওয়ান। এরপর নিজের অর্ধশতরান পূরণ শ্রেয়স আইয়র। ২৩০ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ৫৪ রান করে গুডাকেশ মোতির দ্বিতীয় শিকার হন তিনি। এরপর কোনও ভারতীয় ব্যাটসম্যান বড় স্কোর না করলেও দীপক হুডা ২৭, অক্ষর প্যাটেল ২১, সূর্যকুমার যাদব ১৩, সঞ্জু স্যামসন ১২ রান করেন। শেষে ৭ ও ১ রানে অপরাজিত থাকেন শার্দুল ঠাকুর ও মহম্মদ সিরাজ। ৩০৮ রানে থামে ভারতের ইনিংস। 

 

 

রান তাড়া করতে নেমে ইনিংসের শুরুটা ভালো হয়নি ওয়েস্ট ইন্ডিজের। ১৬ রানেই পড়ে প্রথম উইকেট। ৭ রান করে মহম্মদ সিরাজের বলে আউট হন তিনি। এরপর দলের ইনিংসের রাশ ধরেন কাইল মায়ার্স ও শার্মাহ ব্রুকস। একদিক থেকে মারকাটারি ইনিংস খেলেন মায়ার্স আর তাকে ঠান্ডা মাথায় সঙ্গ দেন ব্রুকস। দুজন মিলে শতরানের পার্চনারশিপ পূরণ করেন।  নিজের অর্ধশতরান পূরণ করেন মায়ার্স। ১৩৩ রানে দ্বিতীয় উইকেট পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের। ৪৬ রান করে শার্দুল ঠাককুরের বলে আউট হন তিনি। পার্টনারশিপ ভাঙতেই তৃতীয় উইকেট পেতে বেশি প্রতীক্ষা করতে হয়নি ভারতকে। দলের ১৩৮ রানের মাথায় ৭৫ রান করে শার্দুল ঠাকুরের বলে আউট হন কাইল মায়ার্স। এরপর নিকোলাস পুরান ও ব্র্যান্ডন কিং মিলে এগিয়ে নিয়ে যান দলের স্কোর বোর্ড। ১৮৯ রানে চতুর্থ উইকেট পড়ে। ২৫ রান করে মহম্মদ সিরাজের বলে আউট হন পুরান। ব্য়াট হাতে ব্যর্থ হন রভম্যান পাওয়েল। ১৯৫ রানের মাথায় ৬ রান করে যুজবেন্দ্র চাহলের বলে আউট হন পাওয়েল। এরপর আকিল হোসেন ও ব্র্যান্ডন কিং মিলে ৫৬ রান যোগ করেন। নিজের অর্ধশতরান করেন ব্র্যান্ডন কিং।দলের ২৫২ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ৫৪ রান করে চাহলের দ্বিতীয় শিকার হন ব্র্যান্ডন কিং। শেষের দিকে রোমারিও শেফার্ডের ঝোড়ো ৩৯ ও আকিল হোসেনের ৩২ রানের ইনিংস খেললেও শেষ হাসি হাসে ভারতীয় দল। ৩ রানে ম্যাচ জিতে সিরিজে লিড নেয় টিম ইন্ডিয়া।