সংক্ষিপ্ত
আইপিএল ২০২২ (IPL 2022) -এ মুখোমুখি রয়্য়াল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর ও রাজস্থান রয়্যালস (RCB vs RR)। প্রথমে ব্য়াট করে ১৬৯ রান করল সঞ্জু স্যামসনের দল। রান তাড়া করতে নেমে ৫ বল বাকি থাকতে ৪ উইকেট ম্য়াচ জেতে ফাফ ডুপ্লেসির দল।
আইপিএল ২০২২-এ প্রথম হারের মুখ দেখল রাজস্থান রয়্যালস। কার্যত হারা ম্য়াচ রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরকে জয় এনে দেন দীনেশ কার্তিক ও বাংলার শাহবাজ আহমেদ। আইপিএের গুরুত্বপূরণ ম্য়াচে সঞ্জু স্যামসনের দলকে ৪ উইকেটে হারিয়ে মরসুমের টানা দ্বিতীয় জয় পেল ফাফ ডুপ্লেসির দল। ম্য়াচে প্রথমে ব্য়াট করে নির্ধারিত২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৬৯ রান করে রাজস্থান। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭০ রান করেন জস বাটলার। এছাড়া ৪২ রানের ইনিংস খেলেন শিমরন হেটমায়ার ও ৩৭ রান করেন দেবদূত পাড়িকল। রান তাড়া করতে নেমে ৫ বল বাকি থাকতেই জয়ের লক্ষ্যে পৌছে যায় আরসিবি। কঠিন পরিস্থিতি থেকে শাহবাজ আহমেদ ৪৫ ও দীনেশ কার্তিক ৪৪ রানের অনবদ্য ও ঝোড়ো ইনিংস খেলে দলের জয় নিশ্চিৎ করেন। পুরোনো দলের বিরুদ্ধে ৪ ওভারে ১৫ রান দিয়ে চাহল ২ উইকেট নিলেও শেষ পর্যন্ত তা কাজে লাগেনি। জয় পেয়ে উচ্ছ্বসিত আরসিবি শিবির।
এদিন ইনিংসের শুরুটা ভালো হয়নি রাজস্থান রয়্য়ালসের। ৬ রানে প্রথম উইকেট পড়ে রাজস্থানের। ৪ রান করে ডেভিড উইলির বলে বোল্ড হন জয়সওয়াল। এরপর ক্রিজে আসেন দেবদূত পাড়িকল। জস বাটলারের সঙ্গ তিনি ইনিংসের রাশ ধরেন। দ্বিতীয় উইকেটে তারা ৬৬ রানের পার্টমারশিপ যোগ করেন। ৭২ রানের মাথায় দ্বিতীয় উইকেট পড়ে রাজস্থান রয়্যালসের। ব্যাক্তিগত ৩৭ রান করে হার্শল প্যাটেলের বলে বিরাট কোহলির হাতে ক্যাচ আউট হন তিনি। এরপর এদিন বড় রান করতে ব্যর্থ হন রাজস্থান অধিনায়ক। মাত্র ৮ রান করে ওয়ানিন্দু হাসরঙ্গার বলে আউট হন সঞ্জু স্যামসন। ৮৬ রানে তৃতীয় উইকেট পড়ে রাজস্থান রয়্যালসের। এরপর রস বাটলার ও শিমরন হেটমায়ার মিলে দলের ইনিংস টেনে নিয়ে যায়। প্রথমে দলের রান একশো পার করেন বাটলার ও হেটমায়ার। তারপর ধীরে ধীরে রানের গতি বাড়ান। নিজেদের অর্ধশতরানের পার্টনারশিপ করার পর নিজের হাফ সেঞ্চুরিও পূরণ করেন শেষ ২-৩ ওভারে মারকাটারি ব্য়াটিং শুরু করেন তারা। শেষ পর্যন্তু ২০ ওভারে ১৬৯ লড়াকু টোটাল করে রাজস্থান। ৮৩ রানের অনবদ্য পার্টনারশিপ করেন জস বাটলার ও শিমরন হেটমায়ার। ৭০ রানে অপরাজিত থাকেন বাটলার ও ৪২ রানে অপরাজিত থাকেন হেটমায়ার।
রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালোই করেছিল করেছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্য়াঙ্গালোর। ওপেনি জুটিতে অর্ধশতরানের পার্টনারশিপ করেন ফাফ ডুপ্লেসি ও অনুজ রাওয়াত। ৫৫ রানে প্রথম উইকেট পড়ে আরসিবির। ২৯ রান করে যুজবেন্দ্র চাহলের বলে আউট ডুপ্লেসি। পার্টনারশিপ ভাঙতেই বেশি সময় ক্রিজে থাকতে পারেননি অনুজ রাওয়াত। দলের ৬১ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ২৬ রান করে নবদীপ সাইনির বলে আউট হন তিনি। বিরাট কোহলির ভাগ্য এদিন সাথ দেয়নি। ৬২ রানে তৃতীয় উইকেট পড়ে। ৫ রান করে রান আউট হন বিরাট। ৬৪ রানে চতুর্থ উইকেট পড়ে আরসিবির। খাতা না খুলেই প্য়াভেলিয়নে ফেরত যান। রাদারফোর্ডও রান পাননি। ৮৭ রানে পঞ্চম উইকেট পড়ে। ৫ রান করে বোল্টের বলে আট হন রাদারফোর্ড। পরপর উইকেট হারিয়ে অনেকেই ভেবে নিয়েছিলেন ম্য়াচ জিততে চলেছে রাজস্থান। কিন্তু সেখান থেকে অনবদ্য ইনিংস খেলেন দীনেশ কার্তিক ও শাহবাজ আহমেদ। একের পর এক মারকাটারি শট খেলে আরসিবিকে ম্য়াচে নিয়ে আসেন। ৬৭ রানের পার্টনারশিপ করে দলের জয় নিশ্চিৎ করেন। ১৫৪ রানে ষষ্ঠ উইকেট পড়ে। ২৬ বলে ৪৫ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলে আউট হন শাহবাজ আহমেদ। এরপর দলকে জয়ের লক্ষ্যে পৌছে দেন কার্তিক ও হার্শল প্য়াটেল। ২৩ বলে ৪৪ করে অপরাজিত থাকেন ডিকে ও হার্শল অপরাজিত থাকেন ৯ রান করে।