সংক্ষিপ্ত

আজ আইপিএল ২০২২ (IPL 2022) -এর মেগা ম্য়াচে মুখোমুখি দিল্লি ক্যাপিটালসন ও লখনউ সুপার জায়ান্টস (DC vs LSG)।  প্রথমে ব্য়াট করে ১৯৫ রান করল লখনউ। অর্ধশতরান  করলেন কেএল রাহুল ও দীপক হুডা। ৩ উইকেট নিলেন শার্দুল ঠাকুর। জবাবে ১৮৯ রানে শেষ হয় দিল্লির ইনিংস। ৪ উইকেট নিয়ে নায়র মহসিন খান
 

ফের সেই একই ধারা দিল্লি ক্যাপিটালসের। একটি ম্যাচে জয় ও তার পরের ম্যাচে হার। কেকেআরকে হারিয়ে জয়ে ফিরলেও রবিবার লখনউ সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধে ফের হারের মুখ দেখতে হল ঋষভ পন্থের দলকে। ব্যাটে বলে দুরন্ত পারফর্ম করে রুদ্ধশ্বাস ম্য়াচে ৬ ররানে জয় পেল কেএল রাহুলের দল। ম্য়াচে টস জিতে ব্য়াটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন লখনউ সুপার জায়ান্টসের অধিনায়ক। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৯৫ রান করে লখনউ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৭ রান করেন কেএল রাহুল। ৫২ রান করেন দীপক হুডা। ২৩ রান করে কুইন্টন ডিকক। লখনউ সুপার জায়ান্টসের হয়ে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নেন শার্দুল ঠাকুর।  রান তাড়া করতে নেমে  ৭ উইকেট হারিয়ে  ১৮৯ রানে শেষ হয় দিল্লি ক্যাপিটালসের ইনিংস। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৪ রান করেন ঋষভ পন্থ। এছাড়া অক্ষর প্য়াটেল ৪২, মিচেল মার্শ ৩৭, রভম্য়ান পাওয়েল ৩৫ রান করেন। লখনউ সুপার জায়ান্টসের হয়ে সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট নেন মহসিন খান। 

 

 

টস জিতে ব্যাক করতে নেমে শুরুটা ভালোই করে লখনউ সুপার জায়ান্টসের দুই ওপেনার অধিনায়ক কেএল রাহুল ও কুইন্টন ডিকক।  দ্রুত গতিতে ৪২ রানের পার্টনারশিপ করেন তারা। তারপর শার্দুল ঠাকুরের বলে ব্যক্তিগত ২৩ রান করে আউট হন কুইন্টন ডিকক। এরপর ইনিংসের রাশ ধরেন দীপক হুডা ও কেএল রাহুল।   নিজেদর মধ্যে অল্প সময়ের মধ্যেই অর্ধশতরানের পার্টনারশিপ করে ফেলেন রাহুল-হুডা জুটি।  দুই তরুণ তারকাই নিজের অর্ধশতরান পূরণ করেন। ৯৫ রানের পার্টনারশিপ করার পর দলের ১২৭ রানে লখনউয়ের দ্বিতীয় উইকেট পড়ে। ৩৪ বলে ৫২ রান করে শার্দুল ঠাকুরের দ্বিতীয় শিকার হন দীপ হুডা। এরপর কেএল রাহুলকে এসে সঙ্গে দেন অজি তারকা মার্কাস স্টয়নিস। ততক্ষণে অপরদিকে রুদ্রমূর্তি ধারণ করে ফেলেছেন লখনউ অধিনায়ক। একের পর এক মারকাটারি শট খেলেন তিনি। ১৯ তম ওভারে অধিনায়কোচিত ইনিংস খেলে আউট হন কেএল রাহুল। ৫১ বলে ৭৭ রানের ইনিংস খেলে শার্দুল ঠাকুরের তৃতীয় শিকার হন তিনি। রাহুল ও স্টয়নিস মিলে করেন ৩৯ রানের পার্টনারশিপ। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ১৯৫ রান করে লখনউ সুপার জায়ান্টস। ১৭  ও ৯ রানে অপরাজিত থাকেন মার্কাস স্টয়নিস ও ক্রুণাল পাণ্ডিয়া। 

 

 

রান তাড়া করতে নেমে শুরুটাই ভাল হয়নি দিল্লি ক্যাপিটালসের। ১৩ রানের মধ্যেই দুই ওপেনারের উইকেট হারায়। ৫ রান করে দুষ্মান্তা চামিরার বলে আউট হন পৃথ্বি শ। ৩ রান করে মহসিন খানের প্রথম শিকার হন ডেভিড ওয়ার্নার। এরপর ঋষভ পন্থ ও মিচেব মার্শ মিলে বিধ্বংসী ব্যাটিং শুরু করেন। দুজনে ব্য়াটিং দেখে আশার আলো দেখছিলেন দিল্লির সমর্থকরা। ঝড়ে গতিতে ৬০ রানের  পার্টনারশিপ করেন তারা। কিন্তু দলের ৭৩ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ৩৭ রান করে কৃষ্ণাপ্পা গৌতমের বলে আউট হন মার্শ। ললিত যাদবও বেশিক্ষণ ক্রিজে থাকতে পারেননি। ৩ রান করে রবি বিষ্ণোইয়ের বলে বোল্ড হন তিনি। ঋষভ পন্থ ও রভম্যান পাওয়েল ইনিংস কিছুটা এগিয়ে নিয়ে যান। ১২০ রানের মাথায় আউট হন পন্থ। ৪৪ রান করে মহসিন খানের দ্বিতীয় শিকার হন তিনি। এরপর রভম্য়ান পাওয়েল ও অক্ষর প্যাটেল কিছুটা এগিয়ে নিয়ে যায় দলের স্কোর বোর্ড। দলের ১৪৬ রানের মাথায় ৩৫ রান করে মহসিন খানের তৃতীয় শিকার হন পাওয়েল। এরপর শার্দুল ঠাকুর ১ রান করে মহসিনের চতুর্থ শিকার হন। শেষে দিকে অক্ষর প্য়াটেল ও কুলদীপ যাদব চেষ্টা করলেও শেষ রক্ষা হয়নি। শেষ ওভারে জয়ের জন্য দরকার ছিল ২১ রান। ১৪ রান করে দিল্লি। ৪২ রানে অপরাজিত থাকেন অক্ষর ও ১৬ রানে অপরাজিত থাকেন কুলদীপ। ৬ রানে ম্যাচ জিতে লিগ টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে উঠে এল লখনউ সুপার জায়ান্টস।