সংক্ষিপ্ত
আইপিএল ২০২২ (IPL 2022) -এর গুরুত্বপূর্ণ ম্য়াচে মুখোমুখি দিল্লি ক্যাপিটালস ও সানরাইজার্স হায়দরাবাদ (DC vs SRH)। প্রথমে ব্য়াট করে ২০৭ রান করল দিল্লি ক্যাপিটালস। ৯২ রান করল ডেভিড ওয়ার্নার ও ৬৭ করলেন রভম্য়ান পাওয়েল। রান তাড়া করতে নেমে ১৮৬ রানে থামে হায়দরাবাদের ইনিংস। সর্বোচ্চ ৬২ রান করেন নিকোলাস পুরান।
টানা ৫ ম্য়াচ জয়ের পর হারের হ্যাটট্রিক সানরাইজার্স হায়দবাদের। অপরদিকে ব্যাটে-বলে দুরন্ত পারফর্ম করে জয়ে ফিরল দিল্লি ক্যাপিটালস। কেন উইলিয়ামসনের দলকে ২১ রানে হারাল ঋষভ পন্থের দল। ম্য়াচে টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদ অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ২০৭ রান করল দিল্লি ক্যাপিটালস। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৮ বলে ৯২ রানের ইনিংস খেললেন ডেভিড ওয়ার্নার। এছাড়া ৩৫ বলে ৬৭ রান করলেন রভম্য়ান পাওয়েল। ২৬ রান করেন দিল্লি অধিনাক ঋষভ পন্থ। রান তাড়া করতে নেমে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৮৬ রানে থামে দিল্লি ক্যাপিটালসের ইনিংস। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৪ বলে ৬২ রান করেন নিকোলাস পুরান। এছাড়া ২৫ বলে ৪২ রান করেন আইডেন মার্করাম ও ১৮ বলে ২২ রান করেন রাহুল ত্রিপাঠী। দিল্লির হয়ে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নেন খালিল আহমেদ।
এদিন ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের শুরুটা ভালো হয়নি দিল্লি ক্যাপিটালসের। প্রথম ওভারেই খাতা না খুলে ভুবনেশ্বর কুমারের বলে আউট হন মনদীপ সিং। অপরদিকে ডেভিড ওয়ার্নার শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক মেজাজে ব্য়াট করতে শুরু করেন ডেভিড ওয়ার্নার। দলের ৩৭ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ১০ রান করে সিন অ্যাবটের বলে আউট হন মিচেল মার্শ। এরপর ডেভিড ওয়ার্নাররের সঙ্গে ইনিংসের রাশ কিছুটা ধরেন ঋষভ পন্থ। ৪৮ রানের ঝোড়ো পার্টনারশিপ করে তারা। ৮৫ রানে পড়ে তৃতীয় উইকেট। ব্যক্তিগত ২৬ রান করে শ্রেয়স গোপালের বলে আউট হন পন্থ। অন্যদিকে নিজের ইনিংস চালিয়ে যান ডেভিড ওয়ার্নার। নিজের অর্ধশতরানও পূরণ করেন অজি তারকা। তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন রভম্যান পাওয়েল। দুজন মিলে দ্রুত গতিতে এগিয়ে নিয়ে যান দলের ইনিংস। একের পর এক বাউন্ডারি ও ওভার বাউন্ডারি মারেন। শতরানের পার্টানরশিপও অল্প সময়ের মধ্যেই করে ফেলেন ওয়ার্নার ও পাওয়েল জুটি। এবারের আইপিএলে নিজের প্রথম অর্ধশতরানও পূরণ করেন রভম্যান পাওয়েল। শেষ পর্যন্ত ২০৭ রানের বিশাল স্কোর করে দিল্লি ক্যাপিটালস। ১২২ রানের পার্টনারশিপ করে অপরাজিত থাকেন ডেভিড ওয়ার্নার ও রভম্যান পাওয়াল। ৯২ করেন ওয়ার্নার ও ৬৭ করেন রভম্যান পাওয়েল।
রান তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। ৮ রানে প্রথম উইকেট পড়ে। ৭ রান করে খালিল আহমেদের ববলে আউট হন অভিষেক শর্মা। এরপর ২৪ রানে দ্বিতীয় উইকেট পড়ে। ৪ রান করে আনরিখ নকিয়ার বলে আউট হন কেন উইলিয়ামসন। অপরদিকে রাহুল ত্রিপাঠী ভালো শুরু করেও বড় ইনিংস খেলতে ব্যর্থ হন। দলের ৩৪ রানের মাথায় ২২ রান করে মিচেল মার্শের বলে আউট হন রাহুল ত্রিপাঠী। এরপর আইডেন মার্করাম ও নিকোলাস পুরান মিলে দলের ইনিংসের রাশ ধরেন। দুজন মিলে দ্রুত গতিতে রান করে। বেশ কিছু মারকাটারি শট খেলেন তারা। অর্ধশতরানের পার্টনারশিপ করেন পুরান ও মার্করাম জুটি। অবশেষে দলের ৯৭ রানে চতুর্থ উইকেট পড়ে। ৪২ রানের ইনিংস খেলে খালিল আহমেদের দ্বিতীয় শিকার হন আইডেন মার্করাম। ব্যাট হাতে ব্যর্থ হন শশাঙ্ক সিং। ১০ রান করে শার্দুল ঠাকুরের বলে আউট হন তিনি। ১৩৪ রানে পড়ে পঞ্চম উইকেট। অপরদিকে নিজের ব্যাটিং চালিয়ে যান নিকোলাস পুরান। নিজের অর্ধশতরান পূরণ করেন তিনি। ১৫৩ রানে ষষ্ঠ উইকেট পড়ে হায়দরাবাদের। ৭ রান খালিল আহমেদের তৃতীয় শিকার হন সিন আবট। শেষের দিকে নিকোলাস পুরান একা চেষ্টা করলেও সাফল্য এনে দিতে পারেননি দলকে। ১৬৫ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ৬২ রান করে শার্দুল ঠাকুরের বলে আউট হন পুরান। শেষ ওভাকে কুলদীপ যাদবের বলে ৭ রান করে বোল্ড হন কার্তিক ত্যাগি। ১৮৬ রানে থামে অরেঞ্জ আর্মির ইনিংস। ২১ রানে ম্য়াচে জিতে লিগ টেবিলের পঞ্চম স্থানে উঠে আসল দিল্লি ক্যাপিটালস।