সংক্ষিপ্ত
আইপিএল ২০২২ (IPL 2022) -এর গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মুখোমুখি কলকাতা নাইট রাইডার্স ও গুজরাট টাইটানস (KKR vs GT)। প্রথমে ব্য়াট করে ১৫৬ রান করল হার্দিক পান্ডিয়ার দল। জবাবে কেকেআরের ইনিংস শেষ হল ১৪৮ রানে।
ব্যর্থ গেল ব্যাটে-বলে আন্দ্রে রাসেলের একার লড়াই। কেকেআরের তরী তীরে নিয়ে এসেও কিনারায় পৌছতে পারলেন না ক্যারেবিয়ান তারকা। আইপিএল ২০২২-এ টানা চতুর্থ হার শ্রেয়স আইয়রের কলকাতা নাইট রাইডার্সের। ৮ রানে ম্য়াচ জিতল হার্দিক পান্ডিয়ার গুজরাট টাইটানস।ম্য়াচে টস জিতে ব্য়াটিং করার সিদ্ধান্ত গুজরাট টাইটানসের অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৫৬ রান করে গুজরাট। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৯ বলে ৬৭ রান করেন হার্দিক পান্ডিয়া। এছা়ড়াও ২৭ রান করেন ডেভিড মিলার ও ২৫ রান করেন ঋদ্ধিমান সাহা। কেকেআরের হয়ে সর্বোচ্চ এক ওভার বল করে ৪ উইকেট নেন আন্দ্রে রাসেল। এছাড়া তিনটি উইকেট নেন টিম সাউদি। একটি করে উইকেট নেন উমেশ যাদব ও শিবম মাভি। রান তাড়া করতে নেমে ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪৮ রান করে কেকেআর। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ২৫ বলে ৪৮ রানের ইনিংস খেলেন আন্দ্রে রাসেল। এছাড়া ৩৫ রান করেন রিঙ্কু সিং। গুজরাট টাউটানসের হয়ে ২টি করে উইকেট নেন মহম্মদ শামি, যশ দয়াল ও রাশিদ খান। একটি করে উইকেট নেন লকি ফার্গুসন ও যশ দয়াল।
ব্য়াট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি গুজরাট টাইটানসের। দ্বিতীয় ওভারে ৮ রানে প্রথম উইকেট পড়ে গুজরাটের। টিম সাউদির বলে ৭ রান করে করে আউট হন শুবমান গিল। এরপর ক্রিজে আসেন অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া। ঋদ্ধিমান সাহার সঙ্গে স্কোরবোর্ড এগিয়ে নিয়ে যান তিনি। বেশ কিছু ভালো শট দর্শকদের উপহার দেন হার্দিক ও ঋদ্ধি। নিজেদের মধ্যে অর্ধশতরানের পার্টনারশিপও পূরণ করেন। দ্বিতীয় উইকেটে ৭৫ রান যোগ করেন হার্দিক ও ঋদ্ধি। ৮৩ রানে দ্বিতীয় উইকেট পড়ে গুজরাট টাইটানসের। উমেশ যাদবের বলে ২৫ রান করে আউট হন ঋদ্ধিমান সাহা। এরপর ক্রিজে এসে শুরু থেকেই হার্দিক পান্ডিয়ার সঙ্গে দলের স্কোর এগিয়ে নিয়ে যান ডেভিড মিলার। একের পর এক আক্রমণাত্মক শট খেলেন দুই তারকা। নিজের অর্ধশতরানও পূরণ করেন গুজরাট টাইটানস অধিনায়ক। নিজেদের মধ্যে অর্ধশতরানের পার্টনারশিপও করেন। দলের ১৩৩ রানে ব্যক্তিগত ২৭ রান করে শিবম মাভির বলে আউট হন মিলার। মিলার আউট হওয়ার পর বেশি সময় ক্রিজে দাঁড়াতে পারেননি হার্দিক। দলের ১৩৮ রানের মাথায়া ব্যক্তিগত ৬৭ রানে টিম সাউদির বলে আউট হন হার্দিক পান্ডিয়া। একই ওভারে খাতা না খুলে টিম সাউদির তৃতীয় শিকার হন রাশিদ খান। এরপর আর কোনও ব্য়াটসম্যান দাঁড়াতে পারেনি। শেষ ওভারে একাই ৪ উইকেট নেন আন্দ্রে রাসেল। আউট করেন অভিনব মনোহ ২, লকি ফার্গুসন ০, রাহুল তেওয়াটিয়া ১৭ ও যশ দয়াল ০ রানে আউট হন। শেষ পর্যন্ত ১৫৬ রানে শেষ হয় গুজরাট টাইটানসের ইনিংস।
রান তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারাতে থাকে কেকেআর। ৫ রানে প্রথম উইকেট পড়ে। ৪ রান করে মহম্মদ শামির বলে আউট হন স্যাম বিলিংস। এরপর ১০ রানে পড়ে দ্বিতীয় উইকেট। ৫ রান করে মহম্মদ শামির দ্বিতীয় শিকার হন সুনীল নারিন। ১৬ রানে পড়ে কেকেআরের তৃতীয় উইকেট। ২ রান করে লকি ফার্গুসনের বলে আউট হন নীতিশ রানা। এরপর শ্রেয়স আইয়র এদিন বড় রান করতে ব্যর্থ হন। ৩৪ রানে চতুর্থ উইকেট পড়ে। ১২ রান করে যশ দয়ালের বলে আউট হন কেকেআর অধিনায়ক। এরপর ইনিংসের রাশ কিছুটা ধরেন রিঙ্কু সিং ও ভেঙ্কটেশ আইয়র। ৪৫ রানের পার্টনারশিপ করেন তারা। ৭৯ রানে পড়ে পঞ্চম উইকেট। ৩৫ রান করে যশ দয়ালের দ্বিতীয় শিকার হন রিঙ্কু সিং। এরপর আন্দ্রে রাসেল এসে একদিক থেকে বিগ হিট করতে থাকেন। তাকে সঙ্গ দিতে পারেননি কেউ। ৯৮ রানে পড়ে ষষ্ঠ উইকেট। ১৭ রান করে রাশিদ খানের বলে আউট হন ভেঙ্কটেশ আইয়র। ১০৮ রানে আউট হন শিবম মাভি। ২ রান করে রাশিদ খানের বলে আউট হন তিনি। এরপর রাসেল ও উমেশ যাদব মিলে এগিয়ে নিয়ে যান স্কোর বোর্ড। শেষ ওভারে জয়ের জন্য দরকার ছিল কেকেআরের ১৮ রান। একটি ছয় মারার পর আলজারি জোসেফকে আরও একটি ছয় মারতে গিয়ে আউট হন রাসেল। ৪৮ রান করেন রাসেল। এরপর আর ম্য়াচে ফিরতে পারেনি কেকেআর। ১৫ রানে উমেশ যাদব ও ১ রানে টিম সাউদি অপরাজিত থাকেন। ১৪৮ রানে থামে কেকেআর। ৮ রানে ম্য়াচ জিতে লিগ টেবিলের শীর্ষ উঠে এল গুজরাট টাইটানস।