সংক্ষিপ্ত
৫১ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে পঞ্জাব কিংস-এর বিরুদ্ধে সমস্যার পড়েছিল কেকেআর। ৩১ বলে ৭০ রানের মারকাটারি ইনিংস খেলে দলকে জেতালেন আন্দ্রে রাসেল।
২০১৯ সালের আইপিএল-এ প্রায় একার হাতে দলকে টেনে নিয়ে গিয়েছিলেন আন্দ্রে রাসেল। তারপর থেকে আর তাঁকে ব্যাট হাতে সেভাবে জ্বলে উঠতে দেখা যায়নি। তবে, শুক্রবার, আবার দেখা গেল। পঞ্জাব কিংস-এর ১৩৮ রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে একসময় ৫১ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে সমস্যায় পড়েছিল কেকেআর। সেখান থেকেই খেলাটা ধরেছিলেন রাসেল। বিলিংস-কে সঙ্গে নিয়ে সেখআন থেকে একেবারে খেলা শেষ করে ফিরলেন তিনি। করলেন ৩১ বলে অপরাজিত ৭০ রান। মারলেন ৮টি ছয়। আর তাতেই ৩৩ বল বাকি থাকতেই লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছে গেল কেকেআর। জয় এল ৬ উইকেটে। ৩ ম্যাচ খেলে ২টি জিতে এই মুহূর্তে পয়েন্ট টেবিলের সবার উফরে উঠে এল কলকাতা নাইট রাইডার্স।
আগের দুই ম্যাচের মতো এদিনও কেকেআর-কে দুর্দান্ত একটা সূচনা দিয়েছিলেন উমেশ যাদব। ২৩ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিলেন তিনি। নারাইন এবং বরুণ চক্রবর্তীর জুটি ফের কৃপণ বোলিং-এর নিদর্শ রাখলেন। কেকেআর বোলিং ইউনিটের এই দাপটে ১৮.২ ওভারে মাত্র ১৩৭ রানেই অলআউট হয়ে গিয়েছিল পাঞ্জাব কিংস।
তবে রান তাড়া করতে নেমে কেকেআর-ও সমস্যায় পড়েছিল। দুর্দান্ত ছন্দে দেখা যাচ্ছিল রাহানেকে (১২)। কিন্তু, আগের দুই ম্যাচের মতোই এদিনও তিনি একটি লুজ শট খেলে প্যাভিলিয়নে ফিরলেন। উল্টো দিকে এদিনও রান পেলেন না ভেঙ্কটেশ আইয়ার (৩)। ওডেন স্মিথের বলে অফসাইডে সপাটে চালিয়েছিলেন, কিন্তু হরপ্রিত ব্রার দুর্দান্ত ক্যাচ নেন। দুই ওপেনারের বিদায়ের পর, দলের স্কোর এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব নিয়েছিলেন শ্রেয়স আইয়ার। তাঁর সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন স্যাম বিলিংস।
৫টি চার মেরে যখন ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছেন কেকেআর অধিনায়ক, সেই সময়েই রাহুল চাহারের বলে বলে মারতে আউট হলেন শ্রেয়স। আরও একবার শিকার হলেন এক লেগ স্পিনারের। সুইপ করতে গিয়ে সময়ের গোলমাল হতেই বল সোজা উঠে গেল, ক্যাচ নিলেন রাবাডা। এর দুই বল পরই, নিতিশ রানা (০)-কেও এলবিডব্লু করে দেন চাহার। পরপর দুই উইকেট হারিয়ে দারুণ চাপে পড়ে গিয়েছিল কেকেআর। সেই সময় স্কোর ছিল ৫১-৪। একপাশে চাহার, একপাশে হরপ্রিত ব্রার - ক্রিজে এসে প্রথম দিকে একের পর এক ব্লক করছিলেন রাসেল।
ছবিটা পাল্টাতে শুরু করল দশম ওভার থেকে। হরপ্রিত ব্রারের ওভারে ২টি ছয় মেরেছিলেন রাসেল। দ্বাদশ ওভারে স্বদেশীয় ওডেন স্মিথকে সামনে পেয়ে আরও আগ্রাসি হন রাসেল। তিনি মারেন ১টি চার এবং ৩টি ছয়। শেষ বলটি নোবল করায়, মেলে ফ্রিহিট। সেই বলে বিলিংস-ও একটি ছয় মারেন। ওই ওভার থেকে আসে ৩০ রান! এই একটি ওভারেই কেকেআর-এর জয় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। একবার ছয়ের ছন্দ পেয়ে যাওয়ার পর রাসেল কে আর থামানো যায়নি। পরের ওভারে অর্শদীপ সিংকে আরও একটি চার ও একটি ছয় এবং তার পরের ওভারে লিভিংস্টোনের বলে পরপর দুটি ছয় মেরে খেলা শেষ করে দেন দ্রেরুস। অন্যপ্রান্তে যোগ্য সহায়তা দেন বিলিংস। ২৩ বলে ২৪ রান করে অপরাজিত থাকেন।