সংক্ষিপ্ত
আইপিএল ২০২২ (IPL 2022) -এ কেকেআর বনাম আরসিবির (KKR vs RCB) ম্যাচ। টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ফাফ ডুপ্লেসি। মাত্র ১২৮ রানে শেষ কেকেআরের প্রথম ইনিংস। অনবদ্য বোলিং হাসরঙ্গা, আকাশ দীপ, হার্শল প্য়াটেল, মহম্মদ সিরাজদের। রান তাড়া করতে নেমে রুদ্ধশ্বাস ম্য়াচে ৩ উইকেটে জয় পায় আরসিবি।
আইপিএল ২০২২ কেকেআর বনাম আরসিবির লো স্কোরিং রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ। প্রথম ম্য়াচ হারলেও দ্বিতীয় ম্য়াচে কেকেআরকে হারিয়ে প্রথম জয় পেল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্য়াঙ্গালোর। ম্য়াচে প্রথমে ব্য়াট করে ১২৮ রানে অলআউট হয়ে যায় কেকেআর। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ২৫ রান করেন আন্দ্রে রাসেল। এছাড়া পুরোপুরি কেকেআকরের ব্য়াটিং লাইনআপ ফ্লপ করে এদিন। কেউ ২০-র উপর স্কোর করতে পারেনি। কিন্তু তখনও কেউ ভাবেনি ১২৯ রান তাড়া করতে গিয়েও এই ম্যাচ শেষ ওভার পর্যন্ত গড়াবে। যেখানে গত ম্য়াচে এই মাঠেই পঞ্জাবের বিরুদ্ধে ২০৫ রান ডিফেন্ড করতে পারেনি। এদিনও কেকেআরের হয়ে অনবদ্য বোলিং করে দলকে ম্য়াচে ফেরান উমেশ যাদব। ভালো বোলিং করেন সাউদি, নারিনরাও। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ৩ উইকেটে জয় পায় আরসিবি। দলে হয়ে সর্বোচ্চ ২৮ রান করেন রাদারফোর্ড। এছাড়া ২৭ রানের ঝোড়ো ও গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন শাহবাজ আহমেদ।
টস হারার পর ব্য়াট করতে নেমে প্রথম থেকেই নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারাতে থাকে কেকেআর। ১০ রান করে আউট হন ভেঙ্কটেশ আইয়র। এরপর অজিঙ্কে রাহানে আউট হন ৯ রান করে। নীতিশ রানা মারকাটারিভাবে শুরু করলেও মাত্র ১০ রান করে প্যাভেলিয়নে ফেরত যান। অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়রের কাছে আজ সুযোগ ছিল অধিনায়কোচিত ইনিংস খেলার। কিন্তু তিনিও তাড়াহুড়ো করে ছয় মারতে গিয়ে ১৩ রান করে আউট হন। এরপর সুনীল নারিনকে উপরের দিকে পাঠালেও তিনিও ১২ রান করে আউট হন। এরপর খাতা না খুলেই আউট হন শেলডন জ্যাকসন। ৬৭ রানের মধ্যেই ৬ উইকেট হারিয়ে বিশাল চাপে পড়ে যায় কলকাতা নাইট রাইডার্স। স্য়াম বিলিংসও ১৪ রান করে আউট হন। আন্দ্রে রাসেল এদিন কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে লড়াই করার চেষ্টা করেন। ৩টি বিশাল ছক্কা মারার পাশাপাশি একটি চারও মারেন। ২৫ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। টিম সাউদি ১ রান করে আউট হন। শেষের দিকে লড়াই করেন উমেশ যাদব ও বরুণ চক্রবর্তী। ইনিংসের সবথেকে বড় পার্টনারশিপ আসে শেষ উইকেটে। ২৭ রানের পার্টনারশিপ করেন উমেশ ও বরুণ। শেষ পর্যন্ত ১৮ রান করে আউট হন উমেশ যাদব। ১০ রান করে অপরাজিত থাকেন বরুণ চক্রবর্তী। ১২৮ রানে শেষ হয় কেকেআরের ইনিংস। আরসিবির হয়ে সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট নেন হাসরঙ্গা। এছাড়া ৩টি উইকেট নেন আকাশ দীপ, ২টি উইকেট হার্শল প্য়াটেল ও ১টি মহম্মদ সিরাজ।
রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি আরসিবিও। উমেশ যাদবের আগুনে বোলিংয়ের সামনে পরাস্ত হন অনুজ রাওয়াত ও বিরাট কোহলি। খাতা না খুলেই প্যাভেলিয়নে ফেরেন অনুজ। ফাফ ডুপ্লেসিও এদিন ব্যর্থ হন। ৫ রান করে টিম সাউদির বলে আউট হন তিনি। বিরাট কোহলি ভালো শুরু করেন দুটি চার মারেন। কিন্তু উমেশ যাদবের অনবদ্য ডেলিভারিতে ১২ রান করে আউট হন তিনি। ১৭ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় আরসিবি। তারপর ইনিংসের রাশ ধরেন ডেভিড উইলি ও শেরফিন রাদারফোর্ড। তারা দুজন মিলে ৪৫ রানের পার্টনারশিপ করেন। দলের ৬২ রানের মাথায় ১৮ রান করে আউট হন ডেভিড উইলি। ডেভিড উইলি আউচ হলেও অপর দিক থেকে নিজেদের শট খেলতে থাকেন রাদারফোরড ও শাহবাজ আহমেদ। বেশ কিছু বিগ হিট করেন আহমেদ। ৩৯ রানের পার্টনারশিপ করে আউট হন শাহবাজ। ২০ বলে ২৭ রান করে বরুণ চক্রবর্তীর বলে আউট হন তিনি। পার্টনারশিপ ভাঙার পরই আউট হন রাদারফোর্ড। ২৮ রান করে সাউদির বলে আউট হন তিনি। ৪ রান করে হাসরঙ্গাও সাউদির শিকার হন। শেষের দিকে আরসিবির হয়ে ম্যাচ ফিনিশ করেন দীনেশ কার্তিক ও হার্শল প্য়াটেল। কার্তিক অপরাজিত ১৪ ও হার্শল অপরাজিত ১০ রান করেন। ৪ বল বাকি থাকতে ৩ উইকেটে জয় পায় আরসিবি।