সংক্ষিপ্ত
আইপিএল ২০২২ (IPL 2022) -এর রুদ্ধশ্বাস ম্য়াচে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে ৭ রানে হারাল রাজস্থান রয়্যালস (KKR vs RR)। প্রথমে ব্য়াট করে ২১৭ রান করল রাজস্থান। শতরান করলেন জস বাটলার। জবাবে ২১০ রানে অলআউট কেকেআর।
ব্যর্থ গেল অ্যারন ফিঞ্চ ও শ্রেয়স আইয়রের লড়াকু ইনিংস। রুদ্ধশ্বাস লাস্ট ওভার থ্রিলারে ৭ জয় পেল রাজস্থান রয়্যালস। এক ওভারে হ্য়াটট্রিক সহ চার উইকেট নিয়ে বল হাতে রাজস্থানের নায়ক যুজবেন্দ্র চাহল। ম্য়াচে টস জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত কেকেআর অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়র। প্রথমে ব্য়াট করে নির্ধাতিরত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ২১৭ রানের পাহাড় প্রমাণ স্কোর করল রাজস্থান রয়্যালস। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬১ বলে ১০৩ রানের ইনিংস খেলেন জস বাটলার। এছাড়া ১৯ বলে ৩৮ রানের ইনিংস খেলেন সঞ্জু স্যামসন। ১৩ বলে ২৬ করেন শিমরন হেটমায়ার ও ২৪ রান করেন দেবদূত পাড়িকল। রান তাড়া করতে নেমে ২ বাকি থাকতেই ২১০ রানে অলআউট হয়ে যায় কেকেআর। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫১ বলে ৮৫ রানের ইনিংস খেলেন শ্রেয়স আইয়র। এছাড়া ২৮ বলে ৫৮ রান করেন অ্যারন ফিঞ্চ। শেষের দিকে ৯ বলে ২১ রান করে উমেশ যাদব আশা জাগালেও শেষ রক্ষা করতে পারেননি। রাজস্থানের হয়ে সর্বোচ্চ একাই ৫ উইকেট নেন যুজবেন্দ্র চাহল।
টস হারলেও এদিন ব্য়াট হাত ইনিংসের শুরুটা বিধ্বংসীভাবে শুরু করেন রাজস্থান রয়্যালসের ওপেনার জস বাটলার। কেকেআরে সব বোলারদের শুরু থেকেই তুলোধনা শুরু করেন বাটলার। তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন অপর ওপেনার দেবদূত পাড়িকল। একের পর এক বাউন্ডারি-ওভার বাউন্ডারি মারতে থাকেন তিনি। পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার আগেই অর্ধশতরানের পার্টনারশিপ পূরণ করে ফেলেন বাটলার ও পাড়িকল জুটি। ২৯ বলে নিজের অর্ধশতরান পূরণ করে ফেলেন বাটলার। ৯৭ রানের পার্টনারশিপ করার পর দশম ওভারে ভাঙে পার্টনারশিপ। ২৪ রান করে সুনীল নারিনের বলে বোল্ড হন দেবদূত পাড়িকল। এরপর ক্রিজে আসেন রাজস্থান রয়্যালসের অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন। এরপর ক্রিজে আসেন রাজস্থান রয়্যালসের অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন। ব্য়াট করতে নেমেই আক্রমণাত্মক মেজাজে ব্য়াট করা শুরু করেন তিনি। ঝড়ের গতিতে জস বাটলারের সঙ্গে অর্ধশতরানের পার্টনারশিপ করেন সঞ্জু। অবশেষে ১৬৪ রানে দ্বিতীয় উইকেট পড়ে। আন্দ্রে রাসেলের বলে বিগ হিট করতে গিয়ে বাউন্ডারিতে ক্যাচ আউট হন সঞ্জু। ৩৮ করেন তিনি। কিন্তু অপরদিকে নিজের ইনিংস চালিয়ে যান বাটলার। মরসুমের দ্বিতীয় শতরান করেন তিনি। ৫৯ বলে সেঞ্চুরি পূরণ করেন বাটলার। দলের ১৮৩ রানের মাথায় ১০৩ রান করে প্য়াটকামিন্সের বলে আউট হন বাটলার। ৫টি ছয় ও ৯টি চারে সাজানো তার ইনিংস। চতুর্থ উইকেট পেতে প্রতীক্ষা করতে হয়নি কেকেআরকে। ১৮৯ রানের মাথায় ৫ রান করে নারিনের বলে আউট হন রিয়ান পরাগ। এরপর স্লগ ওভারে কয়েকটি ওভার ভালো বল করে কেকেআরষ শেষ ওভারে শিমরন হেটমায়ার রাসলেরে ওভারে নেন ১৮ রান। ২০ ওভারে ২১৭ করে রাজস্থান। ১৩ বলে ২৬ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন হেটমায়ার।
রান তাড়া করতে নেমে প্রখম বলেই রান আউট হয়ে প্যাভেলিয়নে ফেরত যান সুনীল নারিন। এরপর গলের ইনিংসের রাশ ধরেন অ্যারন ফিঞ্চ ও শ্রেয়স আইয়র। উইকেট বাঁচানোর পাশাপাশি একের পর এক বাউন্ডারি, ওভার বাউন্ডারি মারতে শুরু করেন তারা। ঝড়ে গতিতে অর্ধশতরানের পার্টনারশিপ করেন দুজনে। প্রয়োজনীয় রান রেট অনুযায়ী এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন তারা। নিজের অর্ধশতরানও পূরণ করেন অ্য়ারন ফিঞ্চ। শতরানের পার্টনারশিপও করেন শ্রেয়স-ফিঞ্চ জুটি। শেষ পর্যন্ত ১০৭ রানে দ্বিতীয় উইকেট পড়ে কেকেআরের। ৫৮ রান করে প্রসিদ্ধ কৃষ্ণার বলে আউট হন ফিঞ্চ। এরপর নীতিশ রানা এসে শ্রেয়স আইয়রের সঙ্গ দেন। নিজের অর্ধশতরানও পূরণ করেন শ্রেয়স। ১৪৮ রানে তৃতীয় উইকেট পড়ে। ১৮ রান করে যুজবেন্দ্র চাহলের শিকার হন তিনি। এরপর রাসেল এসে এদিন থাতা না খুলেই অশ্বিনের বলে বোল্ড হন। অপরদিকে একাই দলকে টানতে থাকেন শ্রেয়স আইয়র। কিন্তু ম্যাচে যখন ৪ ওভারে ৪০ রান দরকার কেকেআরের। সকলেই জয়ের আশা করছে। তখন ১৭ তম ওভারে হ্য়াটট্রিট সহ ৪ উইকেট নিয়ে খেলা পুরো ঘুড়িয়ে দেন চাহল। ভেঙ্কটেশ আইয়র ৬, শ্রেয়স আইয়র ৮৫, শিবম মাভি ০, প্যাট কামিন্স ০ রানে আউট হন। এরপর শেষের দিকে উমেশ যাদব কয়েকটি বিগ হিট করে আশা জাগিয়েছিলেন। কিন্তু ব্য়াট হাতে ব্যর্থ হন শেলডন জ্যাকসন। শেষ ওভারে ৮ রান করে ম্য়াককয়ের বলে আউট হন। এরপর যখন ৩ বলে আট রান দরকার তখন ছয় মারতে গিয়ে বোল্ড হন উমশ। ২১ রান করেন তিনি। ৭ রানে ম্য়াচ জেতে রাজস্থান রয়্যালস। এই জয়ের ফলে লিগ টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে উঠে এল সঞ্জু স্যামসনের দল।