সংক্ষিপ্ত

আইপিএল ২০২২ (IPL 2022) -এ মঙ্গলবার মুখোমুখি রয়্য়াল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর ও রাজস্থান রয়্যালস (RCB vs RR)। ম্য়াচে প্রথমে  ব্যাট করে ১৪৪ রান করল রাজস্থান রয়্যালস। হাফ সেঞ্চুরি করলেন রিয়ান পরাগ। রান তাড়া করতে নেমে ১১৫ রানে  অলআউট আরসিবি
 

রাজস্থান রয়্যালসের দেওয়া ১৪৫ রানের ছোট টার্গেটও চেজ করতে পারল না রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। হায়দরাবাদ ম্যাচের পর ফের ব্যাটিং বিপর্যয় আরসিবির।  ২৯ রানে ম্যাচ জিতল সঞ্জু স্যামসনের দল। ম্য়াচে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন আরসিবি অধিনায়ক ফাফ ডুপ্লেসি। প্রথমে ব্য়াট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪৪ রান করে রাজস্থান রয়্যালস। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩১ বলে ৫৬ রানের ইনিংস খেলেন রিয়ান পরাগ। এছাড়া ২৭ রান করেন সঞ্জু স্যামসন। এছাড়া কোনও ব্যাটসম্য়ান ২০ রানের গণ্ডী টপকাতে পারেনি। আরসিবির হয়ে সর্বোচ্চ ২টি করে উইকেট নেন মহম্মদ সিরাজ, জস হ্যাজেলউড ও ওয়ানিন্দু হাসরঙ্গা। রান তাড়া করতে নেমে ১১৫ রান অলআউট হয়ে যায় আরসিবি। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ২৩ রান করেন ফাফ ডুপ্লেসি। আর কোনও ব্য়াটসম্যান ২০-র গণ্ডি টপকাতে পারেনি। রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট নেন কুলদীপ সেন। এছাড়া  ৩টি উইকেট নেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও ২টি উইকেট নেন প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা।  

 

 

এদিন ইনিংসের শুরুটা ভালো করতে পারেনি রাজস্থান রয়্যালস।  ১১ রানে প্রথম উইকেট পড়ে। ৭ রান করে মহম্মদ সিরাজের বলে আউট হন দেবদূত পাড়িকল। এরপর রবিচন্দ্রন অশ্বিন এসে দ্রুত গতিতে  রান করা শুরু করলেও বড় ইনিংস খেলতে ব্যর্থ হন তিনি। দলের ৩৩ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ১৭ রান করে মহম্মদ সিরাজের দ্বিতীয় শিকার হন অশ্বিন। পরপর দুটি ম্য়াচে শতরান করার পর এদিন ৮ রান করে জস হ্যাজেলউডের বলে আউট হন জস বাটলার। ৩৩ রানেই পড়ে তৃতীয় উইকেট। এরপর সঞ্জু স্য়ামসন ও ড্যারেল মিচেল মিলে ৩৫ রান যোগ করেন। দলের ৬৮ রানের মাথায় ওয়ানিন্দু হাসরঙ্গার বলে ২৭ রান করে আউট হন সঞ্জু স্য়ামসন। ৯৯ রানে পঞ্চম উইকেট পড়ে। হ্য়াজেলউডের বলে ১৬ রান করে আউট হন ড্যারেল মিচেল। ব্য়াটে রান পাননি শিমরন হেটমায়ারও। দলের ১০২ রানের মাথায় ৩ রান করে হাসরঙ্গার বলে আউট হন তিনি। এরপর ১১০ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ৫ রান করে হার্শল প্য়াটেলের বলে আউট হন ট্রেন্ট বোল্ট। ১২১ রানে অষ্টম উইকেট পড়ে। ২ রান করে আউট হন প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা। একদিকে যেখানে একের পর উইকেট পড়ছিল অপরদিক থেকে এক  অনবদ্য ইনিংস খেলেন রিয়ান পরাগ। নিজের অর্ধশতরানও পূরণ করেন রিয়ান পরাগ। ৩১ বলে ৫৬ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ১৪৪ রানে থামে রাজস্থান  রয়্যালসের ইনিংস। 

 

 

রান তাড়া করতে নেমে ফের ব্য়াটিং বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয় রয়্যাল চ্য়ালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরকে। ফের ব্যর্থ হন বিরাট কোহলি। দলের ১০ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ৯ রান করে প্রসিদ্ধ কৃষ্ণার বলে আউট হন বিরাট। এরপর ফাফ ডুপ্লেসি ও রজত পাতিদার মিলে ইনিংসের রাশ ধরার চেষ্টা করলে বেশিক্ষণ পারেননি। দলের ৩৭ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ২৩ রান করে কুলদীপ সেনের বলে আউট হন ডুপ্লেসি। গ্লেন ম্যাক্সওয়েল এসে খাতা না খুলেই কুলদীপ সেনের দ্বিতীয় শিকার হন তিনি। এরপর একদিক থেকে শাহবাজ আহমেদ একদিক থেকে ধরে রাখার চেষ্টা করেন। দলের ৫৮ রানের মাথায় ১৬ রান করে অশ্বিনের দ্বিতীয় শিকার হন রজত পাতিদার। এরপর দলের ৬৬ রানের মাথায় ২ রান করে রবিচন্দ্রনন অশ্বিনের বলে আউট হন সুযশ প্রভুদেশাই। ইন ফর্ম দীনেশ কার্তিক দুর্ভাগ্য বশত ব্যক্তিত ৬ রানে রান আউট হন। ৭২ রানে পড়ে ষষ্ঠ উইকেট। এরপর শাহবাজ আহমেদ আউট হন দলের ৯২ রানে। ২০ রান করেন তিনি। উইকেট নেন অশ্বিন। এরপর গলের ১০২ রানের মাথায় হাসরঙ্গা ১৮ রান করে কুলদীপ সেনের বলে আউট হন। এরপর ৫ রান করে প্রসিদ্ধ কৃষ্ণার বলে আউট হন মহম্মদ সিরাজ। শেষ পর্যন্ত শেষ ওভারে ১১৫ রানে অলআউট হয়ে যায় আরসিবি। ৮ রান করে হার্শল প্য়াটেলের শেষ উইকেট নেন কুলদীপ সেন। ২৯ রানে ম্য়াচ জিতে লিগ টেবিলের শীর্ষস্থানে উঠে এল রাজস্থান রয়্যালস।