সংক্ষিপ্ত

আজ আইপিএল ২০২২-এর (IPL 2022) মেগা  রাজস্থান রয়্যালসকে হারাল গুজরাট টাইটানস (RR vs GT)। প্রথমে ব্য়াট করে ১৯২ রান করল হার্দিক পান্ডিয়ার দল। সঞ্জু স্যামসনের দলের ইনিংস শেষ হয় ১৫৫  রানে।
 

ব্য়াটে-বলে দুরন্ত গুজরাট টাইটানস। সঞ্জু স্যামসনের দলকে ৩৭ রানে হারিয়ে আইপিএলের লিগ টেবিলে শীর্ষ স্থানে উঠে এল হার্দিক পাণ্ডিয়ার দল। ম্য়াচে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন রাজস্থান রয়্যালস অধিনায়ক। প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে  ৪ উইকেট হারিয়ে ১৯২ রান করে গুজরাট। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫২ বলে ৮৭ রান করেন অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া। এছাড়া ২৮ বলে ৪৩ রান করেন অভিনব মনোহর। শেষেক দিকে ১৪ বলে ৩১ রান করেন ডেভিড মিলার।  রান তাড়া করতে নেমে রাজস্থান রয়্যালসের ইনিংস শেষ হয় ১৫৫ রানে। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৪ রানের ইনিংস খেলেন জস বাটলার। এছাড়া ২৯ রান করে শিমরন হেটমায়ার। এছাড়া কেউ ২০ রানের গণ্ডি টপকাতে পারেননি। 

এদিন গুজরাট টাইটানসের তরফে বড় রান করতে ব্যর্থ হন দুই ওপেনার সহ তিন নম্বর ব্যাটসম্যান। ১২ রানে প্রথম উইকেট পড়ে গুজরাটের। ১২ রান করে দুর্ভাগ্যবশত রান আউট হন ম্যাথু ওয়েড।  ১৫ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ২ রান করে কুলদীপ সেনের বলে আউট হন বিজয় শংকর। এরপর ক্রিজে আসেন অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া। শুবমান গিলের সঙ্গে ৩৮ রানের পার্টনারশিপ করেন হার্দিক। ৫৩ রানে তৃতীয় উইকেট পড়ে গুজরাট টাইটানসের। ব্যক্তিগত ১৩ রান করে রিয়ান পরাগের বলে আউট শুবমান গিল। এরপর ইনিংসের রাশ ধরেন অধিনায়র হার্দিক পান্ডিয়া ও তরুণ ক্রিকেটার অভিনব মনোহর। দুজন মিলে উইকেট বাঁচানোর পাশাপাশি দ্রুত গতিতে এগিয়ে নিয়ে যান দলের স্কোর বোর্ড। দলের স্কোর একশো পার করেন হার্দিক ও অভিনব জুটি। নিজের অর্ধশতরান পূরণ করেন হার্দিক পান্ডিয়া। ৮৬ রানের গুরুত্বপূর্ণ পার্টনারশিপ করার পর চতুর্থ উইকেট পড়ে গুজরাট টাইটানসের। দলের ১৩৯ রানে ব্যক্তিগত ৪৩ রান করে যুজবেন্দ্র চাহলের বলে আউট হন অভিনব মনোহর। এরপর ক্রিজে আসেন ডেভিড মিলার তিনিও বিধ্বংসী মেজাজে ব্যাট করতে থাকেন। স্লগ ওভারে চার-ছয়ের বন্যা বইয়ে দেন হার্দিক-মিলার জুটি। অর্ধশতরানের পার্টনারশিপও করেন তারা। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ১৯২ করে গুজরাট। রাজস্থান রয়্যালসের টার্গেট ১৯৩ রান।

রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি রাজস্থান রয়্যালসের।  একদিকে থেকে বিধ্বংসী ব্যাটিং করেন জস বাটলার, কিন্তু অপর দিক থেকে নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারাতে থাকে রাজস্থান। দলের ২৮ রানে প্রথম উইকেট পড়ে। একদিক থেক জস বাটলার শো চলায় তখনও খাতাই খুলতে পারেননি দেবদূত পাড়িকল। শূন্য রানে যশ দয়ালের বলে আউট হন তিনি। এরপর চমক দিয়ে উপরে ব্যাট করতে নামেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। তিনিও দাঁড়িয়ে বাটলারের ব্যাটিং উপভোগ করতে থাকেন। ৫৬ রানে দ্বিতীয় উইকেট পড়ে।  ৮ রান করে লকি ফার্গুসনের বলে আউট হন তিনি। অপরদিকে নিজের অর্ধশতরান পূরণ করেন জস বাটলার। ৬৫ রানে তৃতীয় উইকেট পড়ে। ২৪ বলে ৫৪ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে লকি ফার্গুসনের অনবদ্য ইয়র্কারে বোল্ড হন জস বাটলার। সঞ্জু স্যামসনও এদিন রান পাননি। ১১ রান করে দুর্ভাগ্যবশত রান আউট হন তিনি।  ৭৪ রানে চতুর্থ উইকেট পড়ে রাজস্থানের। ৯০ রানে পঞ্চম উইকেটের পতন হয়। ৬ রান করে যশ দয়ালের বলে আউট হন তিনি। এরপর রিয়ান পরাগকে সঙ্গে নিয়ে দ্রুত গতিতে রান করা শুরু করেন শিমরন হেটমায়ার। কিন্তু ১১৬ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ২৯ রানে মহম্মদ শামির বলে আউট হন তিনি। এরপর রিয়ান পরাগ চেষ্টা করলেও ১৮ রান করে লকি ফার্গুসনের বলে আউট হন। এরপর ১৪৭ রানে অষ্টম উইকেট পড়ে। ১৭ রান করে হার্দিক পান্ডিয়ার বলে আউট হন জিমি নিশাম। শেষ ওভারে চাহলকে ৫ রান আউট করেন যশ দয়াল। শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটে ১৫৫ রানে শেষ হয় রাজস্থানের ইনিংস। ৩৭ রানে ম্যাচে জেতে গুজরাট।