সংক্ষিপ্ত

দেশের হয়ে বরাবর আবেগ দিয়ে ক্রিকেট খেলেছেন। বল হাতে আগুনও ঝড়িয়েছেন তার ক্রিকেট কেরিয়ারে। তবে শুধু বল হাতে নয় বন্দুক হাতেও দেশ সেবা করতে চেয়েছিলেন। কার্গিল যুদ্ধে (Kargil War) অংশ নিতে চেয়েছিলেন তিনি। সেই কথাই এক সাক্ষাৎকারে জানালেন শোয়েব আখতার (Shoaib Akhtar)।
 

২৬ জুলাই কার্গিল বিজয় দিবসের ২৩ বছর পূর্ণ হল। ১৯৯৯ সালের মে মাস থেক জুলাই মাস পর্যন্ত যুদ্ধ করার পর ২৬ জুলাই বিজয় পতাকা উড়িয়েছিল ভারতীয় সেনা বাহিনি।  তারপর থেকে প্রতিবছর এই দিনটিতে পালন কার্গিল বিজয় দিবস। যুদ্ধে শহিদদের শ্রদ্ধা জানানোর পাশাপাশি কার্গিল যুদ্ধে পাকিস্তানকে হারানোর ও নিজেদের জয়ের দিন হিসেবেও পালিত হয় এই দিনটি। এই যুদ্ধের প্রভাব পড়েছিল দুই দেশের ক্রিকেটের সম্পর্কেও। তারপর মাঝে সমস্যা কিছুটা মিটলেও এখন বর্তমানে আইসিসি অনুমোদিত ট্রফি ছাড়া দ্বিপাক্ষিক সিরিজ বন্ধ রয়েছে ভারত পাকিস্তানের। কিন্তু এবার জানলে অবাক হয়ে যাবেন যে কার্গিল যুদ্ধে  পাকিস্তানের প্রাক্তন পেস বোলার শোয়েব আখতার ভারতের বিরুদ্ধে লড়াই করতে চেয়েছিলেন।

দেশের প্রতি শোয়েব আখতারের ভালবাসা বা আবেগের র কথা আমাদের সকলের জানা। সেই দেশভক্তির কারণেই রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস চেয়েছিলেন কার্গিলে যুদ্ধে অংশ নিতে। কার্গিল যুদ্ধে ভারত-পাকিস্তান দুই দেশেরই অসংখ্য সৈনিক শহিদ হয়েছিল। পাকসংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শোয়েব আখতার জানান,'১৯৯৯-এর মে থেকে জুলাই পর্যন্ত চলা কার্গিল যুদ্ধে দেশের হয়ে প্রাণ দিতে প্রস্তুত ছিলেন তিনি। সেই সময় আমার কাছে নটিংহ্যামের ১ লক্ষ ৭৫ হাজার পাউন্ডের প্রস্তাব ছিল। পরে ২০০২ সালেও আরও একটা বড় প্রস্তাব পাই। যখন কার্গিল যুদ্ধ চলছিল, আমি দু'টি প্রস্তাবই প্রত্যাখ্যান করি। কারণ আমার কাছে সেই সময় দেশের পাশে থাকাটাই বেশি প্রয়োজনীয় মনে হয়েছিল।'

সেই সময় নিজের অভিজ্ঞতার কথা আরও জানিয়েছেন শোয়েব আখতার। তিনি বলেন,'আমি লাহোরের উপকণ্ঠে দাঁড়িয়ে ছিলাম। একজন জেনারেল আমাকে জিজ্ঞাসা করে, অমি এখানে কী করছি। আমি বলি, যুদ্ধ শুরু হতে চলেছে এবং আমরা একসঙ্গে মরব। আমি দু'বার একারণেই কাউন্টি প্রস্তাব ফিরিয়েছি এবং তাতে ওরা অবাক হয়েছিল। যদিও আমার তাতে বিশেষ মাথাব্যথা ছিল না। আমি কাশ্মীরে আমার বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ করি এবং বলি, আমি লড়াইয়ে নামতে প্রস্তুত।' যদিও সেই সময় দেশের তারকা ক্রিকেটারের ইচ্ছে বা স্বপ্ন পূরণ হয়নি। কার্গিল যুদ্ধেও জয়লাভ করে ভারত। যা ভারতের সামরিক শক্তির ইতিহাসে এক গৌরব গাঁথা হয়ে রয়ে যাবে অনন্তকাল ধরে।

প্রসঙ্গত, নিজেকর জীবন নিয়ে বায়োপিক তৈরি হওয়ার কথা সম্প্রতি জানিয়েছেন শোয়েব আখতার। পাকিস্তানের কোনও ক্রীড়াবিদকে নিয়ে এই প্রথম কোনও বিদেশি চলচ্চিত্র তৈরি হতে চলেছে। ছবির একটি ক্লিপ এবং পোস্টার শোয়েব ভাগ করে নিয়েছেন অনুরাগীদের সঙ্গে। শোয়েবের বায়োপিকের নাম হবে ‘রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস, রানিং এগেনস্ট অল অডস’। বায়োপিকে শোয়েবের জীবনের অনেক অজানা দিক উঠে আসবে। এই ছবির পরিচালক মহম্মদ ফরাজ কায়জার। কিউ প্রোডাকশন্স ফিল্মস নামে একটি সংস্থা ছবি প্রযোজন করছে। সব ঠিকঠাক থাকলে ২০২৩-এর ১৬ নভেম্বর ছবি মুক্তি পাবে। 

আরও পড়ুনঃদাবা অলিম্পিয়াডের থিম সং এরআর রহমানের 'জাদু', প্রধান চমক এমকে স্টালিনের উপস্থিতি

আরও পড়ুনঃজিদান-এমবাপেদের দেশের ক্রিকেটার ইতিহাস তৈরি করলেন টি২০ ক্রিকেটে