সংক্ষিপ্ত
সিএবির (CAB) প্রথম ডিভিশন লিগে অনবদ্য মনোজ তিওয়ারি (Manoj Tiwary)। মোহনবাগানের (Mohun Bagan) হয়ে করলেন সেঞ্চুরি (Century)। ১০ উইকেটে ওয়াইএমসিএকে (YMCA) হারাল সবুজ-মেরুণ ব্রিগেড।
রাজনীতিতে ময়দানে নাম লেখালেও, আগেই জানিয়েছিলেন বাংলার হয়ে রঞ্জি দলে সুযোগ পেলে খেলা চালিয়ে যাবেন। রঞ্জি ট্রফির (Ranji Trophy) প্রাথমিক বাংলা দলেও সুযোগও পেয়েছেন বিধায়কতথা মন্ত্রী মনোজ তিওয়ারি (Manoj Tiwary)। বাংলা দলের সঙ্গে অনুশীলন শুরু করার পাশাপাশি ঘরোয়া ক্লাব ক্রিকেটে মোহনবাগানের (Mohun Bagan)হয়েও খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মনোজ। মন্ত্রীমশাইয়ের মধ্যে ক্রিকেটটা যে এখনও ফুরিয়ে যায়নি সিএবির (CAB) প্রথম ডিভিশনের একদিনের প্রতিযোগিতায় সবুজ-মেরুণের হয়ে সোমবার তা প্রমাণ করলেন। ওয়াইএমসিএ (YMCA)-র বিরুদ্ধে ব্য়াট হাতে অনবদ্য সেঞ্চুরি করে একাই মোহনবাগানকে জেতালেন মনোজ তিওয়ারি। সাবলীলভাবে বোলিংও করেছেন মনোজ। এখনও যে তিনি বাংলার হয়ে প্রতিনিধিত্ব করার জন্য প্রস্তুত সেটাই বুঝিয়ে দিলেন মনোজ।
সোমবার সিএবির একদিনের ক্রিকেটে মোহনবাগানের প্রতিপক্ষ ছিল ওয়াইএমসিএ। সেখানে ম্য়াচে প্রথমে ব্যাট করে ৪১.২ ওভারে ১৭৩ রান করে অলআউট হয়ে যায় ওয়াইএমসিএ। মোহনবাগানের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন নীলকন্ঠ দাস। এছাড়া ৩ জন দুটি করে উইকেট নেন। তারা হলেন অর্ণব নন্দী, সায়ন ঘোষ এবং রাজকুমার পাল। মনোজ তিওয়ারি ২ ওভার বল করেন। রান তাড়া করতে নেমে মনোজ তিওয়ারি ও অভিমন্যু ঈশ্বরণের অনবদ্য ইনিংসের সৌজন্য ১০ উইকেটে ম্য়াচ জেতে মোহনবাগান। ১০০ বলে ১০৩ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন মনোজ তিওয়ারী। ৬২ বলে ৫৬ রানের ইনিংস খেলেন অভিমন্যু ঈশ্বরণ। প্রতিপক্ষের বোলররা ম্য়াচে কোনো দাগই কাটতে পারেনি। মাত্র ২৬.৪ ওভারেই মনোজ ও অভিমূন্যর ব্য়াটে ভর করে জয়ের লক্ষ্যে পৌছে যায় সবুজ-মেরুণ ব্রিগেড।
এছাড়া অন্যান্য ম্য়াচগুলিতে আনন্দবাজার ৫ উইকেটে হারায় ওয়াড়িকে।ম্য়াচে প্রথমে ব্যাট করে ১৬৫ রান করে ওয়াড়ি। জবাবে ৩১.৩ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌছেয় যায় আনন্দবাজার। অন্য ম্যাচে প্রথমে ব্য়াট করে ১৩৭ রান করে সুভাষ ইনস্টিটিউট। জবাবে মনোহর পুকুর মিলন সমিতি ৩৩.১ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে জয় পায়। টাউন ক্লাব ১১৭ রানে হারিয়েছে আইবিএসি-কে। সন্দীপ তোমরের অপরাজিত ১৩৩ রানের সৌজন্যে ২৯৯ রান তোলে টাউন। জবাবে আইবিএসি অলআউট হয়ে যায় ১৮২ রানেই। অপর ম্য়াচে প্রথমে ব্যাট করে ১৯২ রান করে রাজস্থান ক্লাব। জবাবে ৮ উইকেটে ম্যাচে জয় পায় শ্যামবাজার। প্রথম ডিভিশনের অপর ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ১৯২ রান করে কলকাতা পুলিস ক্লাব। জবাবে ৪ উইকেটে ম্যাচ জিতে নেয় ডালহৌসি ক্লাব।