সংক্ষিপ্ত
মাঠে প্রতিপক্ষের প্লেয়ারের সঙ্গে অভব্য আচরণের অভিযোগ। বাংলাদেশের (Bangladesh) বিরুদ্ধে ম্য়াচে এমন আচরণ করেন পাকিস্তানের (Pakistan) দুই পেসার শাহিন আফ্রিদি (Shaheen Afridi), হাসান আলি (Hasan Ali)। দুজনকেই আইসিসির (ICC) শাস্তির সম্মুখীন হতে দল।
বাংলাদেশের (Bangladesh)বিরুদ্ধে টি২০ সিরিজে (T20 Series) শৃঙ্খলার ভঙ্গের অভিযোগে শাস্তির মুখে পড়লেন ২ পাকিস্তানি ক্রিকেটার। তারা হলেন পাকিস্তানের নতুন তারকা পেস বোলার শাহিন আফ্রিদি (Shaheen Afridi)ও অপর জন হলেন মিডিয়াম পেসার হাসান আলি (Hasan Ali)। শাহিন আফ্রিদির অপরাধ বেশি গুরুতর হওয়ার তার বিরুদ্ধে বেশি কঠোর হয়েছে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ামক সংস্থা। অপরদিকে, হাসান আলি এমন ঘটনায় অতীতে এমন ঘটনায় জড়িত না থাকার কারণে একটু নমনীয় হয়ছে আইসিসি (ICC)। তবে ভবিষ্যতের জন্য দুজনকেই সাবধান করে দেওয়া হয়েছে।
শাহিন আফ্রিদি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টি২০ ম্যাচে বাংলাদেশের ব্যাটসম্য়ান আফিফ হুসেনকে বল ছুড়ে মারেন। আঘাতের চোটে মাঠেই কাতরাতে থাকেন তিনি। আসলে তার আগের বলেই ছয় খেয়েছিলেন শাহিন,পরের বলটি আফ্রিদি ফুল লেংথে রাখেন। আফিফ স্ট্রেট ড্রাইভ মারেন। আফ্রিদি বল ধরে স্টাম্প লক্ষ্য করে ছোড়েন। বল আফিফের পায়ে লাগে। সেখানেই পড়ে যান তিনি।অবশ্য তার পরেই আফিফের কাছে ক্ষমা চেয়ে নেন আফ্রিদি। কিন্তু তার পরেও শাস্তির মুখে পড়তে বল আফ্রিদিকে। তাঁর ম্যাচ ফি-র ১৫ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে। আইসিসি-র তরফে একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আইসিসি কোড অব কন্ডাক্টের লেবেল ১ অপরাধ করেছেন আফ্রিদি। তিনি নিজের ভুল স্বীকার করেছেন। ম্যাচ রেফারি নিয়ামুর রশিদ তাঁকে যে জরিমানা করেছেন তা মেনে নিয়েছেন আফ্রিদি।’ গত দু’বছরে আফ্রিদির এটি প্রথম অপরাধ হওয়ায় তাঁকে শুধু জরিমানা করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে আইসিসি।
অপরদিকে, বাংলাদেশের ফাস্ট বোলার-ব্যাটসম্যান নুরুল হাসানকে আউট করেন হাসান। কট বিহাইন্ড হয়েছিলেন তিনি। এর পরই তাঁকে বিশ্রীভাবে মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যেতে বলেছিলেন পাকিস্তানের হাসান আলি। একইসঙ্গে ম্যাচে স্লো ওভারের জন্য বাংলাদেশ দলকে ২০ শতাংশ ফি জরিমানাও করা হয়েছিল। হাসান আলিকে ভর্ৎসনা করা হয়েছে গত শুক্রবার প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচের পরে। বাংলাদেশের ব্যাটার নুরুল হাসানকে আউট করার পর তাঁর উদ্দেশে যে অঙ্গভঙ্গি করেছিলেন হাসান, তার জন্যই এই শাস্তি হয়েছে। একটি ‘ডিমেরিট পয়েন্ট’-ও যোগ করা হয়েছে।
হাসান আলি আইসিসির আচরণবিধির ধারা ২.৫ লঙ্ঘন করেছেন বলে প্রমাণিত হয়েছে। যে ধরণের ভাষা, অঙ্গভঙ্গি ও ব্যবহার তিনি মাঠে করেছিলেন, তার জন্য শাস্তিও পেতে হবে তাঁকে । এছাড়াও হাসান আলির শাস্তিমূলক রেকর্ডে একটি ডিমেরিট পয়েন্ট যোগ করা হয়েছে। সেটি ২৪ মাসের মধ্যে প্রথম ভুল বলে ধরা হচ্ছে। ৫০ শতাংশ জরিমানাও হতে পারত হাসান আলির। তবে আইসিসি প্রথম অপরাধ বলে একটি নমনীয় হয়েছেন।