সংক্ষিপ্ত
আফগানিস্তানের দখল নিয়েছে তালিবানরা। রাজনৈতিক অস্থিরতা পুরো দেশ জুড়ে। এই পরিস্থিতিতে আইপিএলে রাশিদ খান ও মহম্মদ নবিদের খেলা নিয়ে অনিশ্চয়তা। অনিশ্চিৎ টি২০ বিশ্বকাপে অংশগ্রহণও।
মার্কিন সেনার আফগানিস্তান ত্যাগ। তারপরই দেশ জুড়ে তান্ডব শুরু করে তালিবানরা। চলে বালাগাম ধ্বংস ও হত্যালীলা। রাজধানী কাবুল সহ কার্য়ত গোটা দেশ দখল করে নিয়েছেন তালিবানরা। ভেঙে পড়েছে দেশের শাসন ব্যবস্থা। প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি চলে গিয়েছেন তাজিকিস্তানে। শুরু হয়েছে তালিবানি শাসন। আফগানিস্তানের রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে সমস্যায় দেশের জাতীয় ক্রিকেট দলও। সামনেই রয়েছে আইপিএল ও টি২০ বিশ্বকাপ। দুটি প্রতিযোগিতাই আফগান প্লেয়ার ওদলের খেলা নিয়েও তৈরি হয়েছে অনিশ্চিয়তা।
আইপিএলে আফগানিস্তানের তিন তারকা প্লেয়ার খেলেন। রাশিদ খান, মহম্মদ নবি ও মুজিবুর রহমান। ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে আরব আমিরশাহিতে শুরু হতে চলেছে আইপিএল ২০২১-এর দ্বিতীয় পর্ব। সেখানে এই তিন আফগান ক্রিকেটার অংশ নেওয়া নিয়ে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন চিহ্ন। আফগানিস্তানের ঘোর দুঃসময়ে ইংল্যান্ডেল রয়েছেন রশিদ খান ও মহম্মদ নবি। জনপ্রিয় দ্য হ্যান্ড্রেড টুর্নামেন্টে খেলছেন দুই আফগান তারকা। কিন্তু তাদের পরিবার রয়েছে আফগানিস্তানেই। ফলে ইংল্যান্ডে প্রতিযোগিতা শেষে তারা দেশে পরিবারের কাছে যাবেন না সরাসরি আইপিএল খেলতে যাবেন, তা নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা। গোটা বিষয়টির উপর নজর রাখছে বিসিসিআই। আফগান ক্রিকেটাররা রাজি হলে, বিসিসিআই ভারতীয় দলের প্লেনে একসঙ্গে তাদের আরব আমিরশাহিতে নিয়ে যাওয়ার কথাও ভাবছে। তবে বিসিসিআই এখনও আশাবাদী আফগান তারকাদের আইপিএল যোগ নিয়ে।
শুধু আইপিএল নয়, আসন্ন টি২০ বিশ্বাকাপেও আফগানিস্তানের ক্রিকেট দলের খেলা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। আফগানিস্তানে মোট ৬টি ক্রিকেট স্টেডিয়াম রয়েছে। এরমধ্যে কান্দাহার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম, খোস্ত সিটি স্টেডিয়াম এবং কুন্দুজ ক্রিকেট স্টেডিয়াম তালিবানদের দখলে চলে গেছে। ফলে এই দেশটির অক্টোবরে আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া অনেকটাই অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। রাশিদ, নবিরা ইংল্য়ান্ডে থাকলেও, আফগানিস্তান ক্রিকেট দলের অনুশীলনে তৈরি হয়েছে সমস্যা। আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের কর্মকর্তারাও ক্রিকেটারদের অনুশীলনের ব্যাপারে কোনো উদ্যোগ নিতে পারছে না। দেশটির জনগনের দুশ্চিন্তা এখন শুধুই তালিবানদের নিয়ে। ক্রিকেট নিয়ে ভাবনা এখন আপাতত পিছনের সারিতে চলে গেছে। পরিস্থিতি আগামি দিনে আরও ভয়াবহ হওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে। পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে আইসিসিও।