সংক্ষিপ্ত

টি২০ বিশ্বকাপের (T20 World Cup 2022) আগে কী ফের খারাপ খবর অপেক্ষা করে রয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট দলের (Paksitan Cricket Team) জন্য। পাকিস্তানের প্রাক্তন অধিনায়কের দাবিতে শুরু তুমুল জল্পনা। 

সদ্য সমাপ্ত এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠেও ট্রফি  জিততে পারেনি পাকিস্তান ক্রিকেট দল। যা নিয়ে দলের ক্রিকেটারররা হতাশ। তবে সেই হতাশার ভার বেশি দিন বয়ে না বেরিয়ে আসন্ন টি২০ বিশ্বকাপের  জন্য প্রস্তুতি শুরু কে দিয়েছে বাবর আজমের দল। কিন্তু টি২০ বিশ্বকাপের আগে আরও এক জোর ধাক্কা খেতে চলেছে  পাকিস্তাম ক্রিকেট দল। পাকিস্তানের প্রাক্তন অধিনায়ক ও উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান রশিদ লতিফের জাবি যদি সত্যি হয় তাহলে কিন্তু সমস্যা বাড়তে চলেছে পাকিস্তান ক্রিকেট দলের। কারণ রশিদ লাতিফের দাবি হাঁটুর চোটের কারণে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলতে পারবেন না বাবর আজমদের দলের নির্ভরযোগ্য ক্রিকেটার ফখর জমান। যেই দাবি সামনে আসার শোরগোল পড়ে গিয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেটের অন্দরে।

এশিয় কাপে খুব একটা ভালো ফর্মে পাওয়া যায়নি পাকিস্তান দলের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান ফকর জামানকে। ৬ ম্যাচে করেছিলেন মাত্র ৯৬ রান। যা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন শোয়েব আখতারও। এবার নিজের ইউটিউব চ্যানেলে রাশিদ লাতিফ বলেন,'ফখর পাকিস্তানের বিশ্বকাপের দলে নেই। ওর হাঁটুতে চোট লেগেছে। চার থেকে ছ’সপ্তাহ ওকে মাঠের বাইরে থাকতে হবে। আমি শুনেছি, শাহিন আফ্রিদিরও একই ধরনের চোট লেগেছিল। আশা করছি ফখর তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠবে।' পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের তরফে এখনও টি২০ বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করা হয়নি। ফকর জমানের চোট প্রসঙ্গেও কিছু বলা হয়নি পাক বোর্ডের তরফে। এশিয়া কাপে চোটের কারণে শাহিন আফ্রিদিকে পায়নি পাকিস্তান। এবার টি২০ বিশ্বকাপে ফকরকে না পেলে বড় ঝটকা খাবে পাক দল। 

প্রসঙ্গত, এশিয়া কাপের ফাইনালে টস জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তান।  ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৭০ রান করে শ্রীলঙ্কা। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭১ রানের ইনিস খেলেন ভানুকা রাজাপক্ষে। এছাড়া ৩৬ রান করেন ওয়ানিন্দু হাসরঙ্গা। পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নেন হ্যারিস রউফ। এছাড়া একটি করে উইকেট নেন নাসিম শাহ, শাদাব খান ও ইফতিকর আহমেদ। রান তাড়া করতে নেমে ২০ ওভারে ১৪৭ রানে অলআউট হয়ে যায় পাকিস্তান। মহম্মদ রিজওয়ান সবথেকে বেশি ৫৫ রান করেন। শ্রীলঙ্কার হয়ে সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট নেন প্রমোদ মদুসান। এছাড়াও ৩টি উইকেট নেন হাসরঙ্গা, ২টি উইকেট নেন চামিকা করুণারত্নে ও একটি উইকেট নেন মাহেস থিকসানা। ২৩ রানে ম্য়াচ জিতে ষষ্ঠবার এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন হয় শ্রীলঙ্কা।