সংক্ষিপ্ত
আইপিএল ২০২২ (IPL 2022) -এ রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর বনাম দিল্লি ক্যাপিটালসের (Royals Challengers Bangalore vs Delhi Capitals) ম্যাচ। প্রথমে ব্য়াট করে ১৮৯ রান করল ফাফ ডুপ্লেসির দল। দিল্লি ক্যাপিটালস করে ১৭৩ রান।
ব্য়াটে-বলে দুরন্ত আরসিবি। আইপিএলের গুরুত্বপূর্ণ ম্য়াচে দিল্লি ক্যাপিটালসকে হারিয়ে জয়ে ফিরল ফাফ ডুপ্লেসির দল। ১৬ রানে জয় পেল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। ম্য়াচে টস জতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন দিল্লি অধিনায়ক ঋষভ পন্থ। প্রথমে ব্য়াট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৮৯ রান করে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্য়াঙ্গালোর। আরসিবির হয়ে সর্বোচ্চ ৩৪ বলে ৬৬ রানের ইনিংস খেলেন দীনেশ কার্তিক। এছাড়া ৩৪ বলে ৫৫ রানের ইনিংস খেলেন গ্লেন ম্য়াক্সওয়েল, ২১ বলে ৩২ করেন শাহবাজ আহমেদ। রান তাড়া করতে নেমে ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৭৩ রান করে দিল্লি ক্যাপিটালস। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৬ রান করেন ডেভিড ওয়ার্নার। এছাড়া ৩৪ রান করেন ঋষভ পন্থ। আরসিবির হয়ে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নেন জস হ্যাজেলউড।
এদিন ব্য়াট করতে নেমে শুরুটা বালো হয়নি আরসিবির। ৫ রানে প্রথম উইকেট পড়ে। খাতা না খুলেই সাজঘরে ফেরত যান অনুজ রাওয়াত। শার্দুল ঠাকুরের বলে আউট হন তিনি। দলের ১৩ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ৮ রানে বিগ হিট করতে গিয়ে খালিল আহনমেদের বলে আউট হন ডুপ্লেসি। এরপর বিরাট কোহলি ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ২৭ রানের পার্টনারশিপ করার পর তৃতীয় উইকেট পড়ে আরসিবির। ১২ রান করে রান আউট হন বিরাট কোহলি। একদিক থেকে উইকেট হারালেও অপরদিক থেকে নিজের ইনিংস চালিয়ে যান ম্যাক্সওয়েল। ৭৫ রানে চতুর্থ উইকেট পড়ে। ৬ রান করে অক্ষর প্যাটেলের বলে আউট হন সুযশ প্রভুদেশাই। ঝোড়ো গতিতে নিজের অর্ধশতরান পূরণ করেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। অবশেষে দলের ৯২ রানের মাথায় থামে ম্য়াক্সওয়েলর ইনিংস। ৫৫ রান করে কুলদীপ যাদবের বলে আউট হন তিনি। এরপর দলের ইনিংসের রাশ ধরেন দুরন্ত ফর্মে থাকা শাহবাজ আহমেদ ও অভিজ্ঞ দীনেশ কার্তিক। মারকাটারি ইনিংস খেলতে থাকেন দীনেশ কার্তিক। নিজেদের মধ্যে অর্ধশতরানের পার্টনারশিপ পূরণ করেন তারা। ১৮ তম ওভারে ২৮ রান নিয়ে নিজের অর্ধশতরানও পূরণ করেন কার্তিক। শেষ পর্যন্ত ১৮৯ রানে থামে আরসিবির ইনিংস। ৬৬ রান করে অপরাজিত থাকেন দীনেশ কার্তিক ও ৩২ রান করে অপরাজিত থাকেন শাহবাজ আহমেদ। ৫৫ বলে ৯৭ রানের পার্টনারশিপ করেন দুজনে।
রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা দুরন্ত করে দিল্লি ক্য়াপিটালসের দুই ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার ও পৃথ্বি শ। প্রথম থেকে অ্যাটাকিং শট খেলতে থাকেন দুজনে। পঞ্চম ওভারে ৫০ রানের পার্টনারশিপও পূরণ করে ফেলেন দুজনে। কিন্তু সেই ওভারেই প্রথম উইকেট পড়ে দিল্লির। ১৬ রান করে মহম্মজ সিরাজের বলে আউট হন পৃথ্বি শ। এরপর ক্রিজে আসেন মিচেল মার্শ। তবে তাকে ছন্দে পাওয়া যায়নি। অপরদিকে নিজের বিধ্বংসী ব্য়াটিং জারি রেখে অর্ধশতরান পূরণ করেন ডেভিড ওয়ার্নার। মার্শের সঙ্গে ৪৪ রানের পার্টনারশিপ করেন। ৯৪ রানে দ্বিতীয় উইকেট পড়ে। ৬৬ রান করে হাসরঙ্গার বলে আউট হন ডেভিড ওয়ার্নার। এরপর একদিক থেকে ঋষভ পন্থ একদিক থেকে থাকলেও অপরদিকে দ্রুত আরও ৩টি উইকেট পরে। ১১২ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ১৪ রানে রান আউট হন মিচেল মার্শ। এর এসে খাতা না খুলেই হ্যাজেলউডের বলে আউট রভম্যান পাওয়েল। ললিত যাদবও ১ রান করে হ্যাজেলউডের দ্বিতীয় শিকার হন। এরপর প্রয়োজনীয় রান রেট বাড়তে থাকায় মারকাটারি ব্য়াটিং শুরু করেন পন্থ। কিন্তু ১৭ বলে ৩৪ রানের ইনিংস খেলে মহম্ম সিরাজের বলে আউট হন পন্থ। অনবদ্য ক্যাচ ধরেন বিরাট কোহলি। ১৪২ রানে ষষ্ঠ উইকেট পড়ে। এরপর শার্দুল ঠাকুর কিছুটা চেষ্টা করেন। তবে ১৭ রান করে হ্য়াজেসউডে শিকার হন তিনি। ১৫৬ রানে পড়ে সপ্তম উইকেট। শেষে পর্যন্ত ১৭৩ রানে থামে দিল্লি। অক্ষর প্যাটেল ও কুলদীপ যাদব দুজনেই ১০ রান করে অপরাজিত থাকেন। এই জয়ের ফলে লিগ টেবিলের তৃতীয় স্থানে উঠে এব আরসিবি।