সংক্ষিপ্ত
- সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট করলেন সচিন
- একজন হোটেল কর্মীর খাঁজে সচিন তেন্ডুলকর
- নেটিজেনদের কাছে সাহায্য চাইলেন মাস্টার ব্লাস্টার
নিজের ক্রিকেট কেরিয়ারে সচিনকে এমন কথা কেউ কোনও দিন দেয়নি। চেন্নাইতে একটি টেস্ট ম্যাচ খেলেত গিয়েছিলেন সচিন। সেখানে একজন হোটেল কর্মী সচিনের ঘরে এসেছিলেন কফি দিতে। সেই ওয়েটার সচিনকে বলেন, আপনার সঙ্গে ক্রিকেট নিয়ে একটা কথা বলতে চাই। সচিন সম্মতি দেওয়ায় সেই হোটেল কর্মী বলেন, ‘ব্যাটিং করার সময় আর্ম গার্ড পড়লে আপনার ব্যাটের সুইং বদলে যায়।’ সেই কথা শুনে চমকে যান সচিন। কারণ সেই হোটের কর্মী একদম ঠিক কথা বলেছেন। সচিন সেটা নিজেও জানতেন। হোটেলের সেই কর্মী জানান একাধিকবরা সচিন ব্যাটিংয়ের ক্লিপ দেখে তিনি এটা দেখেছেন। ভক্ত তাঁর ব্যাটিং এতটা খুঁটিয়ে দেখেছে দেখে চমকে গিয়েছিলেন সচিন। তারপর ফিরে এসে নিজের আর্ম গার্ড বদলে নেন মাস্টার ব্লাস্টার। শনিবার নিজের টুইটারে এই কথা সবার সঙ্গে শেয়ার করেছেন সচিন।
আরও পড়ুন - টি-২০ বিশ্বকাপে দলে চান তারকা ক্রিকেটারকে, কোচ বাউচার নিজেই নিচ্ছেন উদ্যোগ
সচিন নিজের কেরিয়ায় এই মজার গল্প বলার পাশাপাশি, নেটিজেনদের একটি চ্যালেঞ্জ দিয়েছেন। সেই ব্যাক্তিকে খুঁজে দেওয়ার। সচিনের ইচ্ছে সেই হোটেল ওয়েটারের সঙ্গে একবার দেখা কররা। সচিনে এই পোস্ট দেখে মাঠে নেমে পরেছেন নেটিজেনরাও। অনেকে আবার সচিনের সেই টুইট হোটেল কতৃপক্ষের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছেন। তবে এতবছর পরও সচিন তেন্ডুলকর একজন হোটেল বেয়ারাকে যে মনে রেখেছেন সেটা দেখে মুগ্ধ নেট দুনিয়া। শনিবার করা সচিনের এই টুইট ভাইরাল হয়েছে নেট দুনিয়ায়।
আরও পড়ুন - আবার সৌরভের প্রশংসা রবি শাস্ত্রীর গলায়, বলছেন মহারাজকে শ্রদ্ধা করেন তিনি
পেশাদার ক্রিকেট থেকে সচিন এখন অনেকটাই দুরে। অবসর জীবন কাটাচ্ছেন। কিন্তু এই অবসরের প্রতিটা মূহুর্তে যে ক্রিকেট ফিরে ফিরে আসা সেটা বোঝা যায় সচিনের সোশ্যাল মিডিয়ায় চোখ রাখলেই। ভারতীয় দলের ম্যাচের পর দলকে শুভেচ্ছা জানিয়ে টুইট করতে ভোলেন না মাস্টার। এখন মাঝে মাঝএই নিজের ব্যাট নিয়ে নেমে পরেন ইন্ডোরে নকিং করতে। আর ক্রিকেট সংক্রান্ত বিভিন্ন অনুষ্ঠানেও পাওয়া যায় সচিনকে। এই যেমন গত মাসে তাঁকে পেয়েছিল শহর কলকাতা। দেশের প্রথম পিঙ্ক বল টেস্টে সৌরভের ডাকে সারা দিয়ে ক্রিকেটের নন্দন কাননে এসেছিলেন মাস্টার ব্লাস্টার।
আরও পড়ুন - পাকিস্তান যেতে বাধ্য করা হবে না ক্রিকেটারদের, বলছেন বাংলাদেশ বোর্ডের প্রধান