সংক্ষিপ্ত
- বিশ্বফুটবলে শ্রেষ্ঠ দুই তারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো এবং লিওনেল মেসি
- তাদের পরিসংখ্যানের সাথে তুলনা করা যায় এমন কোন ফুটবলার পাওয়া মুশকিল
- কিন্তু হল্যান্ডের ওয়েসলি স্নাইডার মনে করেন তার মধ্যে মেসি-রোনাল্ডো মতোই ক্ষমতা ছিল
- দেশের হয়ে একটি বিশ্বকাপ ফাইনালেও খেলেছেন স্নাইডার
রোনাল্ডো এবং মেসির চেয়ে তিনি কোন অংশে পিছিয়ে ছিলেন না, মনে করেন স্নাইডার। মেসি এবং রোনাল্ডো-কে এযুগের শ্রেষ্ঠ ফুটবলার হিসাবে গন্য করা হয়। স্নাইডার মনে করেন তিনিও একইরকম খ্যাতি ও সাফল্য অর্জন করতে পারতেন, কিন্তু মাদকাসক্তি তাকে সেই সাফল্য অর্জন থেকে বিরত রেখেছে। স্নাইডার নিজে যদিও তার মধ্যেও অনেক খ্যাতি অর্জন করেছেন নিজের ফুটবলজীবনে। খেলেছেন আয়াক্স, রিয়াল মাদ্রিদ এবং ইন্টার মিলানের মতো বড় দলের হয়ে।
আরও পড়ুনঃকরোনার জন্য জারি নিয়ম ভেঙে নির্বাসিত ৬ ফুটবলার
২০১০ ই সম্ভবত স্নাইডারের জীবনের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বছর। সেই বছর অর্জনের দিক দিয়ে তিনি ছাপিয়ে গিয়েছিলেন মেসি এবং রোনাল্ডো দুজনকেই। ইন্টার মিলানের হয়ে সিঁরি আ, কোপা ইতালিয়া এবং চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছিলেন। অসাধারণ পারফরম্যান্স করে ইন্টারকে ত্রিমুকুট জেতানোয় বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন তিনি। এছাড়াও দেশের জার্সি পড়ে অনবদ্য পারফরম্যান্স করেছিলেন স্নাইডার। দেশের বিশ্বকাপ ফাইনালে ওঠার পেছনে তার অনেক বড় ভূমিকা ছিল। যদিও তা সত্ত্বেও সেই বছর তাকে ব্যালন-দি-ওর দেওয়া হয়নি, যা অনেকের চোখেই দৃষ্টিকটু লেগেছে।
আরও পড়ুনঃআমফানে লন্ডভন্ড সুন্দরবনের পাশে দাঁড়ালেন সস্ত্রীক ফুটবলার শিল্টন পাল
আরও পড়ুনঃনেইমারের নামে বরাদ্দ ১০৫ ডলার করোনা ভাতার টাকা,আজব কাণ্ড ব্রাজিলে
তারপর ফর্ম হারানোয় ইন্টার ছেড়ে তুরস্কের অন্যতম সেরা দল গালতাসারে যোগ দিয়েছিলেন। সেখানেও দুবার তুরস্ক লিগ জিতেছেন। কিন্তু চোট ও ধারাবাহিকতার অভাবে ৩৪ বছরেই ফুটবলের বুট জোড়া তুলে রাখতে বাধ্য হন তিনি। চোট না লাগলে হয়তো কেরিয়ার আরও দীর্ঘায়িত এবং সুন্দর হতে পারতো কিন্তু যা জিতেছেন তাতেই সন্তুষ্ট তিনি। তার মতে মেসি রোনাল্ডো অসাধারণ, তারা অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছে দীর্ঘদিন সেরা থাকার জন্য। কিন্তু নিজের জীবনে যা সাফল্য ও খ্যাতি তিনি পেয়েছেন, সেটাও ফেলে দেওয়ার মতো নয় বলে মনে করেন তিনি।