সংক্ষিপ্ত
- সৌরভের ৩টি আর্টারিতে ৯০ থেকে ৯৫% ব্লকেজ
- অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি করে বসানো হল একটি স্ট্রেন্ট
- আরও ২টি স্ট্রেন্ট প্রতিস্থাপন হতে পারে সোমবার
- সৌরভকে নিয়ে উদ্বেগে গোটা ক্রিকেট বিশ্ব
সৌরভের অ্যাঞ্জিপ্লাস্টি সফল হয়েছে। এখন তিনি সুস্থ ও সবল রয়েছেন। এমনকী বেডে-র মধ্যে উঠেও বসেছেন। মেডিক্যাল বুলেটিনে এমনই জানাল উডল্যান্ডস হাসপাতাল। মেডিক্যাল টিমের অন্যতম সদস্য আফতাব কান জানিয়েছেন, সৌরভের তিনটি আর্টারিতে ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ ব্লকেজ রয়েছে। এরমধ্যে একটি আর্টারির অবস্থা খুবই সঙ্গীণ ছিল। যার ফলে সৌরভকে স্টেবল করতে অ্যাঞ্জিপ্লাস্টি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
উডল্যান্ডসের ডিরেক্টর রূপালি বাসু এই বুলেটিনে সংবাদমাধ্যমকে জানান, শনিবার সকালে জিম করার সময় বাড়িতেই মাথা ঘোরাচ্ছিল সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের। ব্ল্যাকআউটও হয়ে গিয়েছিল। এরপরই তিনি নিজেই উডল্যান্ডসের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডক্টর বাসু-কে ফোন করেছিলেন। সমস্ত কেস হিস্ট্রি পেয়েই সৌরভকে উডল্যান্ডসে চলে আসতে বলা হয়েছিল। রূপালি বাসু জানিয়েছেন, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের চিকিৎসার জন্য ৫ সদস্যের একটি মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। যাতে ৩ জন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞকে রাখা হয়েছে। এদের মধ্যে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডক্টর আফতাব খান, ডক্টর সরোজ মণ্ডলও রয়েছেন।
ডক্টর আফতাব খান জানিয়েছেন, সৌরভের একটি আর্টারির ব্লকেজ-কে আপাতত পরিস্কার করে দেওয়া হয়েছে। এই আর্টারির ব্লকেজ খুবই খারাপ জায়গায় ছিল। ব্লকেজ ক্লিয়ার করার পর বুকের ব্যাথা অনেকটাই কমেছে সৌরভের। যে ধরনের ব্যাথা এবং শারীরিক অসুবিধা নিয়ে তিনি উডল্যান্ডসে এসেছিলেন, তার থেকে এখন অনেকটাই রেহাই পেয়েছেন বলেই জানিয়েছেন আফতাব খান। ক্যাথল্যাবে সৌরভের একটি আর্টারিতে স্ট্রেন্ট বসানোর পর তাঁকে আইটিইউ-এর জেনারেল বেডে আনা হয়। সেখানে তিনি বেডে আপাতত উঠে বসেছেন। জ্ঞান রয়েছে এবং কথাও বলতে পারছেন। তবে সৌরভকে আপাতত কম কথা বলতে বলা হয়েছে। খাওয়া-দাওয়া এখনও দেওয়া হয়নি। অস্ত্রোপচার থেকে ২ ঘণ্টা সময় পার হলে তাঁকে নিয়ম মেনে খেতে দেওয়া হবে।
উডল্যান্ডস সূত্রে খবর, সৌরভের বাকি দুটি আর্টারির স্ট্রেন্ট নিয়ে সোমবার সিদ্ধান্ত নেবে মেডিক্যাল বোর্ড। বাইপাস সার্জারি করতে হবে কি না তা নিয়ে অবশ্য চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত এখনই জানায়নি উডল্যান্ডস। তবে, উডল্যান্ডস কর্তৃপক্ষের দাবি, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় গোল্ডেন আওয়ার্সের মধ্যে হাসপাতালে পৌঁছে গিয়েছিলেন। যার জন্য বড় কোনও ক্ষতি হয়নি। ধাপে ধাপে সমস্ত পরীক্ষা করেই অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি করা সম্ভব হয়েছে।