সংক্ষিপ্ত
- ইতিমধ্যেই করোনা ভাইরাস থাবা বসিয়েছে আইপিএলে
- যা নিয়ে কিছুটা উদ্বিগ্ন বিসিসিআই ও আইপিএলের কর্তারা
- কিন্তু এই পরিস্থিতি নিয়ে কোনওভাবে বিচলিত নন সৌরভ
- এবারের আইপিএল নজির গড়বে বলে আশাবাদী তিনি
করোনা আতঙ্ক ইকিমধ্যেই গ্রাস করেছে আইপিএলকে। অন্যান্য সাতটি দলে কোনও সমস্যা না থাকলেও, চেন্নাই সুপার কিংস দলের ২ প্লেয়ার সহ ১৩ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত। যার জন্য আইপিএলের সূচি প্রকাশ নিয়েও সমস্যায় রয়েছে বিসিসিআই। করোনা পরিস্থিতিতে পুরো টু্নামেন্ট সুস্থ স্বাভাবিকভাবে করাও এখন বিশাল বড় চ্যালেঞ্জ। কিন্তু এত সব কিছুর মধ্যেও নিজের লক্ষ্যে অবিচল বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। সব সমস্য কাটিয়ে অবারের আইপিএল নজির গড়বে বলে আত্মবিশ্বাসী সৌরভ।
আরও পড়ুনঃপ্রকাশ্যে এল রোহিত-হার্দিক-বুমরাদের রাজকীয় হোটেলের অন্দরমহলের ছবি, যা হার মানাবে রূপকথাকেও
করোনা পরিস্থিতিতে এবার দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে হবে আইপিএলের সব ম্যাচ। তাতে কোনও অসুবিধা হবে কিনা, প্রতিযোগিতা তার জৌলুস হারাবে কিনা তা নিয়ে উদ্বিগ্ন বোর্ডের শীর্ষ কর্তারা। কিন্তু এই সব নেগেটিভ দিকক নিয়ে ভাবতেই রাজি নন বাংলার 'দাদা'। এক অনলাইV শো-তে বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে জানিয়েছেন,'এ বার টিভিতে রেকর্ড সংখ্যক মানুষ আইপিএল দেখবেন। এত দিনের তুলনায় সব চেয়ে বেশি ‘টিআরপি’ হবে এ বারের আইপিএলের। টিভি সম্প্রচারকারী সংস্থা আশা করছে,মাঠে না যেতে পারলেও টিভির পর্দায় অবশ্যই সকলে চোখ রাখবেন।' সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় আরও জানিয়েছেন, সবকিছুরও একটা ইতিবাচক দিক থাকে। ফলে সেটা নিয়েই ভাবা উচিৎ ও এগিয়ে যাওয়া উচিৎ।
আরও পড়ুনঃআইপিএলে তারকা হতে পারেন বাংলার এই ক্রিকেটাররা, দেখে নিন তালিকা
আরও পড়ুনঃকরোনা আতঙ্কের সঙ্গে মরু শহরের গরমের চ্যালেঞ্জ, প্রাণ ওষ্ঠাগত কেকেআর প্লেয়ারদের
করোনা ভাইরাস মহামারী নিয়ে আতঙ্কিত গোটা পৃথিবী। এই পরিস্থিতিতে আইপিএলের মাধ্যমে সকলকে ভেঙে না পড়ে লড়াইয়ে র বার্তাও দেওয়ার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্য়ায়। এই পরিস্থিতিতে আইপিএল করার কারণ সম্পর্কে সৌরভ জানিয়েছেন,'আমরা চাইলে আইপিএল না-ই করতে পারতাম। কিন্তু মানুষ তো কত রকম বিপদ থেকে ফিরে এসেছে। যুদ্ধ থেকে ফিরে এসেছে। দুর্যোগ থেকে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। আমার বিশ্বাস, এই অতিমারি থেকেও সকলে ঘুরে দাঁড়াবে। আইপিএল আয়োজন করে মানুষের মধ্যে একটা ধারণা তৈরি করতে চেয়েছি যে, সব কিছু স্বাভাবিক হয়ে উঠবে।' এছাড়াও খুব শীঘ্রই এই ভাইরাস আরও দুর্বল হয়ে পড়বে একইসঙ্গে ৪-৫ মাসের মধ্যে প্রতিষেধক বেরিয়ে যাওয়ার বিষয়েও আশাবাদী সৌরভ। ফলে যে কোনও পরিস্থিতিতেই যে হার মানার পাত্র সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় নয়, তা তিনি আগেও প্রমাণ করেছেন, আর এবারও বুঝিয়ে দিলেন।