সংক্ষিপ্ত
- ইংল্যান্ডের দেখানো পথে দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দল
- ভারত সফরে হাত মেলাবেন না প্রোটিয়া ক্রিকেটাররা
- সিদ্ধান্তের কথা জানালেন দক্ষিণ আফ্রিকার কোচ মার্ক বাউচার
- ১২ তারিখ ধরমশালায় প্রথম ম্যাচ ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকার
করোনা ভাইরাস আতঙ্কের জেরে এবার ইংল্যান্ডের দেখানো পথে হাঁটল দক্ষিণ আফ্রিকা দল। সংক্রমণ থেকে বাঁচতে ভারত সফরে প্রোটিয়ারা হাত মেলাবেন না বলে পরিষ্কার জানিয়ে দিলেন দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দলের কোচ মার্ক বাউচার। এছাড়াও একাধিক সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে চলেছেন ক্যুইন্টন ডি কক, ফ্যাফ ডুপ্লি সি, হেনরিক ক্লাসেন, এনগিডিরা। ১২ তারিখ ধরম শালায় প্রথম একদিনের ম্যাচে মুখোমুখি হতে চলেছে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা।
আরও পড়ুনঃ আইজলকে হারাতে হারতে পারলেই আইলিগ জয় নিশ্চিত বাগানের
এর আগে ইংল্যান্ড দল করোনা ভাইরাস আতঙ্কের জেরে আসন্ন শ্রীলঙ্কা সফরে হ্যান্ড শেক না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। এই কথা স্বয়ং জানিয়েছিলেন ইংল্যান্ড দলের অধিনায়ক জো রুট। কারণ করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচতে কোনওরকম ঝুঁকি নিতে চাইছেন না ব্রিটিশ ক্রিকেটাররা। শরীরের সংস্পর্শে করোনা ভাইরাস ছড়ানোর সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু এক্ষেত্রে হাত মেলানোর পাল্টা পথও বাতলে দিয়েছিলেন ব্রিটিশ লায়ন্সরা। হ্যান্ডশেকের বদলে ক্রিকেটাররা 'ফিস্ট বাম্প' বা মুষ্ঠি ঠেকাবেন একে অপরের হাতে। ইংল্যান্ড ক্রিকেটারদের এই ভীতির পেছনে কারণও রয়েছে যথার্থ। সম্প্রীতি দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে গিয়ে বেশ কয়েক জন ক্রিকেটার গ্যাস্ট্রো সমস্যা ও জ্বরে আক্রান্ত হয়েছিলেন। ১০ জন ক্রিকেটারের পাশাপাশি অসুস্থ হয়ে পড়েন ৪ জন সাপোর্ট স্টাফও। এত জনের রহস্যজনকভাবে অসুস্থ হওয়ার কারণে সিরিজে দল বাছাইয়ের ক্ষেত্রেও সমস্যায় পড়তে হয়েছিল ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলকে। তাই শ্রীলঙ্কা সফরে কোনও ঝুঁকি না নিয়ে হ্যান্ডশেক থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইংল্যান্ড। এছড়াও অন্যান্য সবরকম সাবধানতার অবলম্বনও নিতে চলেছে রুট-স্টোকস-জেশন রয়-ব্রেস্ট্রোরা।
আরও পড়ুনঃকরোনা আতঙ্ক এইবার থাবা বসালো আইপিএলে, রুদ্ধদ্বার ম্যাচ আয়োজনের কথা ভাবছে বিসিসিআই
আরও পড়ুনঃ২০১৪ থেকে ঝুলিতে নেই কোনও আইসিসি ট্রফি, তবু কী করে ক্রিকেটের সেরা শক্তি ভারত
ইতিমধ্যেই ভারতে করোনা ভাইরাসের আক্রান্তের সংখ্যা ৪০ ছাড়িয়েছে। আতঙ্ক গ্রাস করেছে গোটা দেশকে। প্রোটিয়া কোচ মার্ক বাউচার পরিষ্কার জানিয়েছেন, 'ভারত সফরে দক্ষিণ আফ্রিকা দলের ক্রিকেটাররা হ্যান্ডশেক থেকে বিরত থাকবেন। ক্রিকেটারদের মধ্যে আতঙ্ক কাজ করছে। দলে ছেলেদের মতামতকে গুরুত্ব দিয়েই হাত মা মেলানোর সিদ্ধান্ত। আমাদের সঙ্গে সিকিউরিট স্টাফ থাকবে৷ আশাকরি স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে ওরাও এটা মাথা রাখবে৷ ওর যদি ভাবে এতে আমাদের ক্ষতি হতে পারে তাহলে আমাদের তা না-করাই ভালো৷' শ্রীলঙ্কা সফরে ইংল্যান্ড দল হাত না মেলানোর পরিবর্তে ফিস্ট বাম্পের সিদ্ধান্ত নিলেও, দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটাররা তেমন কোনও পদ্ধতি গ্রহণ করবে কিনা সেবিষয়ে কিছু জানাননি মার্ক বাউচার। প্রসঙ্গত দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ৩টি একদিনের ম্যাচ খেলবে ভারত। প্রথম ম্যাচ ধরমশালা ও পরের দুটি ম্যাচ লখনউ ও কলকাতায়।