সংক্ষিপ্ত
রঞ্জি ট্রফির (Ranji Trophy 2022) কোয়ার্টার ফাইনালে (Quarter Fina) ঝাড়াখণ্ডের বিরুদ্ধে প্রথম দিনের শেষে চালকের আসনে বাংলা (Bengal vs Jharkhand)। সুদীপ ঘরামির শতরান, অনষ্টুপ মজুমদার ও অভিূন্য ঈশ্বরণের অর্ধ শতরানের সৌজন্য ৩১০ রানে ১ উইকেট বাংলা।
রঞ্জি ট্রফির কোয়ার্টার ফাইনালে প্রথম দিনের শেসে বড় স্কোরের পথে বাংলা দল। চালকের আসনেও বলা যায়। ঝাড়খণ্ডের বিরুদ্ধে প্রথম দিনের পর বাংলার স্কোর ৩১০ রানে এক উইকেট। সৌজন্যে সূদীপ ঘরামির অনবদ্য শতরান ও অনুষ্টুপ মজুমদার এবং অভিমূণ্য ঈশ্বরণের অর্ধশতরানের ইনিংস। দিনের শেষে ১০৬ রানে অপরাজিত সূদীপ ও ৮৫ রানে ক্রিজে রয়েছেন অনুষ্টুপ। বাংলার অধিনায়ক অভিমূন্য ঈশ্বরণ আউট হন ৬৫ রানের ইনিংস খেলে। বেঙ্গালুরেরর সবুজ ঘাসে ভরা উইকেটে টস ভাগ্য কিন্তু সাথ দেয়নি বাংলা দলের। টস জিতে কোচ অরুণ লালে দলকে ব্য়াটিংয়ের জন্য আমন্ত্রণ করে। তখন অনেকেই মনে করেছিল চ্যালেঞ্জিং হতে চলেছে সকালের সবুজ উইকেটে ব্যাটিং করা। কিন্তু বাংলার ব্য়াটসনম্য়ানরা দিনভর অনবদ্য ব্য়াটিং করে ঝাড়খণ্ডের সিদ্ধান্ত তাদের দিকেই বুমেরাং করে দেন।
এদিন টস হেরে বাংলার হয়ে ব্য়াটিংয়ে ওপেন করতে নামেন অধিনায়ক অভিমূন্য ঈশ্বরণ ও অভিষেক রমন। বেঙ্গালুরুর সকালের সবুজ উইেটে পেস ও বাউন্স সামলে শুরুটা দুরন্ত করে বাংলাদ দুই ওপেনার। প্রথম দিকে একটু ধীর গতিতে খেললেও সেট হওয়ার পর নিজেদের স্বাভাবিক ব্যাটিং করেন বাংলার ওপেনাররা। বেশ কিছু চখ ধাধানো শট উপহার দেন তারা। ওপেনিং জুটিতে অর্ধশতরানের পার্টনারশিপ করেন ঈশ্বরণ ও ঘরামি জুটি। কিন্তু ওপনিং জুটিতে যখন বড় রানের পথে এগোচ্ছিল বাংলা তখনই অভিষেকের পিঠে চোট লাগে। মাঠে যন্ত্রণায় দেখা যায় তাকে। প্রাথমিক চিকিৎসা করালেও ব্য়াটিং করার মত অববস্থায় ছিলেন না তিনি। ৪১ রানের মাথায় মাঠ ছাড়েন অভিষেক রমন। তবে সেই চোট খুব বড় নয় বলেই জানিয়েছেন বাংলার সহকারী কোচ সৌরাশিস লাহিড়ী। ফের ব্যাট করতে পারেন তিনি।
আরও পড়ুনঃশুধু সুনীল গাভাসকর নয়, মোট ৭ জন ক্রিকেটার একই টেস্টে করেছেন ডবল সেঞ্চুরি ও সেঞ্চুরি
আরও পড়ুনঃযৌনতার সন্মোহনে ভরপুর, চিনে ইংল্য়ান্ড পেসারের হট অ্যান্ড সেক্সি বান্ধবীকে
এরপর ক্রিজে আসেন সুদীপ ঘরামি। অধিনায়ক অভিমূণ্য ঈশ্বরণের সঙ্গে এগিয়ে নিয়ে যান দলের স্কোরবোর্ড। নিজের অর্ধশতরানও পূরণ করেন বাংলার অধিনায়ক। এরপর ১২৮ রানে প্রথম উইকেট পড়ে বাংলার। ৬৫ রানের ইনিংস খেলে সুশান্ত মিশ্রার বলে আউট হন অভিমূণ্য ঈশ্বরণ। এরপর ক্রিজে আসেন অনুষ্টুপ মজুমদার। শুরু থেকেই ছন্দে পাওয়া যায় বাংলার অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানকে। অপরদিকে তখন সেট হয়ে গিয়েছেন সুদীপ ঘরামি। দুজন মিলে দুরন্ত ব্যাটিং করে এগিয়ে নিয়ে যান দলের স্কোরবোর্ড। প্রথেম অর্ধশতরান পূরণ করেন দুই বাংলার ব্যাটসম্যান। নিজেদের মধ্যে শতরানের পার্টনারশিপও করেন অনুষ্টুপ-সুদীপ জুটি। অনবদ্য ব্য়াটিং করেন নিজের শতরান পূরণ করেন সুদীপ ঘরামি। এটি তার রঞ্জিতে প্রথম শতরান। দিনের শেষে ১৮২ রানের পার্টনারশিপ করেছেন অনুষ্টুপ-সুদীপ জুটি। দ্বিতীয় দিনে বড় স্কোর করে ঝাড়খণ্ডকে চাপে ফেলাই লক্ষ্য অরুণ লালের দলের।