সংক্ষিপ্ত

আবুধাবিতে টি২০ বিশ্বকাপের (T20 World Cup 2021) প্রথম সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের (England) বিরুদ্ধে ৫ উইকেটে জিতল নিউজিল্যান্ড (New Zealand)। প্রথমবার টি২০ বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠল তারা। 

প্রথমবার টি২০ বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠল নিউজিল্যান্ড। বুধবার আবুধাবিতে টি২০ বিশ্বকাপ ২০২১-এর (T20 World Cup 2021) প্রথম সেমিফাইনালে টসে জিতে ইংল্য়ান্ডকে (England) ব্যাট করতে পাঠিয়েছিলেন ব্ল্যাকক্যাপস অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন (Kane Williamson)। ডেভিড মালান এবং মইন আলির ৪৩ বলে ৬৩ রানের জুটির জোরে, শেষ পর্যন্ত নিউজিল্যান্ডের (New Zealand) বিরুদ্ধে ২০ ওভারে ১৬৬/৪ রান তুলেছিল ইংল্যান্ড। রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারিয়েও মিচেল-কনওয়ে জুটির দৌলতে থিতু হয়েছিল কিউইরা। জিমি নিশামের ঝোড়ো ইনিংসের জোরে ১ ওভার বাকি থাকতেই ৫ উইকেটে জিতে গেল নিউজিল্যান্ড। ফলে এই প্রথম টি২০  বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠল তারা।

উইকেট মোটেই ব্য়াট করার জন্য সহজ ছিল না। ইংল্যান্ডের ১৬৭ রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ফর্মে থাকা ব্যাটার মার্টিন গাপ্টিলের (৪) উইকেট হারিয়েছিল কিউইরা। ইনিংসের প্রথম ওভারেই জোর ধাক্কা দিয়েছিলেন ক্রিস ওকস। তৃতীয় ওভারে বল করতে ফিরে, কিউই ব্যাটিং-এর প্রধান ভরসা কেন উইলিয়ামসনকেও (৫) ফিরিয়ে দেন ওকস। ১৩ রানে ২ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়েছিল নিউজিল্যান্ড। 

সেখান থেকে ইনিংস গড়ার কাজে মন দিয়েছিলেন ওপেনার ডেরিল মিচেল এবং উইকেটরক্ষক ডেভন কনওয়ে। পাওয়ার প্লে-র শেষে কিউইদের রান ছিল মাত্র ৩৬/২। ১০ ওভারের শেষে ৫৭/২। তবে ১০ ওভারের পর থেকে রানের গতি বাডানোর চেষ্টা করেছিলেন তাঁরা। রান আসছিলও। কিন্তু, ১৪তম ওভারে আবার কনওয়েকে ফিরিয়ে দেন লিভিংস্টোন। মাত্র ৪ রানের জন্য অর্ধশতরান হাতছাড়া করেন তিনি। ৩৮ বলে ৪৬ রান করে যান।  ১৫ ওভারের শেষে কিউইদের রান দাঁড়ায় ১০৭/৩। ৬৬ বলে ৮২ রান যুক্ত করে এই জুটি। এরপর গ্লেন ফিলিপ্স (২) বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। তবে খেলা ঘুরিয়ে দেন এরপর নামা জিমি নিশাম।

শেষ ৪ ওভারে কিউদের জেতার জন্য দরকার ছিল ৫৭ রান। আগের ২ ওভারে ১০ রান দেওয়া ক্রিস জর্ডনের বলে ১৭তম ওভার থেকে ২৩ রান আসে! ২৮তম ওভারে আদিল রশিদকেও একটি ছয় মারেন নিশাম। একটি ছয় মারেন ডেরিল মিচেলও। তবে ওই ওভারের শেষ বলে আরও একটি ছয় মারতে গিয়ে আউট হয়ে যান নিশাম। মাত্র ১১ বলে ২৭ রান করেন তিনি। মারেন ১ টি চার ও ৩ টি ছয়।  

১৯তম ওভারে ক্রিস ওকস-এর হাতে বল তুলে দিয়েছিলেন মর্গান। তার আগে পর্যন্ত ৩ ওবার হাত ঘুরিয়ে ১ টি মেডেন ওভার-সহ ১৬ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছিলেন ওকস। তাঁকেই ১৯তম ওভারে পরপর দুটি ছয় মারলেন ডেরিল মিচেল। ওভারের শেষ বলে আরও একটি চার মেরে ১ ওভার আগেই খেলা শেষ করে দেন তিনি। ওভার থেকে আসে ২০ রান! সব মিলিয়ে এদিন শুরু থেকে নেমে ৪৭ বলে ৭২ রান করে অপরাজিত থাকলেন মিচেল। মারলেন ৪টি চার এবং ৪টি ছয়। তিনিই হলেন ম্যাচের সেরা।

তার আগে ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৬৬ রান তুলেছিল ইংল্যান্ড। মূলত ডেভিড মালান (৪১) এবং মইন আলি (৩৭ বলে ৫১*)-র জুটিই ইংল্যান্ডকে এই রানে পৌঁছে দিয়েছিল। আর শেষে ১০ বলে ১৭ রানের ঝোড়ো ক্যামিও খেলেছিলেন লিভিংস্টোনও। তার আগে বাটলার (২৯) এবং বেয়ারস্টো (১৩) ইংল্যান্ডকে আকাঙ্খিত সুচনা দিতে পারেননি। উইকেট থেকে সুইং আদায় করেছিলেন কিউই জোরে বোলাররা।