সংক্ষিপ্ত

ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকার (India vs South Africa) প্রথম টেস্টের পঞ্চম দিনের খেলা। লাঞ্চের আগেই ৩ উইকেট নিল বিরাট কোহলির (Virat Kohli) দল। চাপে ডিল এলগারের (Dean Elgar) দক্ষিণ  আফ্রিকা।

সেঞ্চুরিয়ন ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম টেস্টে ঐতিহাসিক জয়ের দোরগোড়ায় টিম ইন্ডিয়া।  বক্সিং ডে টেস্ট জিততে বিরাট কোহলিরদলের দরকার আর মাত্র ৩ উইকেট। সামনে বাধা বলতে একমাত্র দক্ষিণ আফ্রিকার তারকা ব্যাটসম্যান টেম্বা বাভুমা। শেষ দিনে লাঞ্চের আগেই ৩ উইকেট তুলে নেয় ভারতীয় বোলররা। টিম ইন্ডিয়াক দেওয়ার ৩০৫ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমেচতুর্থ দিনের শেষে প্রোটিয়া ব্রিগেজের স্কোর ছিল ৯৪ রানে ৪ উইকেট। পঞ্চম দিন সকালে অধিনায়ক ডিন এলগার ও টেম্বা বাভুমা শুরুটা ভালোই করেছিল। ৩৬ রানের পার্টনারশিপ করে তারা। ভারতীয় দলকে পঞ্চম দিনের প্রথম সাফল্য এনে জসপ্রীত বুমরা। দলের ১৩০ রানের মাথায় বুমরার বলে ব্যক্তিগত ৭৭ রানে এলবিডব্লু আউট হয়ে প্যাভেলিয়নে ফেরত যান ডিন এলগার।

প্রোটিয়া অধিনায়কের পর ক্রিজে আসেন অভিজ্ঞ কুইন্টন ডিকক। বাভুমার সঙ্গে তিনি ইনিংসের রাশ ধরার চেষ্টা করেন। কিন্তু বড় পার্টনারশাপ করতে ব্যর্থ হন তারা। ৩১ রানের পার্টনারশিপ করার পর ষষ্ঠ উইকেট পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকার। ব্যক্তিগত ২১ রান করে মহম্মদ সিরাজের বলে বোল্ড হন ডিকক। দলের ১৬১ রানে ষষ্ঠ উইকেট পড়ে। সপ্তমউইকেটের জন্য বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি ভারতীয় দলকে। ১৬৪ রানে সপ্তম উইকেট পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকার। উইয়ান মাল্ডারকে আউট করেন মহম্মদ শামি। ১ রান করে প্যাভেলিয়নে ফেরত যান মাল্ডার। এরপর মার্কো জানসেনকে নিয়ে ১৮ রান আররও যোগ করেন বাভুমা। লাঞ্চ পর্যন্ত দক্ষিণ  আফ্রিকার স্কোর ১৮২ রানে ৭ উইকেট।  অর্থাৎ ভারতের জয়ের জন্য দরকার ৩ উইকেট আর কঠিন হলেও দক্ষিণ  আফ্রিকার দরকার ১২৩ রান। 

প্রসঙ্গত, পঞ্চমদিনের খেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সেঞ্চুরিয়নে ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিং ডে টেস্টের দ্বিতীয় দিনের পুরো খেলা ইতিমধ্যেই ভেস্তে গিয়েছে বৃষ্টির জন্য। তৃতীয় দিনও বৃষ্টির ভ্রুকুটি ছিল। তবে খেলায় কোনও সমস্যা হয়নি। কিন্তু খেলা শুরুর আগে হাওয়া অফিস যে রিপোর্ট দিয়েছিল তাতে চতুর্থ দিন ও পঞ্চম দিন কোনও বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই বলে জানানো হয়েছিল। কিন্তু আবহাওয়ার পরিবর্তন হওয়ায় বৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  অ্য়াকুওয়েদারের মতে, পঞ্চম দিনে লাঞ্চের পরবর্তী সেশনে বৃষ্টি হওয়ার ৬৫ শতাংশ সম্ভবনা তো রয়েইছে। উপরন্তু, বজ্র বিদুৎসহ বৃষ্টির সম্ভাবনাও ৩৯ শতাংশ। এমন উত্তেজক ম্যাচের শেষদিনের খেললা বৃষ্টির জন্য ভেস্তে গেলে স্বভাবতই হতাশ হবেন ক্রিকেট প্রেমিরা।