সংক্ষিপ্ত

এই ম্যাচে সবথেকে ভালো পারফর্ম করেছেন রাজ বাওয়া। প্রকৃত অলরাউন্ডারের দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। বল হাতে ৩১ রানে ৫ উইকেট আর ব্যাট হাতে ৫৪ বলে ৩৫ রানের কার্যকরী ইনিংস উপহার দিয়েছেন।

ফের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ (U19 World Cup 2022) ঢুকল ভারতের (India) ঘরে। এনিয়ে মোট পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন (Champion) হল তারা। শনিবার ফাইনালে ইংল্যান্ডকে ৪ উইকেটে হারিয়ে ট্রফি ছিনিয়ে নেয় ভারত। ২০০০ সালে প্রথমবার বিশ্বকাপ (Trophy) নিজেদের ঘরে তুলেছিল তারা। তারপর ২০০৮, ২০১২, ২০১৮ ও এবার ফের একবার সেই ট্রফি ছিনিয়ে নিল টিম ইন্ডিয়া (Team India)। 

অন্যদিকে, ইংল্যান্ড (England) এই নিয়ে দ্বিতীয়বার যুব বিশ্বকাপের ফাইনালের টিকিট হাতে পায়। এর আগে তারা ১৯৯৮ সালে একবার মাত্র যুব বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছিল। সেবার চ্যাম্পিয়ন হয়েই মাঠ ছাড়ে ইংল্যান্ড। আক এবার অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারতের কাছে হেরে রানার্স হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হল তাদের। 

আরও পড়ুন- পঞ্চমবার ট্রফি জয়ের লক্ষ্যে জুনিয়র টিম ইন্ডিয়া, লড়াই দিতে প্রস্তুত ব্রিটিশরা
 
এই ম্যাচে সবথেকে ভালো পারফর্ম করেছেন রাজ বাওয়া (Raj Bawa)। প্রকৃত অলরাউন্ডারের দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। বল হাতে ৩১ রানে ৫ উইকেট আর ব্যাট হাতে ৫৪ বলে ৩৫ রানের কার্যকরী ইনিংস উপহার দিয়েছেন। আর এভাবেই বিশ্বকাপ ফাইনালের সেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হন তিনি। ফাইনালের সব নজর কেড়ে নেন। বাংলার রবি কুমারের কথাও ভুললে চলবে না। নিজের প্রথম এবং শেষ স্পেলে যে ধাক্কা ইংরেজ ব্যাটারদের দিলেন, তা ক্রিকেট সমর্থকদের মনে বহু দিন থেকে যেতে বাধ্য। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে অপরাজিত থেকেই শেষ করল ভারত। একটি ম্যাচেও হারেনি তারা।

 

 

আরও পড়ুন- অজি বধ করে ফাইনালে ভারত, পঞ্চমবার বিশ্বজয়ের হাতছানি জুনিয়র টিম ইন্ডিয়ার

খেলার শুরুটা ইংল্যান্ডের জন্য ছিল খুবই ভালো। টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তারা। কিন্তু, খেলা শুরুর পর থেকেই ভাগ্য আর ইংল্যান্ডের সঙ্গ দেয়নি। ম্যাচের শুরু থেকেই ছন্দে ছিলেন রবি কুমার। দ্বিতীয় ওভারেই ওপেনার জ্যাকব বেথেলের উইকেট নেন তিনি। এরপর চতুর্থ ওভারে ফের সাফল্য পান। টম প্রেস্টের উইকেট নেন তিনি। তারপর রাজ একে একে জর্জ থমাস, উইলিয়াম লাক্সটন, জর্জ বেল এবং রেহান আহমেদের উইকেট নেন। আউট হয়ে যান অ্যালেক্স হর্টনও। এরপর টিমের হয়ে ক্রিজে নেমে লড়াই চালিয়ে যান রিউ ও সেলস। তাঁদের লড়াইয়ের দাপটে কিছুটা হলেও ব্যাকফুটে চলে যায় টিম ইন্ডিয়া। 

জয়ের জন্য ১৯০ রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নামে ভারত। তবে ভারতের শুরুটা একেবারেই ভালো ছিল না। দ্বিতীয় বলেই ড্রেসিং রুমে ফিরে যান অঙ্গক্রিশ রঘুবংশী (Angkrish Raghuvanshi)। এরপর জুটি গড়েছিলেন হর্নুর সিংহ এবং শেখ রশিদ। তবে কয়েকটা বল খেলার পরই ফিরে যান হর্নুর। তারপর একে একে রশিদ ও যশ ধুলের উইকেট পড়ে যায়। একের পর এক উইকেট পড়ার পর কিছুটা হলেও ব্যাকফুটে চলে গিয়েছিল টিম ইন্ডিয়া। 

আরও পড়ুন- ধুলের শতরান, অজিদের ২৯১ রানের লক্ষ্যমাত্রা দিল ভারত

তারপর ক্রিজে নেমে সমতা ফেরান নিশান্ত সিন্ধু (Nishant Sindhu) এবং রাজ। তাঁরা পঞ্চম উইকেটে যে ৬৭ রানের জুটি গড়েন, তা ভারতকে বিশ্বকাপ জয়ের দিকে এগিয়ে দেয়। ৪৭.৪ ওভারে ৬ উইকেটের বিনিময়ে ১৯৫ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায় টিম ইন্ডিয়া। দীনেশ ২টি ছক্কার সাহায্যে ৫ বলে ১৩ রান করে অপরাজিত থাকেন। ভারতের হয়ে হর্নুর ২১, শেখ রশিদ (Shaik Rasheed) ৫০, যশ ধুল ১৭, রাজ বাওয়া ৩৫ ও কৌশল তাম্বে ১ রান করেন। খাতা খুলতে পারেননি অঙ্গক্রিশ। তবে বাকিদের লড়াকু মনোভাবের কারণেই পঞ্চবার ট্রফি ঘরে তুলল ভারত।